বাংলাদেশ প্রতিদিন: ভিডিও প্রচার করার ওয়েবসাইট ইউটিউব। কোটি কোটি ভিডিও নির্মাতার তৈরি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে ইউটিউবে।
শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারি, নাটক, সিনেমা, গান, কৌতুকমূলক নাট্যাংশ থেকে রান্না— এমন নানা ধরনের ৫০০ কোটি ভিডিও এক দিনেই দেখা হয় ইউটিউবে! বিস্ময়ের শেষ এখানেই নয়। প্রতি মিনিটে এখানে আপলোড (যোগ) হয় ৩০০ ঘণ্টার ভিডিও। ১৩০ কোটি মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করেন। এই জনপ্রিয় মাধ্যমে ভিডিও নির্মাণ ও প্রচার যারা করেন তাদের বলা হয় ইউটিউবার। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ গুগল মানসম্পন্ন ও জনপ্রিয় ভিডিওগুলোর জন্য নিবন্ধিত ইউটিউবারদের অর্থমূল্যে পুরস্কৃত করে। বছর না ঘুরতেই কোটিপতি বনে যাওয়া এমন কয়েকজন জনপ্রিয় ইউটিউবার নিয়ে আজকের আয়োজন—
জনপ্রিয় ইউটিউব
বিশ্বের কোটি কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পছন্দের ইউটিউব যে তিনজনের হাতে তৈরি তাদের একজন বাংলাদেশি জাভেদ করিম। ২০০৫ সালে সাদ হারলি ও স্টিভ চেনের সঙ্গে মিলে জাভেদ করিম তৈরি করেন জনপ্রিয় এই সাইট। তারা একসঙ্গে চাকরি করতেন। মাত্র কয়েক মাসের চেষ্টায় তৈরি হওয়া ইউটিউব ভিডিও ফাইলের আকার ছোট করে প্রদর্শনের বিশেষ প্রযুক্তির জন্য বিশ্বে অনন্য সাধারণ অবস্থান নিয়েছে। এখন ইউটিউবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ বিলিয়নবার ভিডিও দেখা হয়। প্রতি মিনিটে আপলোড হয় ৪৮ ঘণ্টার ভিডিও। ১ কোটি ১৫ লাখ ডলারে নির্মাণ করা ইউটিউব এক বছরের মধ্যেই ১৬৫ কোটি ডলারে কিনে নেয় গুগল।
বছরে আয় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার
২৭ বছরের ফেলিক্স জেলবার্গ। সুইডিশ এই তরুণ ইউটিউবারের বর্তমান বার্ষিক আয় ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইউটিউবে তার চ্যানেলের নাম পিউডাইপাই। ৫ কোটি ৭৩ লাখেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছেন। একজন বক্তা হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে। মূলত ভিডিও গেমের বিভিন্ন দৃশ্য খেলতে খেলতে তিনি মজার ধারা বর্ণনা দেন। তার উচ্চারণ, মজার শব্দ-কথায় ভিডিওগুলো দারুণ হাস্যরসাত্মক হয়ে ওঠে। বিনোদনধর্মী তার ইউটিউব চ্যানেলের বেশির ভাগ দর্শক-শ্রোতাই এই আনন্দ-বিনোদনের খোঁজে ভিড় করেন। ফেলিক্সের আলোচিত ও জনপ্রিয় কিছু ভিডিও দশ লাখেরও বেশি দর্শক পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। ধনী ইউটিউবারদের তালিকায়ও তিনি সেরা। কয়েক বছর ধরেই তিনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে সবচেয়ে বেশি অর্থ আয়ের তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস ও টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা এই তরুণ ২০১০ সালে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খোলেন। পিউডাইপাই নামের সেই অ্যাকাউন্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ২০১৩ সালে। সে বছর তার চ্যানেলটি ইউটিউবের ‘মোস্ট সাবস্ক্রাইব চ্যানেল’ নির্বাচিত হয়। তার ভিডিও ব্লগগুলো ‘লেটস প্লে’ ধারা বর্ণনার শুরুর বাক্যতেই দর্শকরা নড়েচড়ে বসেন। বিভিন্ন গেমের ভিডিওগুলো খেলতে খেলতে তিনি দর্শকদের কাছে সেই গেমের দৃশ্য বাস্তব করে তোলেন। এ ছাড়া মজার ভিডিও আপলোড করেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন ভিডিওর রসাত্মক ধারা বর্ণনা করেন ফেলিক্স।
টমবয় লিলির চ্যানেল দেখেন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ
সবচেয়ে সফল নারী ইউটিউবার বলা হয় লিলি সিংকে। ২৯ বছর বয়সী লিলি ২০১০ সালে ইউটিউবে তার চ্যানেল খোলেন। ‘সুপারউইম্যান’ শিরোনামের এই চ্যানেল এখন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। তার চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওগুলো এরই মধ্যে দেখা হয়েছে ২ বিলিয়নেরও বেশিবার। ২০১৬ সালে ফোর্বস তাকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ইউটিউব চ্যানেলের মালিক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। ২০১৪ সালের পর থেকেই লিলি ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বছরের সেরা ইউটিউব চ্যানেলের মালিক হিসেবে পুরস্কৃত হয়ে আসছেন। ফোর্বস তাকে এ বছর ইউটিউব চ্যানেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদনদাতাদের তালিকায় রেখেছে। এত সব অর্জনই বলে দিচ্ছে ইউটিউবে তিনি কতটা সফল। এখন তিনি ইউটিউব থেকে বছরে ৭৫ লাখ ডলার আয় করছেন। লিলির জন্ম ও বেড়ে ওঠা টরেন্টোতে। তবে ভারতীয় বাবা-মায়ের ছাপ তার মধ্যে বেশ ভালোভাবেই রয়েছে। শিখ সম্প্রদায়ের এই মেয়ে ছোটবেলা থেকেই বেশ দুরন্তপনা ছিলেন। তাকে স্কুলে ‘টমবয়’ বলে খেপাত সবাই। সেসব কানে তুলতেন না। হৈহুল্লোড় আর দস্যিপনা করাটাই তার নেশা হয়ে দাঁড়াল। সেই দস্যিপনা থেকেই ইউটিউবে শখের বসে চ্যানেল খুলেছিলেন লিলি। নিজেকে সুপারম্যানের আদলে ‘সুপারউইম্যান’ বলে অভিহিত করে এই চ্যানেলে তার দস্যিপনার ভিডিও প্রকাশ করতে শুরু করেন। ২০১০ সালে যাত্রা, যত সময় গড়িয়েছে তত জমজমাট হয়ে উঠেছে। লিলি প্রায়ই বলেন, তার শৈশবের ভাবনা ছিল তার বুকেও সুপারম্যানের রূপকচিত্র ‘এস’ আঁকা আছে। সেই ভাবনাকে পুঁজি করেই তার মজার সব ভিডিও নির্মাণ। লিলির সবচেয়ে ভিডিও ‘হাউ গার্লস গেট রেডি’ যেন তার সেই টমবয় কৌশলেরই প্রতিচ্ছবি।
দুই বন্ধুর মাতামাতি
আড্ডাবাজিতে কৌতুক না হলে কি জমে? সেই কৌতুক আর আড্ডার রেশ নিয়েই ইউটিউবে যাত্রা শুরু দুই বন্ধুর। ফ্লাশ অ্যানিমেশন কার্টুন আর গেম দিয়ে যাত্রা করা আন্দ্রে হেকক্স ও ড্যানিয়েল পেদ্রোর ইউটিউব চ্যানেল ‘স্মশ’ সেটাই করে দেখিয়েছে। বিনোদনধর্মী এই চ্যানেলটি ২ কোটি ২৭ লাখেরও বেশি দর্শক সাবস্ক্রাইব করেছেন। ৬ বিলিয়নেরও বেশি সংখ্যকবার দেখা হয়েছে তাদের ভিডিও। ২০০৫ সালে এই চ্যানেলটি খোলা হয়। তখনো আয়ের চিন্তা করেনি কেউ। বরং মজার মজার কৌতুককাণ্ড আর নাটক এই চ্যানেলের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো। প্রতি বছরই তাদের চ্যানেলের দর্শক বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালের পর থেকেই রীতিমতো তারকা চ্যানেলে পরিণত হয় এটি। ২০১৭ সালে এসে এটি ইউটিউবের অন্যতম সেরা চ্যানেলগুলোর একটিতে পরিণত হয়। ‘ভেভো’ চ্যানেল না হলেও ‘স্মশ’ আমেরিকান সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় চ্যানেল হয়ে ওঠে। এখন তাদের বার্ষিক আয় ৭০ লাখ ডলারে এসে ঠেকেছে।
অল্প সময়েই জনপ্রিয় রোমান
যুক্তরাষ্ট্রের অহিতে জন্ম নেওয়া রোমান অ্যাটউডের বয়স এখন ৩৪। ১ কোটি ৪০ হাজার মানুষ তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেন। ১ বিলিয়নের বেশি সংখ্যকবার তার চ্যানেলের ভিডিও দেখেছেন দর্শকরা। নিত্যদিনের মজার কাণ্ডকারখানা ও হাতে-কলমে দৈনন্দিন জীবনের নানা খুঁটিনাটি উঠে আসে তার ভিডিওতে। কখনো মজার নাটক তৈরি করেন। আপন মানুষদের চমকে দিয়ে তৈরি করা তার কিছু নাটকীয় ভিডিও দর্শকদের ইউটিউবে নতুন স্বাদ দিয়েছে। তার জনপ্রিয় কিছু প্রাঙ্ক ভিডিওতে আপনজনদের সঙ্গে কৌতুক আবহ তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে— তবে সেগুলোর শেষে একটি শিক্ষামূলক বিষয় উঠে আসে। একজন অভিনেতা হতে চাইতেন বলেই কিছু নিয়মিত অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে তিনি ইউটিউবে চ্যানেল খুলে দর্শকের বিনোদনের পথ বেছে নেন। ইউটিউব থেকে এখন তার বার্ষিক আয় ৮০ লাখ ডলার।
কেক আর কুকি বানিয়েই সুপারহিট
আমেরিকান রন্ধনশিল্পী ও অভিনেত্রী রোসান্না পাসিনো এখন ইউটিউব থেকে আয় করেন ৬০ লাখ ডলার। ইউটিউবে এখন তার সাবস্ক্রাইবার প্রায় ৯০ লাখ। দুই বিলিয়নের বেশি সংখ্যকবার তার ভিডিওগুলো দেখেছেন দর্শক। তার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে রান্নার অনুষ্ঠানগুলো। নার্ডি নামিস সিরিজের এই ভিডিওগুলোতে মজার সব রান্না তৈরি করে দেখান তিনি। এর সঙ্গে থাকে মজার কথামালার বাহার। ভিডিওতে নতুন কিছু দেখানোর প্রয়াস থেকে রোসান্না ইউটিউবে তার চ্যানেলটি খুলেছিলেন। ইতালিয়ান, ক্রোয়েশিয়ান, জার্মান ও আইরিশ ভাষায় তার দক্ষতা রান্নার ভিডিওগুলোকে করেছে আরও চমকপ্রদ। দাদিমার কাছ থেকে শেখা তার রান্নাগুলো দর্শকদের আনন্দ আর কৌতূহলের চমক দিয়েছে। রোসান্নার রান্নার প্রতি এই আগ্রহ দেখে তার কিছু ইউটিউবার বন্ধু তাকে পরামর্শ দেন ইউটিউব চ্যানেল খুলে রান্নার ভিডিওগুলো প্রচার করার। তার হাতে কেক তৈরি রেসিপিগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ইতিমধ্যে একশরও বেশি ধরনের কেক, কুকি তৈরি করে দেখিয়েছেন তিনি।
প্রাঙ্ক হলেই হিট হয় না
ইউটিউবের মাধ্যমে কোটিপতি বনে যাওয়া, তারকাখ্যাতি পাওয়া ইউটিউব পরিচালনাকারীদের কেউই সাধারণ মানুষের হয়রানিমূলক ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করেন না। তাদের ভিডিওর বিষয়বস্তুগুলো বরং সৃজনশীল ও নাটকীয়। মজার কাণ্ডকারখানা অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেই তারা সফল হয়েছেন। প্রাঙ্ক ভিডিও নির্মাতাদের পেছনে ফেলে তারা দেখিয়েছেন হিট হলেই চলে না। বেশি ফলোয়ার ও প্রচার পাওয়ার জন্য বরং নতুন আইডিয়ার মানসম্পন্ন ভিডিও প্রয়োজন। ইউটিউবের নীতিমালা মেনে ভালো আয় করতে চাওয়া মেধাবী ইউটিউবারদের বড় অংশই প্রাঙ্ক ভিডিও ছেড়ে মজার নাট্যাংশ ও শিক্ষামূলক ভিডিও নির্মাণে মনোযোগী হয়েছেন।
সমাজ বদলের চ্যালেঞ্জ নিয়ে জনপ্রিয় টেইলর
টেইলর অকলে। মিশিগানের এই ২৮ বছরের তরুণ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আলোচিত ও উল্লেখযোগ্য ইউটিউবার। সামাজিক সচেতনতা ও সমাজ বদল আন্দোলনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু করা তার নিজের নামে ইউটিউব চ্যানেলটি বিশ্বজুড়ে অনেকেরই নজর কেড়েছে। ডকুমেন্টারি স্টাইলের পাশাপাশি আনন্দঘন ও আবেগপ্রধান নাট্যাংশ তার চ্যানেলটিতে বৈচিত্র্য যোগ করেছে। এ ছাড়া রয়েছে কিছু আত্মোপলব্ধি ও স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও। এসব ভিডিওতে কঠিন সত্য অবলীলায় প্রকাশ করেও তিনি আলোচনায় আসেন। অকলে সমকামিতা (এলজিবিটি) নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনাকারীদের শিরোমণি। সমাজের নানা অসঙ্গতি ও ছোট ছোট ফাঁকফোকর গলে বেরিয়ে আসা অনুভূতি, হতাশা, হাহাকার উচ্চারণ করে নির্মিত তার কিছু ভিডিও ভক্তশ্রেণি তৈরি করেছে। ইউটিউবের ভিডিও নির্মাণ করে টেইলর অকলে বছরে প্রায় ৬০ লাখ ডলার আয় করেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি ইউটিউবের শীর্ষ আয়ের ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনাকারীদের একজন হিসেবে সম্মানিত হয়ে আসছেন। বর্তমানে তার চ্যানেলটি পছন্দের তালিকায় রেখেছেন প্রায় ৭৯ লাখ মানুষ।
লোক হাসিয়ে ইউটিউব-স্টার
নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন মার্কিপ্লাইয়ার নামে। আসলে তার নাম মার্ক অ্যাডওয়ার্ড। তবে ‘মার্কিপ্লাইয়ার’ নামে তার ইউটিউব চ্যানেলটিকেই পছন্দ করেছেন দর্শক। এখন তার চ্যানেলটি দেখেন ১ কোটি ৪০ হাজারেরও বেশি দর্শক। ইউটিউবের অন্যতম জনপ্রিয় এই চ্যানেলের যাত্রা শুরু ২০১২ সালে। লেটস প্লে আর ভৌতিক কাণ্ডকারখানার সম্মিলন ঘটিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া রয়েছে বিনোদনমূলক অঙ্গভঙ্গি, নাটকীয়তা ও বাচনভঙ্গিনির্ভর ভিডিও। তবে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে সবটাতেই রয়েছে অভিনয়। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে জন্ম নেওয়া মার্ক অ্যাডওয়ার্ড যখন ইউটিউবে আসেন, তখনো তিনি এটিকে পেশা হিসেবে নেননি। ভিডিও গেম ছেড়ে সেখানের দৃশ্যায়নের পেছনে থেকে তার কথাবার্তা ও অভিনয় দর্শকদের হাসির খোরাক জোগায়। ইউটিউবে ভিডিও প্রচার করে তিনি বছরে আয় করেন ৫৫ লাখ ডলার।
কলিনের কত কাণ্ড!
২০০৮ সাল থেকে ইউটিউবে ভিডিও প্রচার করছেন কলিন বলিনজার। তার চ্যানেলের নাম মিরান্ডা সিংসে, এতে রয়েছেন ৭৫ লাখ দর্শক। দিন দিন তার দর্শক সংখ্যা বাড়ছেই। যুক্তরাষ্ট্রের কমেডিয়ান কলিনের ইউটিউবের জনপ্রিয়তাই বলে দিচ্ছে লোক হাসাতে ওস্তাদ তিনি। শুরুর দিকে নিজের প্রাত্যহিক জীবনের নানা মজার ঘটনা তিনি ক্যামেরাবন্দী করে ইউটিউবে দিতেন। দর্শক তার মজার কাণ্ডকারখানা আর রসাত্মক ভোগান্তি দেখে হাসি থামাতে পারে না। এখন ইউটিউব থেকে তার বছরে আয় ৫০ লাখ ডলার।
No comments:
Post a Comment