চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিংবা একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো ড্রাগ ইন্টারেকশন।
এতে একাধিক ওষুধ নিজস্ব বিক্রিয়া করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আমাদের সেবন করা একাধিক ওষুধের মধ্যে কোনো একটি ওষুধ অন্য ওষুধের বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে বা অন্য ওষুধের কার্যকারিতা বাড়িয়ে বা কমিয়ে দিতে পারে।
ধরুন আপনি একেকটি রোগের কারণে ভিন্ন ভিন্ন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে থাকেন। একজন চিকিৎসক যে ওষুধ দিয়েছেন, অন্যজন তা না জেনেই আরেকটি ওষুধ দিচ্ছেন। তাই নিয়মিত বা এই মুহূর্তে কী কী ওষুধ খান, কোনো চিকিৎসকের কাছে গেলে সেটা তাঁকে অবশ্যই জানাবেন। অন্যথায় এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
কেমন ওষুধে হতে পারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া? এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই সঙ্গে রক্তে চর্বি কমানোর ওষুধ ও ছত্রাকরোধী ওষুধ খেলে চর্বি ও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে। আবার হৃদরোগের ওষুধ ডিগোক্সিনের সঙ্গে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক আছে যা না খাওয়াই ভালো। আবার থাইরয়েডের ওষুধের সঙ্গে অন্য কিছু ওষুধ একসঙ্গে খেলে ওষুধটির শোষণ কমে যেতে পারে।
অনেক সময় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধের ব্র্যান্ড পাল্টানো হয় বা একটি ব্র্যান্ড না থাকলে আরেকটি দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি পরবর্তী সময়ে চিকিৎসককে জানাবেন বা সঠিক ওষুধটি কিনবেন। অন্যথায় বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
সাধারণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বড়িও অন্য ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। এমনকি নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাবেন। অন্যথায় চিকিৎসকের সঠিকভাবে বিষয়টি জানা না থাকায় বিপত্তি হতে পারে।
No comments:
Post a Comment