মেয়েদের পিরিয়ড (Period) বা ঋতুস্রাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে অনেকেই বিষয়টিকে অবহেলা করে থাকেন। তাই আজ ঋতুস্রাব বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হলো।
প্রশ্ন : একজন মেয়ে হয়তো বুঝতেই পারছে না ঋতুস্রাবের সমস্যা হচ্ছে, এটি হয়তো পুষেই রাখছে। এই বিষয়গুলোতে আপনারা কীভাবে ব্যবস্থা নেন?
উত্তর : এ রকম রোগী আমরা অনেক সময় পাই, শেষ পর্যন্ত তাদের আসতেই হয়। অনেক সময় সে বুঝতে পারে না। তার টানা হয়তো ঋতুস্রাব হচ্ছে। সে হয়তো ভাবে এটি স্বাভাবিক, এটা হতেই পারে। সে কোনো গায়ে লাগাচ্ছে না। অথবা তার ঋতুস্রাব হচ্ছেই না, দিন দিন স্থূল হয়ে যাচ্ছে। তার মুখে ব্রণ উঠছে, ঋতুস্রাবের সমস্যা হচ্ছে, সে সেটাও বুঝতে পারছে না। হয়তো দেখা যায়, তার বিয়ের সময় হলো বা বিয়েও হয়ে গেল কিন্তু সন্তান হচ্ছে না- তখন আসে আমাদের কাছে। এটা সাধারণত হয় পলিসিসটিক ওভারিয়ান রোগে। সে ক্ষেত্রে আমরা তাকে পরামর্শ দিই সন্তান নিয়ে নেওয়ার জন্য। তাকে কিছু হরমোন দিয়ে ঋতুস্রাব নিয়মিত করি। ওভুলেশন ইনডাকশন করা হয়, যাতে সে সন্তান নিতে পারে। এমনও রোগী অনেক পাওয়া যায়, তার ঋতুস্রাব হতে হতে তীব্র রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। সে হয়তো বুঝতেই পারছে না, তার সমস্যা হচ্ছে। এই জন্য নিজেকে আসলে সচেতন হতে হবে। এ কারণে লেখাপড়া শেখা দরকার, অন্তত নিজের ও পরিবারের লোকদের স্বাস্থ্যের জন্য।
প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন:
ডা. হাসিনা আফরোজ।
ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রসূতি ও ধাত্রী বিভাগের পরামর্শক।
ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে আদার গুরুত্বঃ
ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে আদার পানীয় অত্যন্ত কার্যকরী। ঋতুস্রাব নারী শরীরের এক শরীর বৃত্তীয় প্রক্রিয়া। ঋতুস্রাবের ব্যথায় অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। আবার অনেক নারীই বিষয়টি এড়িয়ে যায়। তবে একটি ঘরোয়া উপাদান রয়েছে যেটি ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
আর এই ঘরোয়া উপাদানটি হলো আদা। আদার মধ্যে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, জিনজেরোল। এটি প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। কেবল ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতেই নয়, আদা হজমে সমস্যা, বমি, প্রচলিত ঠান্ডা কমাতেও সহায়ক।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
১. দুটো ছোট আকারের আদা নিয়ে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
২. আদাকে গুঁড়া বা পেস্ট করুন।
৩. একটি প্যানে দুই গ্লাস পানি নিন এবং এর মধ্যে আদা দিন।
৪. এরপর মিশ্রণটিকে অল্প আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন।
৫. চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা হলে পানীয়টি পান করুন।
৬. ঋতুস্রাবের সময় দুই থেকে তিন বার এটি পান করুন।
সতর্কতাঃ
ঋতুস্রাবের সমস্যায় সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। তবে মনে রাখতে হবে, তলপেটে খুব বেশি ব্যথা ওভারিয়ান সিস্টের লক্ষণ হতে পারে। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাচ্ছেন এবং যাদের ঋতুস্রাবের ব্যথা আছে, তারা এই পানীয়টি না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
#period #পিরিয়ড #চিকিৎসা #ঋতুস্রাব #সমাধান #মিনস #উপায়
No comments:
Post a Comment