সন্তান প্রতিপালনে ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

সন্তান প্রতিপালন কর‌তে গি‌য়ে বাবা-মা‌য়ে‌দের ক‌তো শ‌ত বৈ‌রি প‌রি‌স্থি‌তির সম্মুখীন হ‌তে হয়, তা সন্তা‌নের প্র‌তিপালক না হ‌লে বুঝার সাধ্য নাই। ত‌বে মা‌য়ে‌দের উপরই এই ব্যাপার‌টি সবার চে‌য়ে বে‌শি প্রভা‌বিত ক‌রে। তাই শিশু‌দের লালন-পালন কর‌তে গুরুত্বপূর্ণ ক‌য়েক‌টি বিষয় মনে রাখুনঃ

১. প্রতিটি শিশুই আলাদা
প্রতিটি সন্তানই পৃথক একজন ব্যক্তি। আর এ জন্য প্রত্যেক শিশুর নিজস্ব ধরনের চিন্তাভাবনা, আবেগ, কাজ ও কৌতুহল থাকে। মা-বাবার কাজ হবে তার এ চিন্তাভাবনাগুলোকে মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তার মূল্য দেওয়া। এ বিষয়গুলো মনে রেখে তাকে তার ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করতে হবে।

২. আবেগগত বুদ্ধিমত্তা গড়ুন
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষাটি যারা সবচেয়ে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারে তারা বাস্তব জীবনে সফল হয়। আর শিশুর আবেগগত বুদ্ধিমত্তা গড়ে তোলার জন্য মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ছোটবেলাতেই বিষয়টিতে মনোযোগী হতে হবে প্রয়োজনে মা-বাবাকে।

৩. শিশুর আবেগকে স্বীকৃ‌তি দিন
আপনার শিশু যদি কোনো কারণে কান্নাকাটি শুরু করে তাহলে তাকে বলবেন না যে কান্না বন্ধ করো। তার বদলে তাকে কাঁদতে দিন এবং তার সে অনুভূতিকে উপলব্ধি করুন। তার সঙ্গে কথা বলুন, কারণ জানার চেষ্টা করুন। সঙ্গত হলে বুঝতে দিন তার কষ্টে আপনিও দুঃখ পাচ্ছেন। আপনি যদি তার অনুভূতির বিপরীত আবেগ প্রদর্শন করেন তাহলে এটি তার সঙ্গে আপনার দূরত্ব তৈরি করবে এবং তার আবেগকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করবে।

৪. শিশুকে সময় দিন
শিশুর সঙ্গে প্রতিদিনই পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ রাখুন। শিশুকে এমন কোনো কাজ করতে দিন যা উভয়েই উপভোগ করেন। আপনার কাছে তার গুরুত্ব তুলে ধরুন। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

৫. শিশুর মানসিক চাহিদা পূরণ করুন
বেশির ভাগ মা-বাবা শিশুর খাবার-দাবার ও অন্যান্য শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে তৎপর থাকলেও তার মানসিক চাহিদা পূরণ করার বিষয়ে কোনো ধারণা রাখেন না। যদিও শিশুর আবেগগত ও মানসিক চাহিদা পূরণ করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

No comments:

Post a Comment