ক্ষুধা কম লাগ‌লে করণীয়

আপনি কি ক্ষুধা না লাগা বা ক্ষুধা কম লাগার সমস্যায় ভুগছেন? মাঝে মধ্যে খাবার খেতে ইচ্ছে না হতেই পারে। তবে কয়েকদিন টানা খাবার খেতে অনীহা হলে এর পেছনে কিন্তু কিছু কারণ লুকিয়ে থাকে। ক্ষুধামন্দা শরীরের জন্য ভালো নয়।

১. প্রায়ই ক্ষুধা না লাগার একটি বড় কারণ হলো ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রম বা আইবিএস। এই রোগে পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, মলত্যাগের ধরন বদলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়। আর পেট ব্যথা হলে, পেট ফেঁপে থাকলে কার খেতে ভালো লাগে বলুন? তাই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষুধা না লাগলে, পেট ব্যথা বা ফাঁপার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. অবসন্নভাব, বমি ও ডায়রিয়া ইত্যাদি লিভারের সমস্যার লক্ষণ। এতেও ক্ষুধা কমে যায়। এ ধরনের সমস্যায়ও চেকআপ করুন।
৩. মুখে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ অনেক সময় ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। এতে খাবারের স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়; খেতে ইচ্ছে করে না। তাই সংক্রমণ বাড়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি ক্ষুধার ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে আয়রন ও ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হলে এই সমস্যা হয়।
৫. কোনো বিষয় নিয়ে উদ্বেগ বোধ করলে, অনেক সময় খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়।
৬. ওজন অনেক কমে যাওয়া এবং ক্ষুধামান্দ্য হওয়া অ্যানোরেজিয়া রোগের লক্ষণ। এ রকম সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭. বিষণ্ণতার কারণে অনেক সময় ক্ষুধা কমে যায়। তাই বিষণ্ণতায় ভুগলে প্রফেশনাল কারো সাহায্য নিতে পারেন।
৮. অনেক সময় অনেক ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে খাওয়ার জন্য ক্ষুধা কমে যেতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক, মরফিন, কেমোথেরাপি ইত্যাদি সমস্যায় ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে।
৯. কিছু ক্যানসারে স্বাদ কমে যায়। এতে খাওয়ার ইচ্ছে কমে আসে। যখন টিউমার বাড়ে এটি ক্ষুধার ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে পাকস্থলি, কোলন, প্যানক্রিয়াস, ওভারি ইত্যাদির ক্যানসারের ক্ষেত্রে এটি বেশি হয়।
১০. ক্রনিক-অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি বা আলঝাইমার রোগে খাওয়ার ধরনের পরিবর্তন হয়। আপনার ৬৫ বছর বয়স হলে এবং ক্ষুধামান্দ্য থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

No comments:

Post a Comment