ইমারজেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

অসংরক্ষিত যৌনমিলনের পর ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিলস বা আপদকালীন গর্ভনিরোধক ওষুধের ব্যবহার আকছারই হয় চারপাশে৷ তবুও অনেকের মধ্যেই থেকে যায় নানারকম সন্দেহ৷ ওঠে কিছু প্রশ্নও, যার সমাধান দিতে পারেন একমাত্র চিকিৎসকই৷ তবে এক্ষেত্রে নিজেদেরও কিছুটা জেনে রাখা প্রয়োজন৷

মিথ ১- ইসিপি-ই একটি গ্রুপেরই রয়েছে এবং তা একমাত্র বিকল্প৷ যে কোনও ভাবে এটা খেতেই হবে৷
বাস্তব- বাজারে অনেক রকমের ইসিপি থাকে৷ তবে কোনটায় সাইড এফেক্ট কম হবে তা বলতে পারবেন চিকিৎসকই৷ তাই নিয়মিত মেলামেশার অভ্যেস থাকলে, একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরই ব্যাগে ইসিপি রাখুন৷ বমি পাওয়া, অ্যাবডোমিনাল ক্র্যাম্পের মতো সমস্যাগুলো যদি ইসিপি নেওয়ার পর হতে থাকে, তাহলেও ডাক্তারের পরামর্শেই ওষুধ খেতে হবে৷

মিথ২- ইসিপি গর্ভপাত করায়৷
বাস্তব- আদৌ না, এই ধরনের গর্ভনিরোধক ওষুধ শুধুমাত্র ওভিলিউশন প্রক্রিয়াকে হতে বাধা দেয়৷ ফলে ফ্যালোপিয়ান টিউবে স্পার্ম থাকলেও কোনও এগ না পেয়ে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে তিনদিনের মধ্যে৷ তাই অসংরক্ষিত যৌনমিলনের পর যত দ্রুত সম্ভব ওষুধ খেতে হবে৷ কিন্তু চার-পাঁচদিন দেরি হলে প্রেগনেন্সি একবার এসে গেলে এই ওষুধ আর কাজ করতে পারে না৷

মিথ ৩- গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে৷ পরদিন সকালে ইসিপি নেওয়া নিরাপদ?
বাস্তব- কোনও অসুবিধা নেই৷ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলেই হল৷ তবে কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যায় না৷ পরের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনও মানে হয় না৷

মিথ ৪- আজকে ইসিপি খেয়েছি, কালকে আবার সহবাস হতেই পারে৷
বাস্তব- আজ ইসিপি খাওয়ার দুদিন পরেই যদি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে আগের ইসিপি সেখানে কোনও কাজ করবে না৷ তাতে বেড়ে যাবে প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা৷ কারণ আগের সহবাসের পর কয়েকদিন পর্যন্ত ফ্যালোপিয়ান টিউবে এগের অপেক্ষায় কিছু স্পার্ম তখনও থেকে যায়৷ ফলে আনপ্রোটেক্টেড সেক্সে বাড়বে রিস্কও৷

মিথ ৫- বেশি খেলে ভবিষ্যতে মুশকিল৷
বাস্তব- ইসিপি খেলে ভবিষ্যতে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায়, এরকম কোনও পরীক্ষিত সত্য এখনও পাওয়া যায়নি৷

মিথ ৬- যে কেউ খেতে পারেন৷
বাস্তব- না, একেবারেই নয়৷ যারা মাইগ্রেন, জন্ডিস বা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারা এটি খাবেন না৷

No comments:

Post a Comment