বন্ধ্যত্ব বর্তমান প্রজন্মের বহু দম্পতিদের কাছে এক বড় মাপের সমস্যা। এই সমস্যা সরাসরি প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়- এর প্রভাবপড়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও। সন্তান লাভের আশায় কোনো দম্পতি কোনো প্রকার গর্ভনিরোধক উপায় অবলম্বন না করে এক বছর স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনযাপনের পরও যখন স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার না হয় তখন তাকে বন্ধ্যত্ব বলা হয়। স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার এক বছরের মধ্যে সন্তান সম্ভাবনা না ঘটলে ত্রুটি স্বামী বা স্ত্রী অথবা উভয়েরই থাকতে পারে।
দেখা গেছে যে, ছয় মাস এক সাথে সহবাসের পর ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং এক বছর পর ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা গর্ভধারণ করে থাকেন।
দেখা গেছে যে, ছয় মাস এক সাথে সহবাসের পর ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং এক বছর পর ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা গর্ভধারণ করে থাকেন।
ডব্লিউএইচও’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের সমগ্র জনসংখ্যার
৮-১০ শতাংশ দম্পতি কোনো-না-কোনো ধরনের বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশে এর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হয়, এই সংখ্যা একই রকম হবে।বন্ধ্যত্বের কারণগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রী, ৩৫-৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী এবং ১০-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে উভয়ের ত্রুটির জন্য গর্ভধারণ হয় না। বাকি ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে বন্ধ্যত্বের কোনো সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
সারা পৃথিবীতে বন্ধ্যত্ব প্রচলিত একটি সমস্যা। অনেকের মধ্যেই বন্ধ্যাত্ব হতে দেখা যায়। এটি বাড়ছে কেন? বন্ধ্যত্বের ভালো চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে রয়েছে। বন্ধ্যত্ব দূর করতে টেস্টটিউব বেবি পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। তবে বিষয়টি কীভাবে করা হয়? বন্ধ্যাত্ব সমস্যা সমাধানের অনেক ভালো চিকিৎসা আমাদের দেশেই রয়েছে।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে বন্ধ্যত্ব বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাজলিমা নারগিস।
তিনি ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে বন্ধ্যত্ব বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাজলিমা নারগিস।
তিনি ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
বন্ধ্যত্ব কাকে বলে?
প্রশ্ন : কোন পর্যায়ে গেলে আমরা বন্ধ্যত্ব বলছি?
উত্তর : বন্ধ্যত্ব আসলে একটি সামাজিক বড় সমস্যা। এটা শুধু আমাদের দেশের জন্য যে একটি বড় সমস্যা, সেটি নয়। পৃথিবীব্যাপী এটি একটি বড় ধরনের সমস্যা।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন দম্পতির মধ্যে ১২ থেকে ১৫ জনই বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগে থাকেন। কোনো দম্পতি এক বছর জীবনযাপন করার পরও যদি তাঁদের মধ্যে কোনো সন্তান না আসে, তবেই একে বন্ধ্যাত্ব হিসেবে বিবেচনা করে থাকি।
উত্তর : বন্ধ্যত্ব আসলে একটি সামাজিক বড় সমস্যা। এটা শুধু আমাদের দেশের জন্য যে একটি বড় সমস্যা, সেটি নয়। পৃথিবীব্যাপী এটি একটি বড় ধরনের সমস্যা।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন দম্পতির মধ্যে ১২ থেকে ১৫ জনই বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগে থাকেন। কোনো দম্পতি এক বছর জীবনযাপন করার পরও যদি তাঁদের মধ্যে কোনো সন্তান না আসে, তবেই একে বন্ধ্যাত্ব হিসেবে বিবেচনা করে থাকি।
বন্ধ্যত্ব বাড়ছে কেন?
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্বের হার সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। এর কারণ কী?
উত্তর : বন্ধ্যত্বের পেছনে আসলে অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থাপনায় মেয়েদের এই বিষয়টির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়। তবে আসলে বন্ধ্যত্বের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে নারীদের কিছু কারণ রয়েছে, সেইসঙ্গে পুরুষদেরও কিছু কারণ জড়িত।
আমরা যদি শতভাগের মধ্যে কারণ ধরি, ৩৫ ভাগ হলো মেয়েরা জড়িত। বাকি ৩৫ ভাগে স্বামী বা পুরুষ জড়িত। বাকিটি কিন্তু স্বামী-স্ত্রী উভয়ের কারণে হয়ে থাকে। আর কিছুটা যেটা থাকে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ঠিক আছেন, কিন্তু অন্য কারণেই তাঁদের মধ্যে সন্তান আর আসছে না।
উত্তর : বন্ধ্যত্বের পেছনে আসলে অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থাপনায় মেয়েদের এই বিষয়টির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়। তবে আসলে বন্ধ্যত্বের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে নারীদের কিছু কারণ রয়েছে, সেইসঙ্গে পুরুষদেরও কিছু কারণ জড়িত।
আমরা যদি শতভাগের মধ্যে কারণ ধরি, ৩৫ ভাগ হলো মেয়েরা জড়িত। বাকি ৩৫ ভাগে স্বামী বা পুরুষ জড়িত। বাকিটি কিন্তু স্বামী-স্ত্রী উভয়ের কারণে হয়ে থাকে। আর কিছুটা যেটা থাকে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ঠিক আছেন, কিন্তু অন্য কারণেই তাঁদের মধ্যে সন্তান আর আসছে না।
বন্ধ্যত্বের কী কী চিকিৎসা বাংলাদেশে আছে?
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্বের এখন কী কী ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশে হচ্ছে?
উত্তর : বন্ধ্যত্বের যে কারণগুলো আমি বললাম, তেমনি কারণগুলো চিহ্নিত করা গেলে চিকিৎসাও সম্ভব। তবে আমাদের দেশে একটি বিষয় আছে, সহজেই মানুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য যেতে চান না। তবে কোনো দম্পতি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ না করে তারা যদি শুরুতেই চিকিৎসকের কাছে আসেন এবং চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন, তাহলে ভালো হবে। এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
আমার মনে হয়, যখনই কোনো দম্পতি সন্তান ধারণের কথা চিন্তা করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ না করলে, সবারই উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। আর বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার মধ্যে এখন অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি এসেছে। আগে মনে করা হতো, ছেলেদের মনে হয় চিকিৎসার আর কোনো উপায়ই থাকে না। কিন্তু ছেলেদের যেখানে সিমেন অ্যানালাইসিস বা বীর্য পরীক্ষা যাকে বলে—এটি করে যদি আমরা দেখি, সিমেন অ্যানালাইসিসের বিভিন্ন ধরনের প্যারামিটার আছে আমাদের এখানে। সে অনুযায়ী দেখে যদি এটা ওষুধ দিয়ে সারানোর মতো হয়, ইনজেকশন দিয়ে সারানোর মতো হয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা করে থাকি। এর পর আইইউআই বলে থাকে।
ইন্ট্রা-ইউটেরাইন ইনসামিনেশন বলে একটি বিষয় থাকে, এখানে স্বামীর শুক্রাণু স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটা টেস্ট টিউব নয়। সিমেনটা স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ উপায়ে এটা গর্ভধারণ করার চেষ্টা করে। এরপরও যদি না হয়ে থাকে, বা শুক্রাণুর পরিমাণ এমনই কম থাকল যে যেটা দিয়ে আর সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে শেষ পর্যন্ত গিয়ে টেস্টটিউব বেবির কথা বলা হয়ে থাকে।
উত্তর : বন্ধ্যত্বের যে কারণগুলো আমি বললাম, তেমনি কারণগুলো চিহ্নিত করা গেলে চিকিৎসাও সম্ভব। তবে আমাদের দেশে একটি বিষয় আছে, সহজেই মানুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য যেতে চান না। তবে কোনো দম্পতি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ না করে তারা যদি শুরুতেই চিকিৎসকের কাছে আসেন এবং চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন, তাহলে ভালো হবে। এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
আমার মনে হয়, যখনই কোনো দম্পতি সন্তান ধারণের কথা চিন্তা করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ না করলে, সবারই উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। আর বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার মধ্যে এখন অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি এসেছে। আগে মনে করা হতো, ছেলেদের মনে হয় চিকিৎসার আর কোনো উপায়ই থাকে না। কিন্তু ছেলেদের যেখানে সিমেন অ্যানালাইসিস বা বীর্য পরীক্ষা যাকে বলে—এটি করে যদি আমরা দেখি, সিমেন অ্যানালাইসিসের বিভিন্ন ধরনের প্যারামিটার আছে আমাদের এখানে। সে অনুযায়ী দেখে যদি এটা ওষুধ দিয়ে সারানোর মতো হয়, ইনজেকশন দিয়ে সারানোর মতো হয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা করে থাকি। এর পর আইইউআই বলে থাকে।
ইন্ট্রা-ইউটেরাইন ইনসামিনেশন বলে একটি বিষয় থাকে, এখানে স্বামীর শুক্রাণু স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটা টেস্ট টিউব নয়। সিমেনটা স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ উপায়ে এটা গর্ভধারণ করার চেষ্টা করে। এরপরও যদি না হয়ে থাকে, বা শুক্রাণুর পরিমাণ এমনই কম থাকল যে যেটা দিয়ে আর সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে শেষ পর্যন্ত গিয়ে টেস্টটিউব বেবির কথা বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশন আর টেস্টটিউব বেবির মধ্যে পার্থক্য কী? কোনটি কোন সময় করা হচ্ছে?
উত্তর : স্বামীর সিমেনে যে প্যারামিটারগুলো দেখা হয়, সেখানে যদি সিমেনে স্পার্মের পরিমাণ একেবারেই কম থাকে, যেটা দিয়ে ওষুধ বা আইইউআইর মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে না—তখন বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে এগুলো করা হয়ে থাকে।
উত্তর : স্বামীর সিমেনে যে প্যারামিটারগুলো দেখা হয়, সেখানে যদি সিমেনে স্পার্মের পরিমাণ একেবারেই কম থাকে, যেটা দিয়ে ওষুধ বা আইইউআইর মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে না—তখন বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে এগুলো করা হয়ে থাকে।
টেস্টটিউব বেবি কীভাবে হয়?
প্রশ্ন : টেস্টটিউব বেবি বিষয়টি কী?
উত্তর : টেস্টটিউব বেবি হলো স্বামী ও স্ত্রীর যদি এমন কোনো সমস্যা থাকে থাকে, যেটি আমি আগেই বলেছি, স্বামীর সিমেনে যদি শুক্রাণুর পরিমাণ খুবই কম থাকে, সেটা একটা কারণ। অথবা যদি স্ত্রীর এমন সমস্যা হয়ে থাকে যে তার ডিম্বাণু আসার পথে কোনো সমস্যা আছে, কোনো কারণে হয়তো ডিম্বনালিটা ব্লকেজ হয়ে থাকে। সেই নালি কোনোভাবে খোলা সম্ভব নয়, তাহলে সেখান থেকে ডিম তো আর জরায়ুতে আসা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে স্বামীর সিমেন ও স্ত্রীর যে ডিম্বাণু, ডিম্বাশয় থেকে সেই ডিম্বাণু গ্রহণ করা হয়। এটা সংগ্রহ করে বাইরে স্বামীর শুক্রাণু ও স্ত্রীর ডিম্বাণু নিয়ে জাইগোট করা হয়। সেই জাইগোট আবার স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। টেস্টটিউব বেবির বিষয়টা আসলে এভাবেই হয়।
উত্তর : টেস্টটিউব বেবি হলো স্বামী ও স্ত্রীর যদি এমন কোনো সমস্যা থাকে থাকে, যেটি আমি আগেই বলেছি, স্বামীর সিমেনে যদি শুক্রাণুর পরিমাণ খুবই কম থাকে, সেটা একটা কারণ। অথবা যদি স্ত্রীর এমন সমস্যা হয়ে থাকে যে তার ডিম্বাণু আসার পথে কোনো সমস্যা আছে, কোনো কারণে হয়তো ডিম্বনালিটা ব্লকেজ হয়ে থাকে। সেই নালি কোনোভাবে খোলা সম্ভব নয়, তাহলে সেখান থেকে ডিম তো আর জরায়ুতে আসা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে স্বামীর সিমেন ও স্ত্রীর যে ডিম্বাণু, ডিম্বাশয় থেকে সেই ডিম্বাণু গ্রহণ করা হয়। এটা সংগ্রহ করে বাইরে স্বামীর শুক্রাণু ও স্ত্রীর ডিম্বাণু নিয়ে জাইগোট করা হয়। সেই জাইগোট আবার স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। টেস্টটিউব বেবির বিষয়টা আসলে এভাবেই হয়।
বন্ধ্যত্বের আধুনিক চিকিৎসা কী?
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্বের আধুনিক চিকিৎসা কী?
উত্তর : সন্তান না হলে যখন দম্পতিরা আমাদের কাছে আসেন, তখন বন্ধ্যত্বের কারণগুলো নির্ণয় করার চেষ্টা করি। স্বামীর কোনো সমস্যা আছে কি না, সে জন্য স্বামীর কিছু পরীক্ষা করতে দিই বা স্ত্রীর কোনো সমস্যা আছে কি না, এর জন্য আমরা বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিই। এর পর সেই কারণকে আমরা যথোপযুক্তভাবে চিহ্নিত করি। কোনো কারণে আসলে এখানে সমস্যা হচ্ছে, সেটি দেখার চেষ্টা করি। সেই কারণ অনুযায়ী আমরা চিকিৎসার দিকে বেরিয়ে যাই। যদি দেখা যায় যে স্বামীর কোনো কারণে হয়ে থাকে, তাকে বেশি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, প্রথমত তাকে ওষুধ দিয়ে দেখা হয়। এর পর এটি না হলে ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। নারীদের যে কারণগুলোর মধ্যে বন্ধ্যত্বের আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে প্রথমেই যেটা হয়, ডিম্বাণু যদি ঠিকমতো তৈরি না হয়, ডিম্বাণু তৈরি না হওয়ারও অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যেটা আমরা বলে থাকি পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রম। এ বিষয়ে যেটি দেখা যায়, আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে এখন ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে, তখন এ ধরনের ডিম ফোটার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া আরো একটি রোগ আছে এন্ডোমেট্রোসিস। এর কারণেও বন্ধ্যত্ব হয়। ডিম্বাণুর স্বল্পতা ছাড়াও, ডিম্বাণু যে পথে আসবে, সেই ডিম্বনালিতে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সংক্রমণের মাধ্যমে হতে পারে। যৌনবাহিত রোগের মাধ্যমে হতে পারে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকার পরও কিছু রোগের মাধ্যমে হতে পারে। টিউবারকলোসিসের জন্য হতে পারে। সেগুলোর জন্য হতে পারে। আবার জরায়ুতে যদি কোনো টিউমার থাকে, এর কারণেও বন্ধ্যত্ব হতে পারে। অনেক কারণ বন্ধ্যাত্ব রোগের সঙ্গে জড়িত। তখন সেই কারণগুলোকে বের করে। শুধু নারীরাই নয়, পুরুষদেরও অনেক কারণ যুক্ত থাকতে পারে। স্বামী-স্ত্রী সমভাবেই বাচ্চা হওয়ার জন্য দায়ী। সুতরাং দুজনকেই দেখে সেভাবে কথা বলে, এরপর আমাদের চিকিৎসার দিকে এগোতে হয়।
উত্তর : সন্তান না হলে যখন দম্পতিরা আমাদের কাছে আসেন, তখন বন্ধ্যত্বের কারণগুলো নির্ণয় করার চেষ্টা করি। স্বামীর কোনো সমস্যা আছে কি না, সে জন্য স্বামীর কিছু পরীক্ষা করতে দিই বা স্ত্রীর কোনো সমস্যা আছে কি না, এর জন্য আমরা বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিই। এর পর সেই কারণকে আমরা যথোপযুক্তভাবে চিহ্নিত করি। কোনো কারণে আসলে এখানে সমস্যা হচ্ছে, সেটি দেখার চেষ্টা করি। সেই কারণ অনুযায়ী আমরা চিকিৎসার দিকে বেরিয়ে যাই। যদি দেখা যায় যে স্বামীর কোনো কারণে হয়ে থাকে, তাকে বেশি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, প্রথমত তাকে ওষুধ দিয়ে দেখা হয়। এর পর এটি না হলে ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। নারীদের যে কারণগুলোর মধ্যে বন্ধ্যত্বের আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে প্রথমেই যেটা হয়, ডিম্বাণু যদি ঠিকমতো তৈরি না হয়, ডিম্বাণু তৈরি না হওয়ারও অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যেটা আমরা বলে থাকি পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রম। এ বিষয়ে যেটি দেখা যায়, আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে এখন ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে, তখন এ ধরনের ডিম ফোটার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া আরো একটি রোগ আছে এন্ডোমেট্রোসিস। এর কারণেও বন্ধ্যত্ব হয়। ডিম্বাণুর স্বল্পতা ছাড়াও, ডিম্বাণু যে পথে আসবে, সেই ডিম্বনালিতে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সংক্রমণের মাধ্যমে হতে পারে। যৌনবাহিত রোগের মাধ্যমে হতে পারে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকার পরও কিছু রোগের মাধ্যমে হতে পারে। টিউবারকলোসিসের জন্য হতে পারে। সেগুলোর জন্য হতে পারে। আবার জরায়ুতে যদি কোনো টিউমার থাকে, এর কারণেও বন্ধ্যত্ব হতে পারে। অনেক কারণ বন্ধ্যাত্ব রোগের সঙ্গে জড়িত। তখন সেই কারণগুলোকে বের করে। শুধু নারীরাই নয়, পুরুষদেরও অনেক কারণ যুক্ত থাকতে পারে। স্বামী-স্ত্রী সমভাবেই বাচ্চা হওয়ার জন্য দায়ী। সুতরাং দুজনকেই দেখে সেভাবে কথা বলে, এরপর আমাদের চিকিৎসার দিকে এগোতে হয়।
বন্ধ্যত্ব থেকে দূরে থাকতে কী করবেন?
বন্ধ্যত্ব বিভিন্ন কারণে হয়। আবার অনেক সময় অজানা কারণেও হয়। তবে জীবনযাপনে কিছু শৃঙ্খলা মেনে চললে বন্ধ্যত্ব থেকে কিছুটা হয়তো প্রতিরোধ পাওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্ব থেকে দূরে থাকতে কোনো সাবধানতার কি দরকার আছে?
উত্তর : সুস্বাস্থ্য সবারই কাম্য, সেইসঙ্গে সুন্দর জীবনযাপন। শরীর ভালো রাখতে হবে। যেকোনো ধরনের রোগ যদি হয়ে থাকে, যেমন—বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত রোগও হতে পারে, সেগুলো হয়ে থাকলে আগেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এগুলোর চিকিৎসা নিতে হতে পারে। শারীরিক আরো অনেক ধরনের বড় কোনো অসুখের কারণে মানুষের শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। বেশি মোটা হওয়া যাবে না। খারাপ অভ্যাস থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। ধূমপান এড়িয়ে যেতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন যদি না করি, সুন্দরভাবে চলাফেরা করি, তাহলে অনেক অসুখ থেকেই আমরা দূরে থাকতে পারব এবং বন্ধ্যত্ব থেকেও নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের মুক্ত রাখবেন।
বন্ধ্যত্ব বিভিন্ন কারণে হয়। আবার অনেক সময় অজানা কারণেও হয়। তবে জীবনযাপনে কিছু শৃঙ্খলা মেনে চললে বন্ধ্যত্ব থেকে কিছুটা হয়তো প্রতিরোধ পাওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্ব থেকে দূরে থাকতে কোনো সাবধানতার কি দরকার আছে?
উত্তর : সুস্বাস্থ্য সবারই কাম্য, সেইসঙ্গে সুন্দর জীবনযাপন। শরীর ভালো রাখতে হবে। যেকোনো ধরনের রোগ যদি হয়ে থাকে, যেমন—বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত রোগও হতে পারে, সেগুলো হয়ে থাকলে আগেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এগুলোর চিকিৎসা নিতে হতে পারে। শারীরিক আরো অনেক ধরনের বড় কোনো অসুখের কারণে মানুষের শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। বেশি মোটা হওয়া যাবে না। খারাপ অভ্যাস থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। ধূমপান এড়িয়ে যেতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন যদি না করি, সুন্দরভাবে চলাফেরা করি, তাহলে অনেক অসুখ থেকেই আমরা দূরে থাকতে পারব এবং বন্ধ্যত্ব থেকেও নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের মুক্ত রাখবেন।
আজও আমাদের সমাজে বন্ধ্যত্ব এবং যৌনরোগ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে অনেকেই চান না। কিন্তু অন্য আর পাঁচটি শারীরিক সমস্যার মতোই এগুলিও একটি সমস্যা।
অথচ চিকিৎসা করলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে প্রাথমিক অবস্থায় বেশির ভাগ পুরুষ ও মহিলাই চিকিৎসা করান না।। ফলে সমস্যা বাড়তে বাড়তে জটিল আকার ধারণ করে।
অথচ চিকিৎসা করলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে প্রাথমিক অবস্থায় বেশির ভাগ পুরুষ ও মহিলাই চিকিৎসা করান না।। ফলে সমস্যা বাড়তে বাড়তে জটিল আকার ধারণ করে।
#বন্ধ্যত্ব #সন্তানহীনতা #বন্ধ্যত্ব-মুক্তি
No comments:
Post a Comment