আয় বাড়া‌তে চাই প‌রিবর্তন

যাদের প্রতি আপনি মুগ্ধ এমন লোকের সঙ্গে ওঠা-বসা শুরু করুন:
শূন্য থেকে শীর্ষ ধনী হওয়া মার্কিন নাগরিক অ্যান্ড্র– কার্নেগি তার সাফল্যের পেছনে একটি প্রধান নীতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করেন: মাস্টার মাইন্ড বা সেরা প্রতিভাবানদের সঙ্গে চলা ফেরা করা। সবসময় এমন সব প্রতিভাবানদের সঙ্গে চলাফেরা করুন যারা আপনার মতো একই স্বপ্ন দেখে। আর মানুষ সাধারণত যাদের সঙ্গে চলাফেরা করেন তাদের মতোই হয়ে যায়। এ কারণেই সম্ভবত ধনী লোকেরা অন্য ধনী লোকদের সঙ্গেই ওঠাবসা করতে পছন্দ করেন।

বিনিয়োগ করুন:
আরো অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর একটি হলো বিনিয়োগ করা। আর যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুতই বিনিয়োগ শুরু করতে হবে।

খণ্ডকালীন চাকরি নিন:
আপনি যদি আরো বেশি অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে একটি সহজ সমাধান হলো আরো বেশি কাজ করা। আর আপনি একটি চাকরির পাশাপাশি আরেকটি চাকরি করলে শুধু অতিরিক্ত আয় নয় বরং আরো বেশি কিছু অর্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি নিজের শখের কাজগুলোকেও একটি পেশায় পরিণত করতে পারেন। যেমন, ছবি তোলা, সংগীত, পা‌খি পালন, পড়ানো বা কোচিং করানোর মতো শখের কাজ থেকেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

বই পড়ুন:
ধনী লোকরা সাধারণত অবসরে বিনোদনের চেয়ে বরং বই পড়াকেই বেশি গুরুত্ব দেন। বাইরের জগতের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিনিয়োগ বা ব্যক্তিগত অর্থায়ন সংক্রান্ত বই পড়ুন। অথবা কোনো সফল লোকের জীবনীমূলক বই পড়তে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেট বলেছেন, তার কর্মদিবসের ৮০ শতাংশই ব্যয় হয় বই পড়ে।

উচ্চফলনশীল সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করুন:
বিপদের সময় ব্যয় করার জন্য অগ্রিম ছয় মাসের খরচ জমা রেখে বাকি অর্থ বিনিয়োগ করুন। অন্তত একটি উচ্চ-সুদের সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করুন। টাকা অলসভাবে জমিয়ে রাখলে আপনার অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ হয়তো ধ্বংস হবে না কিন্তু এর ফলে আপনি বিশেষ কোনো সুযোগ হারাতে পারেন।

অস্বস্তিকর কিছু করায় অভ্যস্ত হন:
আপনি যদি সম্পদ গড়তে চান, সফল হতে চান বা জীবনে এগিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে অনিশ্চয়তা বা অস্বস্তিকর কিছু করায় অভ্যস্ত হতে হবে। ধনী লোকরা বিশেষ করে অনিশ্চয়তার মধ্যে আরাম খুঁজে পান। অন্যদিকে, শারীরিক, মানসিক এবং আবেগগত আরাম লাভ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানসিকতার প্রধান লক্ষ্য।’ বিশ্বমানের চিন্তকরা আগেভাগেই শিখে ফেলেন যে, মিলিয়নিয়র হওয়াটা অতো সোজা নয়। আর আরাম খুঁজলে তা ধ্বংস বয়ে আনতে পারে। ফলে তারা চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে তৎপর থেকেই স্বস্তি খুঁজে নেয়া শিখে নেন।’ সুতরাং আজই এমন পাঁচটি কাজের তালিকা করুন যেগুলো অস্বস্তিকর কিন্তু আপনার সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং কল্পনায় সেগুলো অর্জনের চিত্রায়ন করুন:
আপনি যদি আরো বেশি অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে আপনার একটি পরিষ্কার লক্ষ্য থাকতে হবে এবং এরপর পরিকল্পনা করতে হবে কীভাবে সেই লক্ষ্য অর্জন করবেন। টাকা আপনাতেই আসবে না। এর জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে। ধনী লোকরা সম্পদ অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে। আর এর জন্য মনোযোগ, সাহস, জ্ঞান এবং প্রচুর চেষ্টার দরকার হয়। সুতরাং বড় চিন্তা করুন এবং তা অর্জনে সামনে এগিয়ে যেতে ভয় পাবেন না।

প্রতিদিন অন্তত একঘণ্টার মজুরি সঞ্চয় করুন:
আপনি মাস শেষে যে আয় করেন তাকে মাসের মোট কর্মঘণ্টার সংখ্যা দিয়ে ভাগ করুন। এরপর তা থেকে প্রতিদিনের একঘণ্টার বেতন কত সে হিসেবে একমাসের প্রতিদিনের একঘণ্টার বেতন জমা করে রাখুন।

পরোক্ষ আয়ের উৎস স্থাপন করুন:
বিরামহীন পরিশ্রম ছাড়াই অর্থ উপার্জনের উৎস স্থাপন করার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? পরোক্ষ আয় বলতে বোঝায় ঘুমের মধ্যে থেকেও অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করা। এর জন্য হয়তো প্রথমে কোনো প্রাপ্তি ছাড়াই আপনাকে প্রচুর সময় এবং অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। তবে পরে এই বিনিয়োগ থেকে আপনার প্রচুর আয় হবে। আবাসন খাত এবং ব্যবসায় নীরব অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরোক্ষ আয় করা যায়। তবে ইউটিউব ভিডিও এবং ব্লগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও পরোক্ষ আয় করা সম্ভব।

No comments:

Post a Comment