সংগ্রাম: টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে টার্কির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছে মাদারকোল গ্রামের মিজানুর রহমান ইমরান ও মৌলভী পাড়ার আবু দারদা আনাস। ইমরান ও আনাস ছাড়াও লাভবান হওয়ায় অনেক বেকার যুবক টার্কির চাষ শরু করেছে। এতে আর্থিক সাফল্যের পাশাপাশি মাংসের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে।
টার্কি হলো বড় আকারের গৃহপালিত পাখি। সাধারণত এদের টার্কি মুরগি বা মোরগ বলা হয়। এদের মাংস সুস্বাদু। মুরগির সাংসের মতো করেই রান্না করা হয়। আমেরিকায় এদের উৎপত্তি হলেও ইউরোপে বিভিন্ন দেশে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়। পাশর্^বর্তী দেশ ভারত ও চিনে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও আমাদের দেশে এখনো এটি কম পরিচিত। তবে লাভবন হওয়ায় অনেকেই টার্কি পলনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমরান ও আনাস তুলে ধরেন তাদের স্বপ্নের কথা। স্বপ্ন দেখেন নিজেরা কিছু করে ভাগ্য বদলের। ইন্টারনেটে টার্কি মুরগির খামার দেখে তাদের আগ্রহ জন্মে। বিভিন্ন খামার পরিদর্শন করে তারা সিদ্ধান্ত নেন টার্কি মুরগির খামার করার। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দেলদুয়ার স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি পুকুরসহ প্রায় ২ একর জায়গা লিজ নেন। নিজেদের অর্থায়নে টার্কি মুরগি পালনের জন্য ঘর তৈরি করেন। “রংধনু মৎস্য এন্ড টার্কি খামার” নাম দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। সিলেট থেকে ৪৩টি টার্কি মুরগির বাচ্চা এনে লালন পালন শুরু করা হয়। প্রতিটি বাচ্চার দাম ১৫শ টাকা। ৭ মাস বয়স হলেই মুরগিগুলো ডিম দেয়া শুরু করে। বর্তমানে তাদের খামারে ৫৫টি বড় মোরগ/ মুরগি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৬টি মুরগি ডিম দিচ্ছে। প্রতিটি ডিমের দাম ২শ টাকা। ডিম ফুটানোর জন্য তারা খামারে মেশিন বসিয়েছেন। ইতিমধ্যে ৫০টি বাচ্ছা ফুটানো হয়েছে। বাচ্চা ফুটানোর জন্য আরও প্রায় ২শ ডিম মেশিনে বসানো হয়েছে।
ইমরান ও আনাস জানান, বড় একটি টার্কি মোরগ/ মুরগি প্রায় ২০ কেজি ওজনের হয়। বড় সাইজের একেকটি মোরগ/মুরগির দাম প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। খাবার হিসেবে ঘাস, কচুরিপানা ও তৈরি খাবার দেয়া হয়। তাদের মেশিনে অন্য খামারিদের ডিম ফুটানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া টার্কি মুরগির খামারের পাশাপাশি তারা পাবদা মাছের চাষ করছেন। তাদের পুকুরে প্রায় ৫ লাখ টাকার পাবদা মাছ রয়েছে। ইমরান ও আনাস বলেন, আমরা আশা করছি টার্কি মুরগি ও মাছের খামার করে নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারবো। পাশাপাশি অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment