অনেক সময়ই মানুষের মৃত্যুর সময় জানার প্রয়োজন হয়। মৃত মানুষটি কত সময় বা কত দিন আগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে তা চিহ্নিত করা সম্ভব। মানুষ মৃত্যুর পর কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, কতক্ষণ আগে তিনি মারা গেছেন বা মারা যেতে পারেন। এ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী।
প্রশ্ন : অনেক সময় তো এমন হয় যে একজন মানুষ কত দিন বা কত সময় আগে মৃত্যুবরণ করেছেন, এটি আপনারা বলে দেন। এটা কী করে করেন?
উত্তর : মৃত্যুর পর দেহের ওপর যে পরিবর্তনগুলো হয়, সেগুলো দেখে হয়। সেই পরিবর্তনের পর কিছু তাৎক্ষণিক পরিবর্তন হয়, যেমন—চোখের মণি স্ফীত হয়ে যাবে এবং নড়বে না। পালসেশন পাব না। মানে তিনি মৃত্যুবরণ করবেন। হার্টের শব্দ শুনতে পাই কি না, সেটি দেখি। শ্বাসের শব্দ আছে কি না, এগুলো শুনি। এরপর আমরা ব্লাডপ্রেশার মেশিন লাগাই, সেটি না পেলে বুঝি এই মানুষটা মারা গেছে।
উত্তর : মৃত্যুর পর দেহের ওপর যে পরিবর্তনগুলো হয়, সেগুলো দেখে হয়। সেই পরিবর্তনের পর কিছু তাৎক্ষণিক পরিবর্তন হয়, যেমন—চোখের মণি স্ফীত হয়ে যাবে এবং নড়বে না। পালসেশন পাব না। মানে তিনি মৃত্যুবরণ করবেন। হার্টের শব্দ শুনতে পাই কি না, সেটি দেখি। শ্বাসের শব্দ আছে কি না, এগুলো শুনি। এরপর আমরা ব্লাডপ্রেশার মেশিন লাগাই, সেটি না পেলে বুঝি এই মানুষটা মারা গেছে।
প্রশ্ন : এই মানুষ কত সময় আগে মারা গেছেন, এটি বোঝার জন্য কী কী বিষয় দেখেন?
উত্তর : মৃত্যুর পর খিঁচুনির একটি বিষয় আছে, একে আমরা রাইগোমটিস বলি। সেটি মৃত্যুর এক থেকে দুই ঘণ্টা পর শুরু হয় এবং ১২ ঘণ্টা লাগে সমস্ত শরীরে হতে। এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থেকে যায়। আবার ১২ ঘণ্টা লাগে শরীর থেকে চলে যেতে। ৩৬ ঘণ্টার ভেতর হলে এটি দিয়ে আমরা বুঝতে পারি।
উত্তর : মৃত্যুর পর খিঁচুনির একটি বিষয় আছে, একে আমরা রাইগোমটিস বলি। সেটি মৃত্যুর এক থেকে দুই ঘণ্টা পর শুরু হয় এবং ১২ ঘণ্টা লাগে সমস্ত শরীরে হতে। এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থেকে যায়। আবার ১২ ঘণ্টা লাগে শরীর থেকে চলে যেতে। ৩৬ ঘণ্টার ভেতর হলে এটি দিয়ে আমরা বুঝতে পারি।
প্রশ্ন : যদি এরও দেরি হয়ে যায়?
উত্তর : এর দেরি হয়ে গেলে শরীরে পচন ধরে। এরও আবার চারটা দিক আছে। সেই চারটা পর্যায়ের মধ্যে একটি হলো চামড়ার রঙের পরিবর্তন হয়। আরো কিছু পর্যায় শেষে গ্যাস তৈরি হয়। যখনই দুর্গন্ধ তৈরি হয়, তখন মাছি এসে পড়ে। এগুলো দেখে আমরা সময় নির্ধারণ করতে পারি।
উত্তর : এর দেরি হয়ে গেলে শরীরে পচন ধরে। এরও আবার চারটা দিক আছে। সেই চারটা পর্যায়ের মধ্যে একটি হলো চামড়ার রঙের পরিবর্তন হয়। আরো কিছু পর্যায় শেষে গ্যাস তৈরি হয়। যখনই দুর্গন্ধ তৈরি হয়, তখন মাছি এসে পড়ে। এগুলো দেখে আমরা সময় নির্ধারণ করতে পারি।
No comments:
Post a Comment