বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখে ছানি হয়। তবে ছানি কি প্রতিরোধ করা যায়। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৩৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. হাফিজুর রহমান। বর্তমানে তিনি ভিশন আই হাসপাতালের ফ্যাকো ও রেটিনা সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চোখের ছানি প্রতিরোধের কি কোনো সুযোগ আছে?
উত্তর : ছানি তিন ধরনের। একটি হলো কর্টিক্যাল ক্যাটারেক্ট, পোস্টিও সাব ক্যাপসুলার ক্যাটারেক্ট, আরেকটি হলো নিউক্লিয়ার স্ক্লেরোসিস। নিউক্লিয়ার স্ক্লেরোসিসের রেটিনার ফাইবারগুলো একসঙ্গে জমে যায়। এতে এর ভেতর দিয়ে বেশি আলো যায়। দেখা যায়, ৮০ বছরের একজন মানুষও খুব ভালো দেখতে পায়। তখন তিনি মনে করেন, আমি তো ভালোই দেখছি, আমার চিকিৎসার প্রয়োজন কেন? আসলে চোখের চাপটা বেড়ে যায়, রেটিনার ওপর চাপ পড়ে। রোগী কিছু দেখে না।
ছানি প্রতিকারের উপায়ের ক্ষেত্রে আসলে বলতে হয়, চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ছানি রোগটি একটি ফিজিওলজিক্যাল পদ্ধতি। সাধারণ একটি পদ্ধতি। বয়স হলে যেমন আমাদের চুল পেকে যায়, আমাদের চামড়ায় একটু ভাঁজ পড়ে, ঠিক তেমনি ছানিও বয়সজনিত একটি ব্যাপার। সেখানে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার চেক করে দেখবে যে তার চোখের সমস্যা আছে কি না। যদি সমস্যা থাকে, তাহলে তাকে তার প্রতিকার তখনই করতে হবে।
প্রথমত, চশমা দিয়ে আমরা চেষ্টা করি, যে তার দৃষ্টিকে পরিবর্তন আনা যায় কি না। যদি চশমা দিয়ে তার দৃষ্টি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে ছানি রোগের একমাত্র চিকিৎসা অস্ত্রোপচার।
আউটসোর্সিং ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার সাথে থাকছে.. গুরুত্বপূর্ণ সফট্ওয়্যার, অনলাইন জগতের বিশেষ খবর, অতিপ্রয়োজনীয় টিপস & ট্রিকস- সহ আরও কিছু আপডেট তথ্য, যা আপনার অনলাইন জীবনকে সমৃদ্ধশালী করতে সহায়ক হবে- উন্মুক্ত ‘সংগ্রহশালা’
চোখের ছানি কি প্রতিরোধ করা যায়?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment