প্রযুক্তির দুনিয়ায় বিনোদনের জিনিসের অভাব নেই। শুধু নির্ভেজাল বিনোদনই নয়, দারুণ কাজের সব জিনিসপত্র অহরহ মেলে।
এখানে বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু জিনিসের কথা জানিয়েছেন জীবনে যার কোনো দরকার নেই। এগুলো তেমন কোনো কাজের নয়। কিন্তু দারুণ মজার। সময়টা দিব্যি উপভোগ্য করে তোলে।
ফিজেট স্পিনার
বলা হয়, মানসিক চাপ কমায় এই খেলনাটি। এটা আসলে আবিষ্কৃত হয় সেই ৯০-এর দশকে। সম্প্রতি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এর কিন্তু অ্যাপও বের হয়েছে। এর কাজ স্মার্টফোনের স্ক্রিনে ফিজেট ঘোরানো।
এটা ঘোরানো ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। অন্য কোনো কাজেও লাগে না। স্ট্রেস কাটুক বা নাই কাটুক, সময়টা দারুণ কাটে।
পুপলগ
মজার বিষয় হলো, এই অ্যাপের কাজ হলো আপনার পেটের মধ্যে বর্জ্যের নড়াচড়া নখদর্পনে রাখে। শুধু তাই নয়, মল কোথায় আছে বা এর রং কি কিংবা শ্লেষ্মার পরিমাণও জানায় অ্যাপটি। চার্টের মাধ্যমে মল ত্যাগের তালিকাও সংরক্ষণ করতে পারবেন।
মেটাল ডিটেক্টর
নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, আপনার স্মার্টফোনে জুড়ে দেওয়া চৌম্বকীয় সেন্সরকে কাজে লাগিয়ে মেটাল ডিটেক্টর হয়ে যাবে তা। অ্যাপটি চালু করে মাটির এদিক ওদিক ঘোরাতে থাকেন, আশপাশের ধাতব পদার্থের উপস্থিতি সম্পর্কে জানান দেবে অ্যাপটি। এটা আসলে তেমন কাজের না। কিন্তু আনন্দ দেয়।
হোদোর কিবোর্ড
যারা গেমস অব থ্রোন্স-এর ভক্ত তারা নাম শুনেই ধারণা পেয়েছেন। এই কিবোর্ডে আপনি কিছুই টাইপ করতে পারবেন না। কেবল 'হোদোর' শব্দটি লিখতে পারবেন। ইনস্টল করার পর অন্যান্য কিবোর্ডের মতোই সেটআপ করতে হবে। এটার মাধ্যমে 'ম্যাক্সিমাম হোদোর' বা সুয়াইপ লেফট পদ্ধতিতে 'আনহোদোর' লিখতে পারবেন।
ভার্চুয়াল সিগারেট স্মোকিং
এটাও একটা অ্যাপ। স্মার্টফোনে ভার্চুয়াল সিগারেট দেখতে ও টানতে পারবেন। এ কাজটি কেবলি পর্দায় করতে পারবেন। কাজের নয়, কিন্তু সময় কাটানোর মতো। চাইলে সিগারেটটি দ্রুত পোড়ানোর মাধ্যমে স্মার্টফোনের বিস্ফোরণও ঘটাতে পারবেন, তবে ভার্চুয়ালি।
অ্যান্টি মসকিউটো সিমুলেটর
অনেক ধরনের অ্যাপ রয়েছে যা আপনাকে বোকা বানায়। এগুলো কেবল মজা। যদিও বলা হয়, মশা তাড়ানোর অ্যাপ এটি। শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে মশাদের ভাগিয়ে দেয়। আসলে দেয় কিনা তা অ্যাপ প্রস্তুতকারীও গ্যারান্টি দিতে পারেন না।
No comments:
Post a Comment