পরচুলা পরা কি জায়েজ?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২০০৫তম পর্বে পরচুলা বা নকল চুল পরা হারাম কি না, সে সম্পর্কে ফরিদপুর থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন শারমিন নাজমা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : একটি হাদিসে দেখলাম পরচুল পরা নিষেধ। কিন্তু যাদের চুলে খোঁপা হয় না, তাঁরা কি পরতে পারবে?
উত্তর : আপনি যে হাদিসের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটি সহিহ। পরচুল তিনি পরে থাকেন তাঁকে রাসুল (সা.) অভিশাপ দিয়েছেন, তাই এটি হারাম। কারো যদি খোঁপা না হয়ে থাকে, তিনি চুল শুধু বেঁধে রাখবেন। চুল খোঁপা করতেই হবে, এটি শর্ত নয়।
চুল খোঁপা হওয়া সৌন্দর্যের বিষয়, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যাকে আল্লাহ সুবনাহুতায়ালা সুন্দর করেননি, তিনি কি আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে থাকবেন? তিনি মনে করবেন আল্লাহ তাঁকে অবশ্যই অন্য দিক থেকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছেন। সব দিক থেকে সৌন্দর্যমণ্ডিত বা সবদিক থেকে সুন্দর এমন কোনো পারফেক্ট মানুষ পৃথিবীতে পাওয়া যাবে না। বরং কোনো না কোনো দিক থেকে কিছু না কিছু ঘাটতি থেকেই যাবে। সুতরাং এই ঘাটতির জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শুকরিয়া আদায় করা দরকার এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করা দরকার। সামান্য ঘাটতির জন্য আপনি হারাম কাজে লিপ্ত হতে পারেন না।
পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই পরচুল পরা হারাম। তবে হাদিসের মধ্যে নারীদের কথা স্পষ্ট এসেছে। একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, পুরুষদের ক্ষেত্রেও কিয়াস করা হয়েছে। যেহেতু সৌন্দর্যের জন্য নারীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে নারীদের যেহেতু অনুমোদন দেওয়া হয়নি, সেহেতু পুরুষদের জন্যও এটি অনুমোদিত বিষয় নয়। তবে পুরুষদের জন্য সুস্পষ্ট হাদিস আসেনি।

No comments:

Post a Comment