সম্ভাবনাময় যে ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন– ২

প্রথমআ‌লো: প্রথম পর্বে লিখেছিলাম একজন স্বাধীন ইভেন্ট প্ল্যানার হয়ে আপনি কীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই লেখাটি প্রথম আলোতে প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই আমাকে ইমেইল করে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ব্যবসাটি শুরু করা যায় কিনা। একজন ব্যবসায়িক পরামর্শক হিসেবে আপনাদের জন্য আমার উপদেশ হলো, যেকোনো ব্যবসা শুরু করবেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেখে নিন ব্যবসাটি আপনার চিন্তা, চেতনা, আবেগ, অনুভূতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সঙ্গে যায় কিনা? দ্বিতীয়ত ব্যবসাটি করার জন্য যেসব দক্ষতা প্রয়োজন সেসব দক্ষতাগুলো আপনার মাঝে আছে কিনা। যদি না থাকে তবে সেসব দক্ষতা অর্জনের জন্য পরিকল্পনা করেছেন কিনা। সর্বোপরি আপনার পরিপূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আছে কিনা এবং সে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি আছে কিনা দেখে নিন।

পর্ব-দুই

হলিডে ও উপলক্ষ উপহার সেবা
আগের পর্বে আমি ইভেন্ট প্লানিং ব্যবসা সম্পর্কে লিখেছিলাম। এ পর্বে থাকছে হলিডে ও উপলক্ষ উপহার সেবার ব্যবসা সম্পর্কে। এই ব্যবসাটি আপনি সম্পূর্ণ ঘরোয়াভাবে করতে পারেন। আবার যদি একটু বড় আকারে করতে চান তবে তাও করতে পারেন। আপনি যদি শৈল্পিক ও সৃজনশীল হন এবং উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকে, তবে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। প্রতি মানুষই তার প্রিয়জনদের খুশি করতে চান। ছেলের জন্মদিনে, মা দিবসে, ঈদে, বার্ষিকীতে, বন্ধু দিবসে, আরও কত কী! ছেলের উপহার, মায়ের উপহার, ভালোবাসার মানুষের উপহার, বন্ধুর উপহার, প্রতিবেশীর উপহার, অফিসের বস বা সহকর্মীর জন্য উপহার, এর কি শেষ আছে?
এই কাজটি করার জন্য কত ঝামেলা পোহাতে হয়। বাজারে যাও, উপহার পছন্দ করো, উপহার বক্স কেনো, মলাট লাগাও কত কী! আর এই কাজটি আপনি যদি পেশাধারী হিসেবে করেন তবে সেটা হতে পারে আপনার ব্যবসার নতুন দুয়ার। আপনার কাছে মনে হতে পারে, এটা এমন আর কী, আমাদের দেশে দোকানগুলোতে গেলে তো উপহার বক্স পাওয়া যায়! ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। একজন পেশাধারী উপহার শিল্পকে যেভাবে দেখবেন, মানুষের রুচি, ডিজাইন ও সামর্থ্যের মধ্যে যে সমন্বয় করবেন, সেটা একজন সাধারণ উপহার বিক্রেতার মাধ্যমে সম্ভব নয়। কারণ এর ওপর তার দক্ষতা, গবেষণা আর পরিশ্রমের ফলেই তিনি মানুষকে নতুন কিছু স্বাদ দিতে পারবেন।

কীভাবে শুরু করবেন?
যদি এই ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হন তবে ধরে নেব উপহার সামগ্রী কেনা, ডিজাইন করা, মলাট করা ইত্যাদির ওপর কিছুটা হলেও আপনার ধারণা আছে। এরপরও আপনাকে এর ওপর কিছু পড়াশোনা করতে হবে। জানতে হবে মানুষের রুচি, কোন মানুষ কি ধরনের উপহার কেনেন, কোন উপলক্ষে কি ধরনের উপহার কেনেন। সব ধরনের উৎস ও উপলক্ষ জানতে হবে। যদি একা একা শুরু করেন তবে ভালো হয়। যদি এডোবি ফটোশপ শিখে নেন তাহলে নিজের ডিজাইনগুলো নিজে করে নিতে পারেন। নিজের কনটেন্টগুলো নিজে আপলোড করতে পারেন। আপনি সম্পূর্ণ ঘরোয়া এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন তবে বিক্রি ও বাজারজাত করার জন্য আপনাকে কিছু কৌশল গ্রহণ করতে হবে। স্টোর দিয়ে শুরু করুন বা ঘরোয়া শুরু করুন। শুরু থেকে অনলাইন অপশন আপনাকে রাখতে হবে। আমার পরামর্শ হলো শুরুতে স্টোর না দিয়ে একটি ভালো ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া সাইট দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটটি হবে ২৪ ঘণ্টার স্টোর। ব্যবসা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি এটা সম্প্রসারণ করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার ওয়েব ডেভেলপারের সাহায্য লাগবে। তার চেয়ে বড় কথা হলো এটা করার আগে একজন কনটেন্ট রাইটার ও ব্যবসায়িক পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

প্রথম কথা শেষে, যদি সিদ্ধান্ত নেন এই ব্যবসাটি করবেন তবে প্রথম কাজ হবে এই ব্যবসার খুঁটিনাটি সব জানা। এরপর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপনি যদি ক্রিয়েটিভ ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন অথবা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বা চারুকলা নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন বা স্বপ্রণোদিত ডিজাইনার হন তবে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন।

কারা আপনার গ্রাহক?
প্রত্যেক ব্যক্তি ছোট বড় সবাই আপনার গ্রাহক হতে পারেন। কিন্তু এটা মনে করে আপনি যদি ভাবেন সারা বিশ্বই আপনার বাজার তাহলে হয়তো আপনাকে কোনো কিছু বিক্রি না করে বসে থাকতে হবে। এ জন্য আপনাকে গবেষণা করতে হবে, নিজের বাজার নির্দিষ্ট করতে হবে এবং সে অনুসারে আপনাকে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আপনার ক্রেতাদের মধ্যে কিছু হবেন ব্যক্তিগত ক্রেতা এবং কিছু হবেন ব্যবসায়িক ক্রেতা। ব্যক্তিগত ক্রেতাদের মধ্যে একটা বড় অংশ হবেন নারী। তারা সাধারণত উপহার সামগ্রী বেশি কেনেন। ব্যক্তিগত ক্রেতারা সাধারণত জন্মদিন, বার্ষিকী, বিভিন্ন দিবস, ধর্মীয় উৎসব, পারিবারিক পার্টি ইত্যাদিতে উপহার সামগ্রী কিনে থাকেন। ব্যবসায়িক ক্রেতাদের থেকে আপনি লম্বা অর্ডার পেতে পারেন। কিছু কিছু করপোরেট তাদের কর্মচারীদের জন্মদিন, বার্ষিকী, পদোন্নতি, অবসর উদ্‌যাপন করে। এ ছাড়া গ্রাহকদের জন্যও কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন উপলক্ষে উপহার সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে সারা বছরই তাদের থেকে অর্ডার পেতে পারেন। দূরের গ্রাহকদের জন্য ডেলিভারি ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আপনি কি বিক্রি করবেন?
আপনি কী কী পণ্য বিক্রি করবেন সেটা নির্ভর করে আপনার আগ্রহী গ্রাহকদের ওপর। আপনাকে জানতে হবে সক্রিয় গ্রাহকেরা কোন কোন উপহার সামগ্রী কেনার জন্য তাদের পয়সা খরচ করে। একটা হলো আপনি ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে বক্স তৈরি করতে পারেন আবার আদর্শ উপহার বক্সও তৈরি করতে পারেন। উভয় ক্ষেত্রেই আপনাকে গবেষণা করতে হবে। প্রতিটি বক্সের সঙ্গেই আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ড, বাজারজাতকরণ ও ভবিষ্যৎ নিহিত। সুতরাং এগুলো তৈরির আগে ভালোভাবে চিন্তা করে নেবেন। আগে প্রতি উপহারের জন্য বিভাগ ঠিক করে নিন। এটা আপনাকে ইনভেনটরি ব্যবস্থাপনায়ও সাহায্য করবে।

কত খরচ হতে পারে?
নির্ভর করে আপনার ব্যবসার আকারের ওপর। ইচ্ছা করলে ১০ হাজার টাকা দিয়েও শুরু করতে পারেন। কিন্তু যদি স্টোর দিয়ে শুরু করেন তাতে মূলধন বেশি লাগবে। তবে যত ছোট হোক বা যত বড় হোক কোম্পানির গঠন যেন একটি আদর্শ কোম্পানির মতো হয়। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করে দেখেন আপনার কত প্রয়োজন এবং আপনার কত আছে। ডিজাইন, পরিকল্পনা ও লক্ষ্য সবকিছুই হতে হবে নিয়ম মতো। যদি ঘরোয়াভাবে শুরু করেন তবে একটি রুমকে আপনার স্টোর হিসেবে ব্যবহার করতে হবে যেখানে বক্স করার টেবিল, গিফট রাখার শেলফ, প্যাকেজিং ও শিপিংয়ের সরঞ্জাম, অফিস সরঞ্জাম রাখতে পারেন। আপনার যদি কিছু সরঞ্জাম যেমন শেলফ, টেবিল, কম্পিউটার আগে থেকেই থেকে থাকে তাহলে শুরুর খরচ অনেক কম লাগবে। শুরুর খরচ যদি কমে করতে চান তবে প্রথমেই ওয়েবসাইট তৈরি করার দরকার নেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ওয়েবসাইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। পরে ব্যবসা প্রসারের সঙ্গে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে নেবেন। আপনার মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল ও গিফট বক্সের সরবরাহগুলো প্রথম থেকেই থাকতে হবে।

যেসব যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী লাগবে
—একটি ওয়ার্ক স্টেশন থাকতে হবে যেখানে কাজের জন্য টেবিল, ক্রাফটিংয়ের জন্য যন্ত্রপাতি, রেপিং পেপার, সাইনেজ, মোড়ক বাঁধার জন্য হিটগান থাকতে হবে।
—উপহার সামগ্রী রাখার জন্য কিছু শেলফ থাকতে হবে।
—আপনি যদি স্টোর দিয়ে শুরু করেন তবে স্টোরের জন্য ক্যাশ রেজিস্ট্রার, শপিং ব্যাগ, গিফট বক্স, সেলস ট্যাগ ইত্যাদির প্রয়োজন হবে।
—প্যাকেজিং ও শিপিংয়ের জন্য কিছু সামগ্রী লাগবে।
—কিছু অফিস সাপ্লাই যেমন কম্পিউটার, ল্যান্ড ফোন, প্রিন্টিং মেশিন, ক্যামেরা ইত্যাদি লাগবে।
—গিফট বক্স সামগ্রী ও অন্যান্য।
—ফিনিশ প্রোডাক্ট রাখার ডিসপ্লে।

বাজারজাতকরণ
ব্যবসার সফলতা ও প্রসারের অন্যতম শর্ত হলো বাজারজাতকরণ। যত উন্নত পণ্যই আপনার থাকুক না কেন যদি ভালো বাজারজাতকরণ কৌশল না থাকে তবে পণ্য ঘরেই পড়ে থাকবে, বিক্রি হবে না। সে জন্য আপনার ব্যবসা ও পণ্যের বাজারিকরণ করতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী বাজারজাতকরণ পছন্দ করেন না কিন্তু আপনি যদি কৌশল জানেন তবে এটা আপনার জন্য মজার অভিজ্ঞতা হবে।

বাজারজাত করার জন্য যে কৌশলগুলো অবলম্বন করতে পারেন
—সব সময় যথেষ্ট পরিমাণ বিজনেস কার্ড ও ব্রুশিয়ার রাখুন। যখনই সুযোগ পান পরিচিত, অপরিচিত সকলের মাঝে বিতরণ করুন।
—আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করতে চান তবে এলাকা নির্ধারিত করে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের ডেটাবেইস তৈরি করুন। ধরুন আপনি যদি এলাকায় এক শ ভবন টার্গেট করেন এবং প্রতি সপ্তাহে পাঁচটি ভবনের ডেটা সংগ্রহ করেন তাহলে ছয়ড মাসে আপনার এলাকার ডেটাবেইস তৈরি হয়ে যাবে। নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও ইমেইল সংগ্রহ করবেন। প্রথম থেকেই এদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করুন এবং আপনার ব্যবসার কথা জানান।
—মার্কেটিংয়ের ১০ নিয়ম ব্যবহার করুন। প্রতিদিন সম্ভাব্য ১০ জন গ্রাহককে কল বা ইমেইল করুন, ১০ জনের সঙ্গে দেখা করুন ও ১০ জন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করুন।
—যদি কেউ আপনার ব্যবসার জন্য গ্রাহক পাঠান তবে প্রেরককে শুভেচ্ছা উপহার পাঠান।
—প্রতিটি উপহার বক্সের সঙ্গে আপনার বিজনেস কার্ড ও ব্রুশিয়ার দিন।
—যদি কোনো গ্রাহক আপনার পণ্যে সন্তুষ্ট না হন তবে তাদের সমস্যা সমাধানে ত্বরিত পদক্ষেপ নিন। মনে রাখবেন, গ্রাহকসেবা হলো আপনার ব্যবসার সবচেয়ে বড় অবলম্বন।
—বিভিন্ন উপলক্ষ ও বিশেষ দিনের আগেই গ্রাহকদের স্মরণ করিয়ে দিন। পোস্ট কার্ড, ইমেইল অথবা কল করতে পারেন।
—সরাসরি বাজারজাতকরণ কৌশল অবলম্বন করতে হবে যাতে গ্রাহক থেকে গ্রাহক আপনার পণ্যের প্রসার করে।

আয় ও মূল্য নির্ধারণ
আয় নির্ভর করছে আপনি কতটা কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং আপনি কতটা বড় আপনার ব্যবসা দেখতে চান। পূর্ণ সময় নিয়ে যদি একটা ভালো শুরু করতে পারেন তবে বছরে ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার ওপরে উপার্জন করতে পারেন।
মূল্য নির্ধারণে একটু সাবধানী হওয়া ভালো। যদি খুব কমমূল্য নির্ধারণ করেন তবে আপনি লাভ অথবা পণ্যের গুণগত মান নষ্ট করবেন আবার খুব উচ্চমূল্য নির্ধারণ করলে আপনি গ্রাহক হারাবেন। শ্রমমূল্য, পণ্য খরচ, প্যাকেজিং খরচ, সরবরাহ খরচ, বিক্রি ও বাজারজাত খরচ এবং অন্যান্য সব যোগ করে পণ্যমূল্য বের করবেন। এ ছাড়া ডিজাইনের ভিন্নতা, গ্রাহকের আকর্ষণের ওপরও কোনো কোনো পণ্যের দামের ভিন্নতা হতে পারে। এরপর ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ লভ্যসীমা রেখে বিক্রি মূল্য নির্ধারণ করুন। আবার ক্ষতি পোষানোর জন্য বা বিক্রি বাড়ানোর জন্য লভ্যসীমা বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
এখানে অনেক কিছু জড়িত। যেমন কীভাবে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করবেন। কীভাবে আপনার ব্র্যান্ডিংয়ের সঙ্গে ডিজাইনের মিল করবেন। কীভাবে গ্রাহকসেবা, সেলস ও বাজারজাত কৌশল ঠিক করবেন। বিজনেস কার্ড, ব্রুশিয়ার, ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়াসাইট তৈরি করতে কী কী টেকনিক অবলম্বন করবেন। কীভাবে কমার্শিয়াল গ্রাহকদের জন্য গিফট প্রপোজাল তৈরি করবেন। কীভাবে লিড জেনারেট ও পণ্য ব্যবস্থাপনা করবেন ইত্যাদি। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসাটি করতে আগ্রহী হন তবে এক পাতার মধ্যে ব্যবসায়িক পরিকল্পনার সারমর্ম তৈরি করে ইমেইল করবেন, আমি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করব। আমি সাধারণত সপ্তাহান্তে ইমেইলের উত্তর দিয়ে থাকি।

আপনার ব্যবসায়ের যাত্রা শুভ হোক, সকলের জন্য শুভ কামনা। (চলবে)

আ হ ম করিম: নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। ইমেইল: za19@outlook.com

ধারাবাহিক এই রচনার আগের পর্ব দেখতে-  এখানে ক্লিক করুন

1 comment: