অবশেষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করছে ‘পেপাল’। আগামী ১৯ অক্টোবর অনলাইনে অর্থ স্থানান্তরের এই সেবার শুভ উদ্বোধন হবে।
১৮ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭’র দ্বিতীয় দিনে পেপ্যাল সেবার উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ‘বুস্ট ইউর বিজনেস’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এতথ্য জানান।
পলক বলেন, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি সুখবর রয়েছে। ১৯ অক্টোবর আইসিটি মেলায় সকাল ১০টায় বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে পেপাল উন্মোচন করা হবে।
তিনি বলেন, এতোদিন ফ্রিল্যান্সারদের পেপাল অ্যাকাউন্ট ছিলো না বলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পেপাল চালু হলে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা উপকৃত হবেন। এছাড়া রেমিট্যান্স আসার হার বাড়বে। আইসিটি খাতে রেমিট্যান্সে যে লক্ষ্য তা অর্জনে সহায়তা করবে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে পেপাল চালুর জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। সেবাটি বাংলাদেশে দ্রুত শুরুর ব্যাপারে আহ্বান জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পেপালের সদর দফতরে পেপালের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মে মাসে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে পেপ্যালের সেবা (জুম) চালু করে সোনালী ব্যাংক। তবে শুরুতে এতে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণ ও বিতরণ কার্যক্রম চালুর কথা বলা হলেও ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ের অর্থ লেনদেনের সুবিধা ছিল না। এখন থেকে সোনালী, রূপালী, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ নয়টি ব্যাংকে পেপাল সেবা পাওয়া যাবে, যা ধীরে ধীরে আরও সম্প্রসারিত হবে।
পেপাল কি?
মার্কিন কোম্পানি পেপাল হোল্ডিংস বিশ্বব্যাপী অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। এটি অনলাইন অর্থ স্থানান্তর ও প্রচলিত কাগুজে পদ্ধতির পরিবর্তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ইন্টারনেট পেমেন্ট কোম্পানি হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় মাধ্যম।
‘পেপাল’ বিশ্বের বৃহত্তম ইন্টারনেট পেমেন্ট সিস্টেম। অনলাইন বিক্রেতা কোম্পানি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের জন্য একটি পেমেন্ট ব্যবস্থা হলো এটি। এর মাধ্যমে কোনো কোড নম্বর ছাড়া শুধু ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ স্থানান্তর করা যায়।
No comments:
Post a Comment