বিবাহ পরবর্তী জীবন অর্থাৎ দাম্পত্য জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ সন্তান জন্মদান। অনেকেই সময়মতো সন্তান জন্ম দিতে পারেন, অনেকে আবার সময় পেরিয়ে গেলেও প্রজনন ক্ষমতা কম থাকায় সন্তান ধারণ সম্ভবপর হয় না।
বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই দেরি কিংবা অসফল হন। আর তখন দু:খ-অশান্তিতে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এমন সময় কয়েকটি উপায় অবলম্বনে গর্ভবতী হওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায়।
সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর উপায়ঃ
১. মাসিক চক্রকে জানুনঃ
নারীদের মাসিক চক্রের সব সময়ে গর্ভধারণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনার গর্ভধারণের জন্য তাই বেছে নিতে হবে উপযুক্ত সময়। সবচেয়ে ভালো হয় মাসের মাঝামাঝি সময়ে, যখন আপনার দেহ গর্ভধারণের উপযুক্ত থাকে।
২. গর্ভধারণে পজিশন কি গুরুত্বপূর্ণ?
অনেকেই সেক্স পজিশনের সঙ্গে সন্তান ধারণের সম্ভাবনার সম্পর্ক দেখেন। তবে নিরাপদ সেক্স স্টাইল হচ্ছে নারী নিচে আর পুরুষ উপরে। যদিও গবেষকরা বলছেন, সেক্সের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কোনো পজিশন নেই। দম্পতিরা যে পজিশনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেই পজিশনই ভালো।
৩. সেক্সের পর বিশ্রামঃ
সেক্সের পর চিৎ অবস্থায় কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে- শুক্রাণু জরায়ুর ভেতরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এজন্য ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করলে ফলাফল ভালো পাওয়া যাবে।
৪. নিয়মিত চেকআপঃ
বিভিন্ন কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রি-প্রেগনেন্সি চেকআপ করা যেতে পারে। আর এতে বোঝা যাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা গর্ভধারণে সহায়ক হতে পারে।
৫. মানসিক চাপ কমানঃ
মানসিক চাপের কারণে শুধু মানসিক নয়, নানা ধরনের শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। আর গর্ভধারণের সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলতে মানসিক চাপ অবশ্যই ঝেরে ফেলতে হবে।
৬. জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িঃ
অনেকেই দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকেন। এরপর এ ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলেও হঠাৎ গর্ভধারণ করা যায় না। এজন্য কয়েক মাস দেরি হতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭. ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগঃ
ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য ও অ্যালকোহলের কারণে শুক্রাণু উৎপাদন যেমন কমে যায়; তেমনি নারীর এসব বদভ্যাস থাকলেও গর্ভধারণে সমস্যা হয়। তাই এসব বদভ্যাস ত্যাগ করা উচিত দ্রুত গর্ভধারণ জন্য।
৮. ওজন কমানঃ
দেহের বাড়তি ওজন গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই ওজন কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৯. সঠিক ও পুষ্টিকর খাবারঃ
পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হলে গর্ভধারণ সহজ হবে। এজন্য ভিটামিন, মিনারেল, ফ্যাট ও ফাইবারযুক্ত সুষম খাবার খেতে হবে।
@গর্ভধারন ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় বা নিয়ম, #প্রজনন ক্ষমতা #সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর উপায় , #বাচ্চা নেয়ার নিয়ম
No comments:
Post a Comment