বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে ফল বা সব্জির রসের উপকারিতার কথা আর নতুন করে কিছুই বলার নেই। ছোট শিশু থেকে বয়স্ক, যে কোনো বয়সের, যে কোনো সমস্যার জন্যই রয়েছে ফল, সব্জির রসের নানা রকম টোটকা। জেনে নিন এমনই কিছু সমস্যায় কোন কীসের রস খেলে উপকার পাবেন।
নার্ভাসনেস: এই সমস্যায় অল্পবিস্তর সকলেই ভোগেন। কারো কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বড় আকার ধারণ করে। গাজর, সেলেরি ও বেদানার রস এই সমস্যা দূর করতে পারে।
ঠান্ডা লাগা: মৌসুম বদলের সময় ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। সারা বছর সকালে গাজর, আনারস, আদা ও রসুনের রস খেলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
ক্লান্তি: কাজের চাপ, স্ট্রেসের কারণে দিনের শেষে ক্লান্তি, সকালে ঘুম থেকে উঠার সমস্যায় এই প্রজন্মের সকলেই অল্পবিস্তর ভোগেন। এই সমস্যার সমাধানে গাজর, বিট, কাঁচা আপেল, লেবু ও পালং শাকের রস খান।
বাত: শরীরচর্চা অভাব ও অনিয়মিত খাওয়া দাওয়ার কারণে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতের সমস্যা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। বয়স কম থাকতেই রোজ গাজর, সেলেরি, আনারস, লেবুর রস খেলে বয়সকালে এই সমস্যা এড়াতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য: সকালে উঠে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা দূরে রাখতে রোজ খান গাজর, আপেল ও টাটকা বাঁধাকপির রস।
স্মৃতিশক্তি: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমে আসার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। নিয়মিত বেদানা, বিট ও আঙুরের রস এই সমস্যা দূর করতে পারে।
অ্যাস্থমা: মৌসুম বদলের সময় অ্যাস্থমার প্রকোপ খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। সুস্থ থাকতে রোজ গাজর, পালং শাক, আপেল, রসুন ও লেবুর রস খান।
মাথা যন্ত্রণা: মাইগ্রেনের সমস্যা যারা ভোগেন অনেক সময়ই তাদের যন্ত্রণায় মাথা ছিঁড়ে যাওয়ার অবস্থা হলেও কোনও কিছুতেই রেহাই মেলে না। এই সময় আপেল, শশা, কেল, আদা ও সেলেরির রস খেলে আরাম পাবেন। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন নিয়ম করে এই রস খেলে মাইগ্রেনের প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে যাবে।
হ্যাংওভার: উৎসবের মৌসুম পার্টি লেগেই থাকে। তার সঙ্গে জুড়ে যায় পরদিন হ্যাংওভারের সমস্যা। হ্যাংওভার কাটাতে খান আপেল, গাজর, বিট ও লেবুর রস।
আলসার: যদি আলসারের সমস্যা থাকে আপনার তাহলে রোজ গাজর, বাঁধাকপি ও সেলেরির রস খেলে উপকার পাবেন।
স্ট্রেস: কলা, স্ট্রবেরি ও নাসপাতির রস রোজ খেলে স্ট্রেস থাকবে দূরে।
কিডনি ডিটক্স: যদি কিডনি ডিটক্স করতে চান তাহলে তরমুজ, শশা, কিলোন্ট্রো ও গাজরের রস খান।
No comments:
Post a Comment