সৌন্দর্য পিঁপাসুরা বাড়ি, ঘর কিংবা অফিসের সৌন্দর্য বাড়াতে ঘরের কোনে, ব্যালকনিতে, বারান্দায় এমনকি ড্রয়িং রুমে হরেক রকম সৌন্দর্যবর্ধক সৌখিন গাছের সাথে পাতাবাহার গাছও রাখেন। কিন্তু, এসব পাতাবাহারের মধ্যে এমন অনেক গাছ আছে, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। আর এমনই একটি গাছ বৃক্ষপ্রেমিকদের ঘরে ঘরে ঠাঁই পেয়েছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় একটি পাতাবাহার গাছ। এই গাছটির পোশাকি নাম হলো ডিফেনবাকিয়া (Dieffenbachia)। অফিস আদালতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দা বা করিডোরে, ফ্ল্যাট, বারান্দা, এমনকি ঘরের কোণেও একে দেখা যায়। সুন্দর এই গাছটি আমাদের ক্ষতি করতে পারে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
ডিফেনবাকিয়া নামক পাতাবাহার গাছটির একটি পাতাই আপনাকে অসুস্থ
করে দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। শিশুদের বেলায় তো এটি আরও বেশি ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে অবশ্যই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, এই গাছের পাতায় থাকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট নামের এক উপাদান, যা মানুষ কিংবা পোষা প্রাণীর জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
এক অভিভাবক জানিয়েছেন, যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে, সেখানে এই গাছ না রাখাই উচিত। কারণ, তার ৩ বছর বয়সী কন্যাশিশু ভুল করে এই গাছের একটি পাতা গিলে ফেলে। এতে তার জিহ্বা ফুলে যায় এবং তার মৃত্যু ঘটে।
ডিফেনবাকিয়া সুন্দর একটি পাতাবাহার। তাই অনেকেই এটাকে বাসায় রেখে অতি যত্ন সহকারে লালন করে। হয়ত ওই সৌখিন লোকটি জানেনই না যে, তিনি দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পুষছেন। তাই এই গাছকে বাড়িতে রাখা তো উচিতই না, আর রাখলেও শিশু বা অজানা মানুষরা যাতে এর কাছে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত।
ডিফেনবাকিয়ার প্রভাব এতই খারাপ যে, এর যে কোনও অংশ খাওয়ার এক মিনিটেই একটি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যু হতে পারে ১৫ মিনিটের মধ্যে। এমনকি এই গাছ হাত দিয়ে ধরলে এবং সেই হাত চোখে গেলে অন্ধত্বের সম্ভাবনা থাকে।
ডিফেনবাকিয়া গাছ যদি সরাতে না চান তাহলে এর চারপাশে বেড়া অথবা গ্রিল দিয়ে রাখুন যাতে বাচ্চারা এর পাতার নাগাল না পায়। এতে দুর্ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে।
No comments:
Post a Comment