সারা দিনের ব্যস্ততা, না হয় জীবন যাপনে অনিয়ম। হটাৎ বাড়তি কাজের ফলে লাইফস্টাইলেও বদল। সময়মতো না খাওয়া বা বেশিরভাগ সময় খালি পেট। তার ওপর ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুডের প্রতি আষক্তি। এর ফলে শরীরে ভর করে নানান অসুখ। যা খাচ্ছেন, তাতেই অম্বল। পানি খেলেও পেট ভুটভাট করে। চোঁয়া ঢেকুর। গলা-বুক জ্বালা। বুকে ব্যথা। এ থেকে বাঁচতে, সাত-পাঁচ না ভেবেই হাতের কাছে থাকা অ্যান্টাসিড খেয়ে নিই। এভাবে এন্টাসিড খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। জানেন কি কী বিপদ ডেকে আনছেন?
অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে কিডনির। আর কিডনি দফারফা মানে হুট করে খুলে যাচ্ছে আরও বড় কোন অসুখের দরজা। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা। অ্যান্টাসিড কীভাবে ক্ষতি করছে কিডনির? কী রয়েছে অ্যান্টাসিডে? শুধু কিডনিই নয়, অ্যান্টাসিডে ক্ষতি গোটা শরীরের। চিকিৎসকদের দাবি, অ্যান্টাসিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। যা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট অম্বল কমানোর চেয়ে বাড়িয়ে দেয়।
* অ্যান্টাসিডের অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইডও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো বিপদ সাংঘাতিক। রক্তে ফসফেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকী ডেকে আনতে পারে অ্যালঝাইমার্স রোগ।
* ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রক্সাইড ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের কারণে ডায়েরিয়া প্রকট হয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো মারাত্মক বিপদ।
* অ্যান্টাসিডে থাকে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। রক্তে নুনের প্রকৃতিটাই বদলে দেয়। অ্যান্টাসিডের বিসমুঠ নুন এন্সিফ্যালোপ্যাথি ঘটাতে পারে। মস্তিষ্কের মারাত্মক রোগ। যার অন্য নাম ডিমেনশিয়া।
* অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড মিল্ক অ্যালকালি সিনড্রোম ঘটায়। অর্থাৎ রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম পৌছানো। যা কিডনি ফেলিওরের জন্য যথেষ্ট।
* দিনের পর দিন অ্যান্টাসিড ব্যবহারে ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক। দীর্ঘস্থায়ী মাথার যন্ত্রণা এবং হাড়ের রোগ হতে পারে। পেশির ক্ষতি করে। আলসার এবং পাকস্থলীর ক্যানসারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
তাই অম্বল হলেই যথেচ্ছ অ্যান্টাসিডের ব্যবহার নয়। গোড়া থেকে নির্মূল করতে হবে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। না হলে কিডনির সমস্যা অতি নিকটে।
No comments:
Post a Comment