কিডনি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই অঙ্গটি শরীর থেকে বর্জ্য এবং বাড়তি পানি বের করে দেয়। যার ফলে দৈনন্দিন কাজের জন্য আমাদের শরীর প্রস্তুত থাকে। কিডনির প্রতি সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে শরীরে দেখা দেবে নানা রোগের উপসর্গ।
আমাদের কিছু কিছু অভ্যাস আছে যা কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। আমরা অনেকেই সেগুলো সম্পর্কে সচেতন নই। অথচ কিডনি সুস্থ রাখতে এই বদভ্যাসগুলো অবশ্যই পরিহার করতে হবে। কিডনির মারাত্বক ক্ষতি করে এমন কিছু অভ্যাসঃ-
অপর্যাপ্ত পানি পান
অপর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি সৃষ্টি করে। তাই শরীর তথা কিডনির জন্য পর্যাপ্ত পানি পান অপরিহার্য। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দেয়া, রক্ত পরিশোধন, পানি ও খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা প্রভৃতি কিডনির প্রধান কাজ। পানির অভাবে কিডনির এসব স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ব্যাহত হয়।
প্রস্রাব চেপে রাখা
আপনি যদি কিডনি ভালো রাখতে চান তাহলে টয়লেটে যেতে দেরি করবেন না। আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, প্রস্রাব চেপে রাখা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এটা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রভাব না ফেললেও ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ বা লবণ জাতীয় খাবার শরীরের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। লবণে উপস্থিত সোডিয়াম ক্লোরাইডের সোডিয়াম কিডনিতে স্বাভাবিকভাবে পরিস্রাবণ হয় না। ফলে কিডনিতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
অনিয়মিত বিশ্রাম
শরীরের সার্বিক কার্যাবলী ঠিক রাখতে নিয়মিত বিশ্রামের জুড়ি নেই। অনিয়মিত বিশ্রাম মস্তিষ্কসহ শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতি সাধন করে থাকে। অনিয়মিত বিশ্রামে বডি সার্কুলেশন প্রসেস ব্যাহত হয়। ফলে সেটা মস্তিষ্কসহ কিডনি ও হৃদপিণ্ডে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করে।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল শরীরের জন্য সর্বদাই ক্ষতিকর, বিশেষ করে কিডনির জন্য। আর তা যদি হয় অতিমাত্রায় তাহলে তো কথাই নেই। মদ্যপান বা অ্যালকোহল গ্রহণে কিডনির নেফ্রনে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ফলে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা লোপ পেতে শুরু করে।
ক্যাফেইনে অতিরিক্ত আসক্তি
মাঝে মাঝে কফি পান করা দোষের বা ক্ষতির কিছুই না। কিন্তু অতিমাত্রায় কফি বা অন্যান্য ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় (কোলা) অর্থাৎ যাতে ক্যাফেইনের মাত্রা বেশি সেগুলো নিয়মিত পান করা কিডনির জন্য বিপজ্জনক।
ব্যথানাশক ওষুধ বা পেইনকিলার
বস্তুত ব্যথানাশক ওষুধ বিপজ্জনক নয়। কিন্তু আপনি যদি সামান্যতম ব্যথার জন্যেও পেইনকিলার গ্রহণে অভ্যস্ত থাকেন তবে সেটা সত্যিই মারাত্বক বিষয় বটে।
No comments:
Post a Comment