এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৬৯তম পর্বে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা। বর্তমানে তিনি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
ওজন কমাতে খাদ্যতালিকা কেমন হবে?
শরীরের বাড়তি ওজন বিভিন্ন রোগব্যাধি বাড়িয়ে তুলতে পারে আপনার। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
শরীরের বাড়তি ওজন বিভিন্ন রোগব্যাধি বাড়িয়ে তুলতে পারে আপনার। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
প্রশ্ন : যারা স্থূল তাদের ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত এবং তাদের ক্ষেত্রে ক্যালোরি পুরানোর বিষয়ে ব্যায়ামের বিষয়টি কীভাবে করতে হবে?
উত্তর : যারা ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় চলে গেছেন, বয়োসন্ধি থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের কথা বলব। প্রতিদিন খাবারকে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি ভাগে ভাগ করতে হবে। তিনটি বড় খাবার থাকবে। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, এবং রাতের খাবার। তিনটি স্ন্যাকসের সময় থাকবে। মধ্য সকালের স্ন্যাকসটি ১০টা সাড়ে ১০টায় খেতে হবে। আবার বিকেলে স্ন্যাকস খেতে হবে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী তাদের সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একটি স্ন্যাকস নিতে বলি। তাই সকালের নাস্তা সবসময়ই ভালো হতে হবে।
ওজনাধিক্যের অবস্থা অনুযায়ী আমি চাই যে প্রত্যেকের সকালের নাস্তা একই ধরনের না হোক, একটু পরিবর্তন করে হোক। কখনো একটু সিরিয়াল, কখনো রুটি এ রকম করতে হবে।
অনেকে ভাবেন ভাত খেলে মোটা হবো, রুটি খেলে হবো না। মূলত ভাত ও রুটি কিন্তু এক ধরনেরই খাবার। কেন আমরা পাথর্ক্য করি রুটি যখন নেবেন আইটেমটা কম লাগে। তাই পরিবর্তন করে খেতে হবে। অনেকেই সকালের নাস্তা খেতে চায় না, এটা কিন্তু ওজনাধিক্যের একটি কারণ। তাই দীর্ঘসময় পেট খালি রেখে সে যখন পরের খাবার খাবে, তখন ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বেশির ভাগ মানুষের খাবারের অভ্যাস হলো দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত।
রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে যাওয়া- ওজনাধিক্যের আরেকটি কারণ। ক্যালোরি পোড়াতেই হবে। যারা সারাদিনে কোনো সময় পায় না, তাদের একটি বিষয়ই বলব, রাতের খাবার সাড়ে ৮টার মধ্যে করে ৩৫ মিনিটের জন্য হাঁটতে।
স্ন্যাকসের বেলায় কিন্তু আমরা তেলের খাবার খেয়ে থাকি। এটি না করে ফল খাওয়া যেতে পারে।
পানি প্রচুর খেতে হবে। অন্তত ১৮ থেকে ২০ গ্লাস পানি। এ ক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস মানতে হবে যে খাবারের আগে পরে পানি খেলে হজমটা খুবই ভালো হয়। বিপাক যত ভালো হবে ওজন কমে যাবে। নয়তো গ্যাসের সমস্যা খুব হবে।
রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে যাওয়া- ওজনাধিক্যের আরেকটি কারণ। ক্যালোরি পোড়াতেই হবে। যারা সারাদিনে কোনো সময় পায় না, তাদের একটি বিষয়ই বলব, রাতের খাবার সাড়ে ৮টার মধ্যে করে ৩৫ মিনিটের জন্য হাঁটতে।
স্ন্যাকসের বেলায় কিন্তু আমরা তেলের খাবার খেয়ে থাকি। এটি না করে ফল খাওয়া যেতে পারে।
পানি প্রচুর খেতে হবে। অন্তত ১৮ থেকে ২০ গ্লাস পানি। এ ক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস মানতে হবে যে খাবারের আগে পরে পানি খেলে হজমটা খুবই ভালো হয়। বিপাক যত ভালো হবে ওজন কমে যাবে। নয়তো গ্যাসের সমস্যা খুব হবে।
#ওজন #খাদ্য-তালিকা #টাইম-টেবিল
No comments:
Post a Comment