বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেহেদি পাতার রং লাগানো মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও ঐতিহ্য হয়ে গেছে, তা সবারই জানা। কিন্তু মেহেদি পাতার অসাধারণ কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে, যা সবারই অজানা! নিম্নে তা তুলে ধরা হলোঃ
* মেহেদি তেল বাত এবং বাতজনিত সব রকম ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকর। ব্যথার স্থানে মেহেদি তেল ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ভাল ফল পেতে এটি প্রতিদিন এক থেকে দুই মাস করুন।
* মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভিতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারারাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।
* কয়েকটি মেহেদি পাতা সরিষার তেলের সঙ্গে দিয়ে জ্বাল
দিন। এটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি টাক পড়া প্রতিরোধ করবে।
* মেহেদি গাছের ফুল মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। মেহেদি গাছের ফুল পেস্ট করে এর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি মেহেদির পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।
* মেহেদির পেস্ট পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত অন্যান্য স্থানে লাগান। এটি ঘামাচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করবে।
* মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, মাউথওয়াশ। মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভাল করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।
* খুশকি দূর করতে মেহেদি বেশ কার্যকরী। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সিদ্ধ একসাথে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে তুলবে ঝলমলে সুন্দর।
* পুরোনো ক্ষত, যেগুলো বারবার ফিরে আসে, এসব ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মেহেদি। মেহেদিপাতা বেটে এ রকম ক্ষতে লাগিয়ে রাখুন।
* পানি পচা রোগ সাধারণত নোংরা, জীবাণুযক্ত পানি লেগে এই রোগ হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ পানিতে কাজ করলেও এ রোগ হতে পারে। এতে আঙুলের মাঝের অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষতে মেহেদির প্রলেপ লাগিয়ে রাখলে ঘা ভালো হয়ে যায়।
* বলিরেখা দূর করতেও মেহেদির তুলনা নেই। ভাবছেন ত্বক লাল হয়ে যাবে কি না? মুখের ত্বকে মেহেদি ব্যবহারের নিয়মটি পুরো আলাদা। আপনার প্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা মেহেদি পাতার রস। আর ফেসপ্যাক ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা হবে বিলম্বিত।
* শীতকালে তো পা হরদম ফাটে। তবে কারো কারো বারো মাস পা ফাটার সমস্যা থাকে। এছাড়া চামড়া ওঠার সমস্যাও থাকে অনেকের। মেহেদিপাতা বেটে ফাটা জায়গায় পুরু প্রলেপ দিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।
No comments:
Post a Comment