১৯৯৯ সালের কথা। ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে চীনের হাংঝু-এ নিজের অ্যাপার্টমেন্টে বন্ধুদের বোঝাচ্ছিলেন আলিবাবা'র কর্ণধার "জ্যাক মা"।
তার ১৭ জন বন্ধুর সামনে প্রেজেন্টেশন করছিলেন। নতুন এক ব্যবসা মাথায় এসেছে তার। সেখানে বন্ধুদের বিনিয়োগ করতে বলছিলেন। তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে বলছিলেন। কিন্তু জ্যাকের অতীতে কিছু ব্যর্থতার কাহিনী সবাই জানেন।
তার ১৭ জন বন্ধুর সামনে প্রেজেন্টেশন করছিলেন। নতুন এক ব্যবসা মাথায় এসেছে তার। সেখানে বন্ধুদের বিনিয়োগ করতে বলছিলেন। তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে বলছিলেন। কিন্তু জ্যাকের অতীতে কিছু ব্যর্থতার কাহিনী সবাই জানেন।
স্কুলের কোর্সওয়ার্কে ফেল আর পরীক্ষা না দেওয়ার মাধ্যমে ব্যর্থ ছাত্রের দলে ছিলেন তিনি। তখন থেকেই ব্যর্থতা যেন তার পথ থেকে বিদায় নেয় না। প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কয়েকবার আবেদন করেও সুযোগ পাননি। পরে প্রায় ৩০ ধরনের বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন করে এবং প্রতিবারই প্রত্যাখ্যাত
হন। দুটো ভিন্ন ভিন্ন বিজনেস ভেঞ্চারে যোগ দেন এবং বরাবরের মতো ব্যর্থ হন।জ্যাক মা-এর মতো এত বেশি ব্যর্থতার মুখোমুখি কেউ হয়েছেন বলে মনে হয় না। ব্যর্থতার পর অনুপ্রেরণাদায়ক কোনো কাহিনী সম্পর্কে যখন একজন জানতে চাইলেন 'কুয়োরা'তে, তখন জ্যাক মা এর কথাই বললেন অনেকে।
এমন অনেক স্থান থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন জ্যাক। ১৯৯৫ সালে তিনি ই-কমার্স কম্পানি প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিলেন। এটা চীনের প্রথম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হবে।
অ্যাপার্টমেন্টে বসে বন্ধুদের তাই বোঝাচ্ছিলেন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে গেলেন জ্যাক। বন্ধুরা তার ব্যর্থতার কাহিনী সবই জানেন। কিন্তু জ্যাকের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথাও তারা জানেন। জ্যাককে আশাহত করলেন না বন্ধুরা। সবাই মিলে ৬০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন। তাদের বিশ্বাস, জ্যাক এবার সফল হবেন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে গেলেন জ্যাক। বন্ধুরা তার ব্যর্থতার কাহিনী সবই জানেন। কিন্তু জ্যাকের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথাও তারা জানেন। জ্যাককে আশাহত করলেন না বন্ধুরা। সবাই মিলে ৬০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন। তাদের বিশ্বাস, জ্যাক এবার সফল হবেন।
জ্যাক এবং তার বন্ধুরা ভুল চিন্তা করেননি। পরের ১২ বছরের মধ্যে জ্যাক এমন কিছু গড়ে তুললেন যা হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স কোম্পানি। আজ 'আলিবাবা' ১৮০ বিলিয়ন ডলারের এক কোম্পানি। জ্যাকের বিশ্বাস ছিল, একদিন তিনি ঠিকই নিজেকে মেলে ধরবেন। আলিবাবা'র মাধ্যমেই তিনি আজ নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতে পেরেছেন।
No comments:
Post a Comment