সুস্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী এক পানীয় হচ্ছে দুধ। দুধের উপকারীতা ও পুষ্টিগুণের কথা সবারই জানা। তবে নতুন কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে, অতিরিক্ত দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। আসলে এটাও সবার জানা যে, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তবে বেশ কয়েকটি কারণে দুধ পান করাকে কখনোই 'না' বলা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এমনই কয়েকটি কারণের কথা।
দুধ ভিটামিন ও খনিজের উৎস: অনেকেরই দুধের স্বাদ ভালো লাগে না। কিন্তু দুধ সকল পানীয়র মধ্যে সবচেয়ে পুষ্টিকর। ছোট-বড় সবার জন্য দুধ উপকারী এক খাবার। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজের উৎস দুধ। তাই সবার দুধ খাওয়া উচিত।
শক্ত হাড়: স্বাস্থ্যকর হাড় গঠনে দুধ কাজ করে। এর ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে। যে শিশুরা নিয়মিত দুধ পান করে তাদের হাড় শক্ত হয়। এতে অস্টেয়পরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়া ভিটামিন ডি রয়েছে দুধে। এই ভিটামিন দেহকে ক্যালসিয়াম গ্রহণে সহায়তা করে। হাড়ের বৃদ্ধি ও গঠন উভয় ক্ষেত্রে দুধ দারুণ এক খাবার।
শক্ত দাঁত: দুধের ক্যালসিয়াম শক্ত দাঁত গঠনেও কাজ করে। তাই শিশুদের দাঁত গঠনেও দুধের ভূমিকার বিকল্প নেই। ক্যাভিটি এবং দাঁত ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে দুধ। এ ছাড়া দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে অন্যান্য ক্ষতিকর পানীয় খাওয়ার অভ্যাসও দূর হয়। দুধ মুখে লালার সরবারাহ নিয়মিত রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে দুধ: বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, স্থূলকায়দের ওজন কমাতে সহায়তা করে দুধ। যে নারীরা খাদ্যতালিকা থেকে দুধ বাদ দেন, তাদের চেয়ে ওজন কমে সেই নারীদের যারা নিম্নমাত্রার ফ্যাটসমৃদ্ধ দুধ পান করেন। এর কারণ হলো দুধ কয়েক ধরনের প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম প্রদান করে। এতে সম্পৃক্ত ফ্যাট বা ক্যালোরি থাকে না।
পানির অভাব দূর করে: যে সকল মানুষ পরিশ্রম করেন, সাধারণত তাদের দেহে পানির অভাব দেখা দেয়। দুধ সেই অভাব দূর করতে পারে। দুধের বেশ একটা অংশে রয়েছে পানি। তাই দুধ খেলে পানির অভাব অনেকটা দূর হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: যদি এ সমস্যা থাকে তো দুধ খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। এক গ্লাস হালকা উষ্ণ দুধ পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।
পিরিয়ডের আগের সমস্যা উপশম: এক গবেষণায় বলা হয়, কম বয়সী নারীরা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অতিমাত্রায় ভিটামিন ডি গ্রহণ করেন, তাদের পিরিয়ডের আগে নানা সমস্যা দেখা দেয়। বেশি বেশি দুধ খেলে বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা এবং ব্যথা দূর হয়।
মানসিক চাপ কমাতে: অনেকেই জানেন না, মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে দুধ। এর ভিটামিন এবং খনিজ মানুষকে ফিট থাকতে সহায়তা করে।
এছাড়াও দুধ দিয়ে মজার মজার খাবার তৈরি করা যায়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
No comments:
Post a Comment