কাজেই এ খাবারটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ লেখায় তুলে ধরা হলো ঘিয়ের কিছু উপকারিতা।
২. ভিটামিন সমৃদ্ধঃ ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
৩. উপকারি কোলস্টেরলঃ কোলস্টেরল দু ধরনের- উপকারি ও ক্ষতিকর। ঘিতে রয়েছে উপকারি কোলস্টেরল।
আউটসোর্সিং ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার সাথে থাকছে.. গুরুত্বপূর্ণ সফট্ওয়্যার, অনলাইন জগতের বিশেষ খবর, অতিপ্রয়োজনীয় টিপস & ট্রিকস- সহ আরও কিছু আপডেট তথ্য, যা আপনার অনলাইন জীবনকে সমৃদ্ধশালী করতে সহায়ক হবে- উন্মুক্ত ‘সংগ্রহশালা’
বিবাহ পরবর্তী জীবন অর্থাৎ দাম্পত্য জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ সন্তান জন্মদান। অনেকেই সময়মতো সন্তান জন্ম দিতে পারেন, অনেকে আবার সময় পেরিয়ে গেলেও প্রজনন ক্ষমতা কম থাকায় সন্তান ধারণ সম্ভবপর হয় না।
বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই দেরি কিংবা অসফল হন। আর তখন দু:খ-অশান্তিতে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এমন সময় কয়েকটি উপায় অবলম্বনে গর্ভবতী হওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায়।
সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর উপায়ঃ
১. মাসিক চক্রকে জানুনঃ
নারীদের মাসিক চক্রের সব সময়ে গর্ভধারণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনার গর্ভধারণের জন্য তাই বেছে নিতে হবে উপযুক্ত সময়। সবচেয়ে ভালো হয় মাসের মাঝামাঝি সময়ে, যখন আপনার দেহ গর্ভধারণের উপযুক্ত থাকে।
২. গর্ভধারণে পজিশন কি গুরুত্বপূর্ণ?
অনেকেই সেক্স পজিশনের সঙ্গে সন্তান ধারণের সম্ভাবনার সম্পর্ক দেখেন। তবে নিরাপদ সেক্স স্টাইল হচ্ছে নারী নিচে আর পুরুষ উপরে। যদিও গবেষকরা বলছেন, সেক্সের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কোনো পজিশন নেই। দম্পতিরা যে পজিশনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেই পজিশনই ভালো।
৩. সেক্সের পর বিশ্রামঃ
সেক্সের পর চিৎ অবস্থায় কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে- শুক্রাণু জরায়ুর ভেতরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এজন্য ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করলে ফলাফল ভালো পাওয়া যাবে।
৪. নিয়মিত চেকআপঃ
বিভিন্ন কারণে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রি-প্রেগনেন্সি চেকআপ করা যেতে পারে। আর এতে বোঝা যাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা গর্ভধারণে সহায়ক হতে পারে।
৫. মানসিক চাপ কমানঃ
মানসিক চাপের কারণে শুধু মানসিক নয়, নানা ধরনের শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। আর গর্ভধারণের সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলতে মানসিক চাপ অবশ্যই ঝেরে ফেলতে হবে।
৬. জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িঃ
অনেকেই দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকেন। এরপর এ ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলেও হঠাৎ গর্ভধারণ করা যায় না। এজন্য কয়েক মাস দেরি হতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭. ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগঃ
ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য ও অ্যালকোহলের কারণে শুক্রাণু উৎপাদন যেমন কমে যায়; তেমনি নারীর এসব বদভ্যাস থাকলেও গর্ভধারণে সমস্যা হয়। তাই এসব বদভ্যাস ত্যাগ করা উচিত দ্রুত গর্ভধারণ জন্য।
৮. ওজন কমানঃ
দেহের বাড়তি ওজন গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই ওজন কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৯. সঠিক ও পুষ্টিকর খাবারঃ
পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হলে গর্ভধারণ সহজ হবে। এজন্য ভিটামিন, মিনারেল, ফ্যাট ও ফাইবারযুক্ত সুষম খাবার খেতে হবে।
@গর্ভধারন ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় বা নিয়ম, #প্রজনন ক্ষমতা #সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর উপায় , #বাচ্চা নেয়ার নিয়ম
চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকার আমেরিকান এমবাসি। ‘হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।
যোগ্যতাঃ
ব্যবসা প্রশাসন, হিউম্যান রিসোর্সেস বা আইটি বিষয়ে স্নাতক পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখিত ও মৌখিক পারদর্শী হতে হবে। এ ছাড়া কম্পিউটার চালনায় জ্ঞানসম্পন্ন প্রার্থীদের আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আবেদন প্রক্রিয়াঃ
আগ্রহী প্রার্থীদের আমেরিকান সব এমবাসির ওয়েবসাইট (bit.ly/2jrGZFa) থেকে ‘ইউনিভার্সাল অ্যাপ্লিকেশন ফর এমপ্লয়মেন্ট (ইউএই)’ (ফরম ডিএস-১৭৪) ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ফরমটি পূরণ করে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ডাকযোগে বা সরাসরি আমেরিকান এমবাসিতে পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়ঃ
আবেদন করার সুযোগ থাকছে ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত।
বিডিজবস ডটকমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিঃ
আপনি কি পেনড্রাইভে ঢুকতে পারছেন না? অনেক সময় ভাইরাসের প্রভাবে পেনড্রাইভে ঢোকা যায় না। Pendrive is Write Protected বার্তা আসে, ফলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হয় না। চাইলে সহজেই এর সমাধান করা যাবে।
এ জন্য ইউএসবি পোর্টে পেনড্রাইভ লাগিয়ে নিয়ে CTRL+R বোতাম একসঙ্গে চেপে রান চালু করতে হবে।
এরপর regedit লিখে এন্টার চাপুন। এবার HKEY_LOCAL_MACHINE > SYSTEM > CurrentControlSet > Control > StorageDevicePolicies পর্যন্ত যান।
কোনো কোনো কম্পিউটারে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে StorageDevicePolicies নামের কি থাকে না। না থাকলে Control পর্যন্ত গিয়ে Control-এর ওপর মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করুন। New থেকে Key নির্বাচন করুন। এখানে StorageDevicePolicies লিখে এন্টার চাপলে সেটি তৈরি হয়ে যাবে। এবার ডান দিকে রাইট ক্লিক করে New থেকে ৩২-বিট উইন্ডোজের জন্য DWORD (32-bit) value এবং ৬৪-বিটের জন্য DWORD (64-bit) value-তে ক্লিক করে এটির নাম WriteProtect লিখে দিন। WriteProtect-এ দুই ক্লিক করে Value Data Box-এ 0 (শূন্য) লিখে ওকে চাপুন।
এবার স্টার্ট মেনুতে cmd লিখুন। cmd এলে সেটির ওপর মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করে Run as administrator চেপে খুলুন।
এবার এখানে diskpart লিখে এন্টার চাপুন।
আবার list disk লিখে এন্টার চাপুন।
তালিকায় আপনার পেনড্রাইভ দেখালে select disk K: লিখুন।
এখানে K: হচ্ছে পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার, আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার জেনে নিয়ে K: এর স্থানে সেটি লিখে এন্টার চাপুন।
এবার attributes disk clear readonly লিখে এন্টার চাপুন।
আবার clean লিখে এন্টার চাপুন।
পরের বার create partition primary লিখে আবার এন্টার চাপুন।
শেষে format fs=fat 32 লিখে এন্টার চাপুন।
কম্পিউটার রিস্টার্ট করে নিয়ে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করে নিন।
ওপরের নিয়মে কাজ না হলে আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার জেনে নিন। পেনড্রাইভ কম্পিউটারে লাগিয়ে শাটডাউন করুন। আবার কম্পিউটার চালুর বোতাম চেপে দ্রুত কি-বোর্ড থেকে (F8) কি চেপে ধরুন। Advanced Boot Options দেখাবে। এখানে কি-বোর্ডের ওপর-নিচ কি ব্যবহার করে Safe Mode with Command Prompt নির্বাচন করে এন্টার বোতাম চাপুন। ফাইল লোড সম্পন্ন হলে কমান্ড প্রম্পট চালু হবে। এখানে পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার K: লিখে এন্টার চাপুন। পরেরবার আবারও format K: লিখে এন্টার চাপুন। পেনড্রাইভ ফরম্যাট করতে চান কি না, সেটি জানতে Y/N কি চাপতে বলবে। তাই এখানে Y লিখে আবারও এন্টার চাপলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হওয়া শুরু করবে।
সারা দিনের ব্যস্ততা, না হয় জীবন যাপনে অনিয়ম। হটাৎ বাড়তি কাজের ফলে লাইফস্টাইলেও বদল। সময়মতো না খাওয়া বা বেশিরভাগ সময় খালি পেট। তার ওপর ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুডের প্রতি আষক্তি। এর ফলে শরীরে ভর করে নানান অসুখ। যা খাচ্ছেন, তাতেই অম্বল। পানি খেলেও পেট ভুটভাট করে। চোঁয়া ঢেকুর। গলা-বুক জ্বালা। বুকে ব্যথা। এ থেকে বাঁচতে, সাত-পাঁচ না ভেবেই হাতের কাছে থাকা অ্যান্টাসিড খেয়ে নিই। এভাবে এন্টাসিড খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। জানেন কি কী বিপদ ডেকে আনছেন?
অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে কিডনির। আর কিডনি দফারফা মানে হুট করে খুলে যাচ্ছে আরও বড় কোন অসুখের দরজা। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা। অ্যান্টাসিড কীভাবে ক্ষতি করছে কিডনির? কী রয়েছে অ্যান্টাসিডে? শুধু কিডনিই নয়, অ্যান্টাসিডে ক্ষতি গোটা শরীরের। চিকিৎসকদের দাবি, অ্যান্টাসিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। যা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট অম্বল কমানোর চেয়ে বাড়িয়ে দেয়।
* অ্যান্টাসিডের অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইডও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো বিপদ সাংঘাতিক। রক্তে ফসফেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকী ডেকে আনতে পারে অ্যালঝাইমার্স রোগ।
* ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রক্সাইড ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের কারণে ডায়েরিয়া প্রকট হয়। কিডনির সমস্যা থাকলে তো মারাত্মক বিপদ।
* অ্যান্টাসিডে থাকে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। রক্তে নুনের প্রকৃতিটাই বদলে দেয়। অ্যান্টাসিডের বিসমুঠ নুন এন্সিফ্যালোপ্যাথি ঘটাতে পারে। মস্তিষ্কের মারাত্মক রোগ। যার অন্য নাম ডিমেনশিয়া।
* অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড মিল্ক অ্যালকালি সিনড্রোম ঘটায়। অর্থাৎ রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম পৌছানো। যা কিডনি ফেলিওরের জন্য যথেষ্ট।
* দিনের পর দিন অ্যান্টাসিড ব্যবহারে ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক। দীর্ঘস্থায়ী মাথার যন্ত্রণা এবং হাড়ের রোগ হতে পারে। পেশির ক্ষতি করে। আলসার এবং পাকস্থলীর ক্যানসারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
তাই অম্বল হলেই যথেচ্ছ অ্যান্টাসিডের ব্যবহার নয়। গোড়া থেকে নির্মূল করতে হবে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। না হলে কিডনির সমস্যা অতি নিকটে।
সুস্থ্য শরীর, সুন্দর মন। দেহকে সুস্থ্য ও সবল রাখার জন্য আমরা প্রতিদিন কত কিছুই না করি! কারণ শরীর চাঙ্গা থাকলে সারাদিনের কাজেকর্মে প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে ওঠে। তাই শরীর সুস্থ্য রাখতে কিছু ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে মেয়েরা তাদের শরীর চাঙ্গা রাখতে এইসব ভিটামিন খান।
কখনো স্লিম হতে গিয়ে বাদ পড়ছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। এর ফলে অনেকের মুখেই অল্প বয়সেই বলিরেখার ছাপ পড়ে। এছাড়াও দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা, চলতে ফিরতে অস্বস্থি! তাহলে প্রতিদিন কী কী ভিটামিন না নিলেই নয়? প্রেগন্যান্সিতেই বা কোন ভিটামিন জরুরি? নারীদের কখন কোন ভিটামিন নেয়া আবশ্যিক? কোন খাদ্যে কোন ভিটামিন? মানব শরীরে কোন ভিটামিন কি কাজ করে?
চলুন দেখে নেয়া যাক এমন কয়েকটি ভিটামিন:-
ভিটামিন এ (A)
‘বিটা ক্যারোটিন’ শরীরে পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয় ভিটামিন-এ। চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখতে, ত্বক ভাল রাখতে ও নরম টিস্যুর উৎপাদনে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপ্রিকট, গাজর, পেয়ারা, কলা, পেঁপে, পিচ, কুমড়ো, লাল লঙ্কা, পালংশাক, টম্যাটোতে থাকে ভিটামিন-এ।
ভিটামিন সি (C)
ভিটামিন সি-তে থাকে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা শরীরের বিভিন্ন ক্ষত, সংক্রমণ সারাতে কাজ করে। শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে, স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে, মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিলে বা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন সি অথবা অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে কমে যেতে থাকে। ব্রকোলি, আঙুর, কিউই, কমলালেবু, আলু, স্ট্রবেরি ও টম্যাটো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
ভিটামিন ই (E)
ভিটামিন ই নারীদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। সানফ্লাওয়ার অয়েল, মার্জারিন, কর্ন অয়েল, কড লিভার অয়েল, পিনাট বাটার, হ্যাজেলনাট ও গমে ভিটামিন ই থাকে।
ভিটামিন কে (K)
বয়স্ক নারীদের হাড় শক্ত রাখতে ও রক্ত জমাট হওয়া আটকাতে ভিটামিন কে খুব ভালো। সয়াবিন অয়েল, ব্রকোলি, সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, ফিশ অয়েল ভিটামিন কে সমৃদ্ধ।
ভিটামিন বি৬ (B6)
ভিটামিন বি৬-কে বলা হয় পেরিডক্সিন। নার্ভের কাজ ঠিক রাখতে, শরীরে খাবারকে এনার্জিতে পরিবর্তিত করতে অর্থাৎ মেটাবলিজমের ক্ষেত্রে এই ভিটামিন প্রয়োজনীয়। নারীদের সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা ঠিক রাখতে, ডিম্বাণু উৎপাদনে কাজ করে এই ভিটামিন। তবে বেশি মাত্রায় এই ভিটামিন শরীরে গেলে ক্ষতিও হয়। মাছ, আলু, অ্যাভোগাডো, কলা, বিনস, মাংস, ওটমিল, দানাশস্য ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ।
ভিটামিন বি১২ (B12)
শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখার পাশাপাশি, লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে এই ভিটামিন জরুরি। চিজ, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ ও দই থেকে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। অ্যানিমিয়া থাকলে এবং নিরামিষ ডায়েটে অভ্যস্ত হলে শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায়।
ভিটামিন বি১ (B1)
কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের মেটাবলিজমের ক্ষেত্রে কাজ করে। যত বেশি ক্যালোরি শরীরে ঢুকবে এটি বেশি দরকার হয়। যারা বেশি অ্যালকোহল খান তাদের B1-এর অভাব হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ভিটামিন বি১ পাওয়া যায় বিনস, দানাশস্য, যব থেকে।
ভিটামিন বি২ (B2)
হেলদি ব্লাড সেল তৈরি করতে, এনার্জি বাড়াতে, হজম শক্তি ঠিক রাখতে, চোখ ও ত্বক ভালো রাখতে দরকার ভিটামিন বি২। দুগ্ধ জাতীয় খাবার, মাংস, ডিম, সবুজ সবজি, বাদাম এই ভিটামিন সমৃদ্ধ
নিয়াসিন বা বি৩
নিয়াসিন হল ভিটামিন বি৩। হার্টের সমস্যা এড়াতে, রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে, ধমনীতে রক্ত চলাচল, হজমশক্তি ও নার্ভ ফাংশন ঠিক রাখতে এর দরকার হয়। গাজর, বিনস, সবুজ সবজিতে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি (D)
যদিও এটাকে বলা হয় ভিটামিন, কিন্তু এটি কাজ করে হরমোনের মতোই। শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের জোগান দিয়ে হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। যখন শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব দেখা যায়, তখন হাড় থেকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস শরীর নেয়। ফলে দেখা যায় হাড় ক্রমশই নরম হতে থাকে। যা থেকে হয় অস্টিওপোরোসিস। ভিটামিন ডি-এর অভাব মেটাতে খান ডিম, মাছ। ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে ভালো উৎস সূর্যালোক বা রোদ। তবে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর বিশেষ করে নারীদের ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ফোলেট (ফলিক অ্যাসিড)
গর্ভস্থ সন্তানের সুস্থ মস্তিষ্ক ও শিরদাঁড়া তৈরি করতে প্রয়োজন ফলিক অ্যাসিড। কোষে ডিএনএ ও আরএএএ তৈরি করতেও সাহায্য করে এবং ডিএনএ-র পরিবর্তন আটকে ক্যানসার প্রতিরোধ করে। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে অ্যানিমিয়া রোধ করে এই ভিটামিন। প্রেগন্যান্ট নারীদের জন্য ফলিক অ্যাসিড অত্যন্ত জরুরি। পালংশাক, সবুজ সবজি, স্ট্রবেরি, রাজমা, কালো বিনস, দানাশস্য, ডিম ও মেটে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হল সেই সকল উপাদান, যেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মধ্যে পরে ‘ভিটামিন এ’, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই। শরীরের রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে বয়স ধরে রাখতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভূমিকা অনবদ্য। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে বাঁচায়।
যে কোন ঋতুর শুরুতেই সাইনাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে বর্তমান সময়ে এই সাইনাস সমস্যা প্রত্যেক ঘরে ঘরে। সাইনাস কখনও সকাল ১০ পর্যন্ত ঘন কুয়াশা, কোনও দিন মেঘলা, কখনও ঠান্ডা হাওয়া। একেক দিন আবহাওয়ার মুড এখন একেক রকম। মওসুম বদলের এই সময় বেশ ভোগায় সাইনাসের সমস্যা। আর অ্যান্টিবায়োটিকে সাময়িক রেহাই পাওয়া গেলেও গোটা মওসুমে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া যত্নে।
সাইনাসের ৫ ঘরোয়া চিকিৎসা:-
ফ্লুইড
ডায়েটে রাখুন ফল, সব্জির রস, স্যুপ, ডাল। প্রচুর পরিমাণ জল খান। এতে সর্দি কম জমবে।
অয়েল মাসাজ
তিল, ইউক্যালিপটাস, ল্যাভেন্ডার বা মেন্থল তেল মাসাজ করলে আরাম পাবেন।
মধু ও লেবুর রস
এই জুস ভিটামিন সি-র উৎকৃষ্ঠ উৎস। শীত কালে রোজ খান। সাইনাসের সমস্যা দূরে থাকবে।
ফল ও সব্জি
ডায়েটে রাখুন ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও সব্জি। যা সাইনাস প্যাসেজ থেকে মিউকাস পরিষ্কার করে সমস্যা কমাতে পারে।
স্টিম ইনহেলেশন
ছোট প্যানে জল গরম করুন। মাথায় তোয়ালে চাপা দিন। ১০-১৫ মিনিট টানা গরম জলের ভাপ নিন। এতে সাইনাস প্যাসেজ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, লাইকোপেন। সাধারণ পেয়ারার পাতায় রয়েছে অসাধারণ অনেক গুণ। যা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুণভাবে কাজ করে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে পেয়ারার পাতার কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্যকর গুণের কথা।
১. পেয়ারা পাতার চা নিয়মিত খেলে রক্তের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এটি ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে। তাই পেয়ারা পাতা ডায়বেটিস হ্রাসের একটি উপকরণ।
২. পেয়ারা পাতার চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি ডায়রিয়া ও ডিসেনট্রি কমাতে কাজ করে।
৩. কফ ও ব্রঙ্কাইটিস কমাতেও পেয়ার পাতার চা বেশ কার্যকর।
৪. পেয়ারা পাতার চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি চর্বি কমাতে কাজ করে এবং পেট ভরা ভরা ভাব রাখে। এতে ওজন কমে।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত পেয়ারার পাতার চা পান করা ভালো। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কাজ করে।
৬. পেয়ারা পাতার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি পাকস্থলীর সমস্যারোধে ভালো কাজ করে। এটি ফুড পয়জনিং রোধেও উপকারী।
৭. পেয়ারার পাতা পানিতে ফুটান। একে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর পানিটি মাথায় ম্যাসাজ করুন। চুল পড়া প্রতিরোধ হবে।
হৃদপিণ্ড দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যা সবসময় রক্ত সঞ্চালন করে আমাদের জীবিত রাখে। সুস্থ্য হৃদপিণ্ড সুস্থ্য জীবনের জন্য অপরিহার্য। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তার ধকল সইতে হয় হৃদপিণ্ডকে। এর ফলে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগে মৃত্যুর ৫০ শতাংশ হয়ে থাকে হৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার বিভিন্ন রোগের কারণে। রক্ত প্রবাহের আলোড়ন ও প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টির জন্য শিরার অভ্যন্তর ভাগের কোনো অংশ বিনষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশেষ কিছু খাবার শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে হার্ট সুস্থ রাখে। নিম্নে ওইসব খাবারের নাম দেয়া হলঃ
জলপাইয়ের তেল
জলপাইয়ের তেল কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা ম্যানুস্যাচুরেটেড চর্বি খারাপ কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে ও শিরায় রক্ত জমাট বাঁধায় বাধা দেয়।
রসুন
রসুন উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া হৃৎপিণ্ডের শিরার জমে যাওয়া রক্ত প্রবাহিত করে।
ডালিম
ডালিম একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি শিরার শক্ত হয়ে যাওয়া সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে এবং শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
মাছ
যেসব মাছের ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যেমন : স্যালমন, টুনা ইত্যাদি। এগুলো খাবারে জমাট বাঁধা রক্ত প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে।
টমেটো
টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন রয়েছে। যাদের শরীরে লাইকোপেন ভালো মাত্রায় থাকে, তাদের হৃৎপিণ্ডের শিরার সমস্যা কমে যায়। এছাড়া টমোটো হৃৎপিণ্ডের শিরাকে শক্ত হতে দেয় না।
#হৃৎপিণ্ড #হৃদপিণ্ড #সুস্থ্য রাখার #উপায়