আকারে যত ছোট, গুণে তত বড়। এক কথায় এটাই হল আমড়া। বহুমুখী উপকারিতার কারণে অনেকেই নিয়ম করে আমড়া খাচ্ছেন।
দুপুরের খাওয়া শেষ হতেই মা-মেয়ে সোজা ছাদে। নরম রোদ মাখা নিভৃত ছাদে তখন দু'জনের মনের রাজত্ব। কাঁচা আমড়া জুত করে ছাড়িয়ে, তারিয়ে তারিয়ে খায় মা ও মেয়ে।
প্রতিদিনের দূষণভরা জীবনে সুস্থ থাকার টোটকা এখন আমড়া। আমড়া ব্লাড পিউরিফায়ারের কাজ করে। স্ট্রেসের জাল বিছানো সমাজ জীবনে শরীর সুস্থ রাখাই যেখানে চ্যালেঞ্জ, সেখানে আমড়া মাস্ট। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি আর ক্যালসিয়াম। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। দামেও সস্তা। গুণে মহার্ঘ। তাই আমড়া খান রোজ। শরীর সুস্থ রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হার্টের সমস্যা রয়েছে? স্কিনের প্রবলেম? হজমের গোলমাল? হাজারো সমস্যায় মুশকিল আসান নাকি এই আমড়াই। নিয়ম করে আমড়া খান। কথায় বলে আম আর আমড়া এক নয়। আমের সঙ্গে তুলনায় কম খোঁটা হজম করতে হয় না আমড়াকে!
কিন্তু দিন বদলাচ্ছে। তথ্যের অধিকার আইনে গোপন কথা আর গোপন থাকছে না। তাই আমড়াও এখন বুক ঠুকে বলতে পারে, হতে পারে আম ফলের রাজা। কিন্তু গুণ বিচার করলে সেও কম যায় না!
তথ্য বলছে, ১০০ গ্রাম আমড়ায় থাকে ৪৬ কিলো ক্যালোরি, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ১২.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫৬ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৬৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন C ৩৬ মিলিগ্রাম।
আমড়ার উপকারিতা ও গুণাবলী-
১. রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
২. স্ট্রোক ও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
৩. চর্বি কমিয়ে হৃত্পিণ্ডে সঠিক ভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে
৪. চিনির পরিমাণ কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন
৫. আমড়ার খোসায় থাকা আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে
৬. ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ি শক্ত করে
৭. দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ বের হওয়া প্রতিরোধ করে
৮. আমড়া পিত্ত ও কফ নাশ করে, কণ্ঠস্বর পরিষ্কার রাখে
৯. নিয়মিত আমড়া খেলে চুল, নখ, ত্বক সুন্দর থাকে
১০. অরুচি দূর করে, শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপ কমায়
১১. আমড়ায় থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
১২. রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বাড়ায়
অর্থাৎ এ হল একেবারে ফুডভ্যালুর জ্যাকপট। তাই আমড়া খান নিশ্চিন্তে।
No comments:
Post a Comment