আমরা অনেকে নিজের অজান্তেই নানাভাবে দাঁতের ক্ষতি করে থাকি। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসের কথা।
রাতে ব্রাশ না করা
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করুন। প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পরই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেড়ে যায় মুখে। যার ফলে দাঁত ক্ষয় হয়। এই অবস্থাকে প্রতিহত করার জন্যই সকালে ও রাতে ব্রাশ করা জরুরি। কোনো অবস্থাতেই রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করতে ভুলে যাবেন না।
টুথপিক ব্যবহার করা
দাঁতে আটকে থাকা খাবার অপসারণে টুথপিক ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, টুথপিক ব্যবহার করলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে। বিশেষত দাঁতে যদি ছিদ্র থাকে তাহলে সেই ছিদ্রে ইনফেকশন হতে পারে বা ছিদ্রটি আরো বড় হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ব্যথা আরো বৃদ্ধি পায়।
তাই টুথপিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে দাঁতের ভেতর আটকে থাকা খাবার বের করার জন্য সুতা, ফ্লস বা ব্রাশ ব্যবহার করুন।
শক্ত ব্রাশ ব্যবহার
দাঁত ব্রাশ করার জন্য নরম ব্রাশই ব্যবহার করুন। শক্ত বা মাঝারি শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে দাঁতের মাড়ি ও মুখের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। টুথব্রাশের ব্রিসল নরম হলে দাঁতের ফাঁকে প্রবেশ করে এবং খুব সহজেই বাঁকানো যায় বলে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করা যায়।
দাঁত ব্যথায় ব্যথানাশক ঔষধ
দাঁতের ব্যথায় চিকিৎসা করুন। ব্যথানাশক ওষুধ নয়। কারণ ব্যথানাশকে মূল সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে ব্যথা কমে যায় কিন্তু আসল সমস্যার সমাধান হয় না। অল্প ব্যথা থাকতেই আপনি যদি দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান তাহলে হয়তো দাঁত পরিষ্কার (স্কেলিং) করলেই এই ব্যথা থেকে মুক্ত হতে পারেন।
ঘরোয়া ওষুধে ক্ষতির আশঙ্কা
কিছু ঘরোয়া চিকিৎসায় দাঁতের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। এতে দাঁতের ক্ষতিও করতে পারে। যেমন- অ্যাসপিরিন বা অন্য কোনো ব্যথানাশক গুঁড়ো করে দাঁতের ফাঁকে ব্যবহার।
বাড়তি চাপে ব্রাশ
খুব বেশি চাপ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা উচিত নয়। এতে দাঁতের ও মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। খুব বেশি ঘষাঘষি করলে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। তাই ব্রাশ করুন মধ্যম চাপে।
No comments:
Post a Comment