পেটের জ্বালা শুরু হলে পুরো পৃথিবীটাকেই অশান্ত লাগে। কেননা, শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে না গেলে দেখা দেয় নানা রোগ। তাই তো প্রতিদিন সকালে পেট পরিষ্কার হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। আর যাদের এমনটা না হয়, তারা কী করবেন?
এ ক্ষেত্রে অনেকেই অ্যালোপেথিক ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাতে কাজ হয় ঠিকই। কিন্তু সেই সঙ্গে মলাশয়ে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়ারাও মরে যায়। ফলে শরীরে দেখা দেয় অন্য সব সমস্যা।
পেট পরিষ্কারের ঘরোয়া ওষুধ
আমাদের রান্নাঘরেই এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যাদের কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই লিভার এবং মলাশয় পরিষ্কার করে ফেলা সম্ভব। আর এই সব ঘরোয়া উপাদানগুলি কোনোভাবেই শরীরে উপস্থিত ভালো ব্যাকটেরিয়াদের ক্ষতি করে না। ফলে শরীর বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের! চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে।
ওষুধটি বানানোর উপকরণঃ
১. আপেলের রস হাফ কাপ;
২. লেবুর রস হাফ কাপ;
৩. আদার রস ১ চামচ;
৪. সামুদ্রিক লবণ হাফ চামচ;
৫. পানি হাফ গ্লাস;
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতিঃ
প্রথমে পানিটা ফুটিয়ে নিন। যখন দেখবেন পানিটা ফুটতে শুরু করেছে, তখন তাতে পরিমাণমতো সামুদ্রিক লবণ মেশান। লবণটা পানিতে ভালো করে গুলে গেলে আঁচটা বন্ধ করে এবার একে একে আপেলের রস, লেবুর রস এবং আদার রস মেশান। ভালো করে সবক'টি উপকরণ মিশিয়ে একটা পাত্রে মিশ্রনটি রেখে দিন।
খাবার নিয়মঃ
প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর, দুপুরের খাবারের আগে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে ২ চামচ করে এই মিশ্রনটি খেলে দেখবেন পেট পরিষ্কার হতে শুরু করে দিয়েছে।
কতদিন খেতে হবে?
টানা ৭ দিন, দিনে তিনবার করে ওই ওষুধটি খাওয়া আবশ্যক।
এই ওষুধটির সঙ্গে দই খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিদিন ওষুধটির খাওয়ার পাশাপাশি যদি এক বাটি করে দই খেতে পারেন, তাহলে শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে একদিকে হজম ক্ষমতার যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি পেটও পরিষ্কার হতে শুরু করে দেয়।
মনে রাখবেন যে, যখন পেট পরিষ্কার হতে শুরু করবে, তখন দিনে একবার অবশ্যই সালাদ খাবেন। সেই সঙ্গে ভাজা খাবার খাওয়া, ধূমপান ও মদপান একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment