শাকসবজি প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। আর তাই শাকসবজি শরীরকে বিভিন্নভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তারপরও দু-একটি কথা কিন্তু না বললেই নয়।
সবুজ শাকসবজি হচ্ছে ভিটামিন- ‘এ’-এর অন্যতম উৎস। এই ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে শিশুরা রাতকানা হয়ে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভিটামিন ‘বি’-এর অভাবে বেরিবেরি বা মুখের ঘা হতে পারে। এ ছাড়া স্নায়ুর অসুস্থতা ও রক্তকণিকা তৈরিতেও এটি ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ‘সি’ মাড়ির সুস্থতা ও ঘা শুকাতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।ভিটামিন ‘ই’ হৃদরোগ প্রতিরোধ ও ত্বকের বার্ধক্য রোধে ভূমিকা রাখে বলে জানা গেছে। যেহেতু ভিটামিনের মূল উৎস হচ্ছে শাকসবজি, তাই শাকসবজি রান্নার পদ্ধতিটি গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকে শাকসবজি কেটে তারপর তা ধুয়ে রান্না করেন। এটি একটি ভুল কাজ, ভুল পদ্ধতি। শাকসবজি রান্নার আগে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর তা কেটে রান্না করতে হবে। খুব বেশি ছোট ছোট খণ্ড করে শাকসবজি কাটা ঠিক নয়, তেমনি ঠিক নয় অনেক্ষণ খোলা বাতাসে ফেলে রাখা। কাটার পর শাকসবজি সিদ্ধ করার পর ধোয়া ঠিক নয়। এতে শাকসবজির কিছু কিছু ভিটামিন পানির সঙ্গে ধুয়ে চলে যায়। শাকসবজি সিদ্ধ করার পর পানি ফেলে দেওয়াও ঠিক নয়। এতে শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেকাংশে কমে যায়, বেরিয়ে যায় পানিতে দ্রবীভূতযোগ্য সব ভিটামিন।
শাকসবজি অল্প পানিতে সিদ্ধ করে তা অল্প তেলে অল্প আগুনে অল্প সময় ধরে ভেজে নেওয়া ভালো। শাকসবজি রান্নার এই অল্প নীতি মেনে চললে বেশি পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।
ডা. সজল আশফাক
সহযোগী অধ্যাপক, হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।
No comments:
Post a Comment