মাদকাসক্ত নারীদের ৩৬ ভাগের একাধিক যৌন-সঙ্গী

মাদকাসক্ত নারীদের ৩৬ ভাগের একাধিক যৌন-সঙ্গী
কৌতূহলে ৪৩ শতাংশ নারী মাদকাশক্ত হয়ে গেছে। আর এদের ৫৬ শতাংশই ইয়াবা টানে, মদে আসক্ত ২৮ শতাংশ, হেরোইন নেয় ৫ শতাংশ এবং পেথেডিন গ্রহণ করে ৩ শতাংশ। জরিপে আরো বলা হয়, ৯৫ জন নারীর মধ্যে যারা মাদকসক্ত হয়েছেন এদের ৬১ জনই বিবাহের আগেই যৌন অভিজ্ঞতা হয়েছিল যাদের প্রায় ৩৬ ভাগের একাধিক যৌন সঙ্গী আছে, ৪৪ জন অনিরাপদ যৌনতায় অভিজ্ঞ।

আহছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালিত একটি জরিপ এসব তথ্য দিয়েছে। আহছানিয়া মিশন ৯৫ জন মাদকাসক্ত নারীর মাদকের ধরণ, মাদক নেয়ার কারণ এবং মাদক নেয়ার ফলে সৃষ্ট সমস্যার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে। মঙ্গলবার বিশ্ব মানসিক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির আহছানিয়া মিশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা সেব তথ্য তুলে ধরেন।

নারীদের মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নারীদের অনেকেই কৌতুহলের বশে মাদক নেয় ৪৩ শতাংশ, মানসিক অস্থিরতা ও সমস্যা যেমন পারিবারিক ও ব্যক্তি সমস্যার ফলে সৃষ্ট বিষন্নতার কাটিয়ে উঠতে মাদক নেয় ৩৪ শতাংশ, রাগ ও জিদের কারণে মাদক নেয় ১৩ শতাংশ, অসুস্থতায় মাদক নেয় ৪ শতাংশ, জোরপূর্বক স্বামী ও প্রেমিক দ্বারা মাদক নিতে বাধ্য হয় ৫ শতাংশ নারী এবং দারিদ্র্য থেকে সৃষ্ট হতাশা কাটিয়ে উঠতে মাদক নেয় ৮ শতাংশ নারী।

জরিপ থেকে আরো জানা যায়, ৩৪ শতাংশ নারী তাদের বন্ধু-বান্ধব অথবা সঙ্গী দ্বারা মাদক গ্রহণে প্ররোচিত হয়। নারীদের স্বামীরা ১৬ শতাংশ, ভাইয়েরা ১৬ শতাংশ, বোন ৪ শতাংশ, পিতা ৪ শতাংশ এবং ২ শতাংশ মায়েরা মাদক গ্রহণ করে থাকেন।

জরিপে মাদক গ্রহণে সৃষ্ট সমস্যা উল্লেখ করে বলা হয়, মাদকাসক্তদের বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা যেমন- মেজাজের বৈকল্য, সিজোফ্রেনিয়া, ব্যক্তিত্বের বৈকল্য ও নিদ্রাজনিত রোগে ভুগছেন এরা।

মাদকসক্ত নারীদের ৩২ শতাংশ কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাজমা সমস্যা আছে ৩ শতাংশের, মাসিকজনিত সমস্যা আছে ৯ শতাংশের, দাঁত ব্যথা আছে ২৩ শতাংশের। এর ফলে পারিবারিক সমস্যা দেখা দিয়েছে ৪৯ শতাংশের, বৈবাহিক সমস্যা দেখা দিয়েছে ৩৪ শতাংশের। ৯৫ জন নারীর মধ্যে যারা মাদকসক্ত হয়েছেন এদের ৬১ জনই বিবাহের আগেই যৌন অভিজ্ঞতা হয়েছিল যাদের ৩৪ জনের (৩৫.৭৮৯ ভাগ) একাধিক যৌন সঙ্গী আছে, ৪৪ জন অনিরাপদ যৌনতায় অভিজ্ঞ। এদের মধ্যে হেপাটাইটিসসহ বিভিন্ন কমিউনিকেবল রোগে ভুগছে ৫৬ শতাংশ। ৯৫ জনের মধ্যে আবার ১১ জন মাদক মামলায় জড়িত। চিকিৎসা নিতে স্বেচ্ছায় এসেছেন এদের মধ্যে ২৯ জন এবং সার্বিকভাবে ২৫ শতাংশ নারী চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন।

No comments:

Post a Comment