বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল: ইউনেসকো

বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হিসাবে বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই ঠাঁই পেয়েছেন। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০টি ভাষণের একটি বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণই বিশ্বের মানুষের সর্বাধিক শোনা ভাষণ। সেই ভাষণ এবার ইউনেসকোর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি পেলো।

বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইউনেসকো। গতকাল সোমবার (৩০/১০/২০১৭ ইং) ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে দেওয়া একটি তালিকায় এ তথ্য রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এমওডব্লিউ) কর্মসূচির অধীনে আন্তর্জাতিক তালিকায় (ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার) মোট ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ তালিকায় ৪৮ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণটিকে স্থান দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব ঐতিহ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আন্তর্জাতিক তালিকাই মূলত মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ঘটনার সংরক্ষণ ও সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে ইউনেসকো। এই তালিকায় ঠাঁই পেতে হলে পর্যাপ্ত গ্রহণযোগ্যতা ও ঐতিহাসিক প্রভাব থাকতে হয়।
প্যারিসে ইউনেসকোর প্রধান কার্যালয়ে ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর চার দিনের এক সভায় বসেছিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইএসি)। সেখানে ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল নিবন্ধনের জন্য ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আইএসির এই কমিটিতে ছিলেন ১৫ জন বিশেষজ্ঞ। এর চেয়ারম্যান ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল আর্কাইভের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আলরাইজি। তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব করা ঐতিহাসিক দলিল পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করেন। দুই বছরের প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬-১৭ সালের জন্য দলিলগুলোকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
মনোনয়নগুলো সম্পর্কে সুপারিশ করে ইউনেসকোর মহাপরিচালক ইরিনা বকোভা বলেন, ‘আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, এ কর্মসূচি পরিচালিত হওয়া উচিত দালিলিক ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য। যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সংলাপ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির চেতনা তাদের মনে লালন করতে পারে।’
১৯৯২ সালে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম চালু করে ইউনেসকো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দালিলিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহারে সচেতনতার তাগিদে এটি চালু হয়। যুদ্ধ ও সামাজিক অস্থিরতা, সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে দালিলিক ঐতিহ্য নিয়ে সমস্যা বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংগ্রহশালা বিনষ্ট হয়েছে। লুটপাট, অবৈধ বিক্রি, ধ্বংস, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ও তহবিলের উদ্যোগে নষ্ট হয়েছে দলিল। অনেক দলিল নষ্টের ঝুঁকিতে।

স্ট্রোকের কারণ, ঝুঁ‌কি ও চি‌কিৎসা

স্ট্রোক বিষয়ে এনটিভিতে কথা বলেছেন অধ্যাপক জিল্লুর রহমান। বর্তমানে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

স্ট্রোকের কারণ কী?
কোনো কারণে মস্তিষ্কের কোনো অংশ অবশ হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে স্ট্রোক বলা হয়। মাথাব্যথা, শরীরের কোনো অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, কথা বলতে না পারা ইত্যাদি স্ট্রোকের লক্ষণ।
বিভিন্ন কারণে স্ট্রোকের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ইত্যাদিকে স্ট্রোকের কারণ হিসেবে ধরা হয়।

প্রশ্ন : স্ট্রোকের কারণ কী?
উত্তর : কারো যদি রক্তচাপ বেশি থাকে, সে যদি নিয়মিত ওষুধপত্র না খায়, তাহলে এটি স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই, তাদের স্ট্রোক হতে পারে। পাশাপাশি কিছু কিছু পারিবারিক ইতিহাস থাকে। যেমন, মা-বাবা বা কাছের কারো স্ট্রোক করেছে এ রকম যদি থাকে, তাহলে দেখা যায় ওই সমস্ত রোগী বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এগুলো সাধারণত স্ট্রোকের কারণ। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের পার্থক্য কী?
অনেকে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোককে মিলিয়ে ফেলে। বিষয়টি আসলে সম্পূর্ণ আলাদা। মূলত, হার্ট অ্যাটাক হৃৎপিণ্ডে হয়। আর স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে।

প্রশ্ন : হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক দুটোর পার্থক্য কী? কোন রোগীর ক্ষেত্রে কোথায় যাওয়া উচিত?
উত্তর : হার্ট অ্যাটাক হলো হার্টের অসুখ। আর স্ট্রোককে বলতে বোঝায় ব্রেন অ্যাটাক। স্ট্রোক করলে অবশ্যই নিউরোসার্জিক্যাল বা নিউরোলজিস্টের কাছে যেতে হবে। হার্ট অ্যাটাক হলে সাধারণত আমরা হার্টের হাসপাতালেই যাই।
প্রশ্ন : এটি উপসর্গ দিয়ে কি বোঝার কোনো উপায় রয়েছে?
উত্তর : অবশ্যই রয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের রোগী সাধারণত বুকে ব্যথা নিয়ে আসে। সাধারণত অজ্ঞান হয় না। তীব্র বুক ব্যথা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘাম হয়। সে ঘামতে থাকে। দেখা যায় রক্তচাপ নেমে যায়। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো হলো বুকে ব্যথা, এরপর কথা বলতে না পারা, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, বুকে আঁটসাঁট অনুভব করা। এ ধরনের সমস্যা হয়। হঠাৎ করে খুব ঘাম হয়, রক্তচাপ নেমে যায়, শেষ মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে যায়।
আর স্ট্রোকের যে সমস্যা, সেখানে প্রথমেই রোগীর মস্তিষ্কে তীব্র মাথাব্যথা থাকবে। রোগীর একটি অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায় অথবা খিঁচুনি হয়। তবে হার্ট অ্যাটাকের রোগী সাধারণত খিঁচুনি নিয়ে আসে না।

স্ট্রোকের চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে করণীয়
স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ। স্ট্রোক হয়েছে বোঝা গেলে দ্রুত রোগীকে কাছের হাসপাতালে নেওয়া জরুরি।

প্রশ্ন : স্ট্রোকের রোগীকে প্রাথমিকভাবে কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয়?
উত্তর : প্রাথমিক অবস্থায় আমরা রোগীকে প্রথমে পরীক্ষা করি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী অচেতন থাকে। কাছের আত্মীয়দের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়। জিজ্ঞেস করি, তার কী লক্ষণ ছিল? মাথাব্যথা হয়েছিল কি না বা বমি হয়েছিল কি না বা শরীরের কোনো একটি অংশ অবশ হলো কি না বা খিঁচুনি হলো কি না। এসব লক্ষণ দেখে আমরা সন্দেহ করি, তার স্ট্রোক হতে পারে।
এর পর খুব জরুরি একটি পরীক্ষা আমরা করি, সেটি হলো সিটিস্ক্যান। এখন এটি সহজলভ্য হয়ে গেছে। এখন শহরে তো আছেই, উপজেলা পর্যায়েও অনেক জায়গায় সিটিস্ক্যান মেশিন রয়েছে। সুতরাং সিটিস্ক্যান করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ধরতে পারি এটি কী ধরনের স্ট্রোক। স্ট্রোক সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি হলো ইসকেমিক স্ট্রোক, আরেকটি হেমোরেজিক স্ট্রোক। বাংলায় বলতে গেলে, রক্ত চলাচল বন্ধের জন্য একটি স্ট্রোক হচ্ছে, আরেকটি রক্তক্ষরণের কারণে স্ট্রোক হচ্ছে। তাই সিটিস্ক্যান করামাত্র আমরা সঙ্গে সঙ্গে কারণটা ধরতে পারি।
প্রশ্ন : কারণ ধরে ফেলার পরে আপনাদের পদক্ষেপ কী থাকে?
উত্তর : পরবর্তী পর্যায়ে আমরা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর প্রাথমিক যে চিকিৎসা, সেগুলো আমরা দিই। কিছু ওষুধপত্র থাকে। যদি ইসকেমিক স্ট্রোক হয়, রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে যদি হয়, তাহলে আমরা ওই রোগীদের সাধারণত অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ দিই। অ্যাসপিরিন এবং কিছু সেরিভাল ভেসোডায়ালেটার দিই। আর রক্তচাপ যদি অনিয়ন্ত্রিত থাকে, রক্তচাপের ওষুধ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিস যদি বেশি পরিমাণে থাকে, তাহলে ডায়াবেটিসের ওষুধপত্র দিয়ে আমরা প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা দিই।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন

স্ট্রোক দুই ধরনের—ইসকেমিক ও হেমোরেজিক। অনেক সময় হেমোরেজিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে। সার্জারির পর কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।

প্রশ্ন : সার্জারির পর আপনাদের পরামর্শ কী থাকে?
উত্তর : তখন চর্বিজাতীয় খাওয়া-দাওয়া এড়িয়ে যেতে বলি। হার্টের চিকিৎসায় ডাক্তার সাহেবরা যেমন এসব কথা বলেন, তেমনি মস্তিষ্কের চিকিৎসায়, রক্তনালি সরু যেটি হচ্ছে, সেটি বড় করার জন্য লিপিট সমৃদ্ধ খাবার যেগুলো, চর্বিজাতীয় খাবার যেগুলো সেগুলো এড়িয়ে যেতে বলা হয়। যেমন—গরুর মাংস, খাসির মাংস, চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে যেতে বলা হয়। ব্যায়াম করতে বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপ যদি থাকে, নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়। ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা মানতে পারলে এর ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাওয়া সম্ভব।

কানের সমস্যা যেসব কারণে হ‌য়ে থা‌কে

কান খোঁচানো
শক্ত কোনো কিছু দিয়ে কান খোঁচানোর অভ্যাস অনেকেরই কানের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানে কোনো ধরনের ধাতব বা শক্ত কিছু ঢোকানো যাবে না।
এতে করে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হেডফোন/ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার
অনেকেই কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখে অনেকটা সময় ধরে। এতে করে কানের মারাত্মক ক্ষতি হয়। একটানা ২০-২৫ মিনিটের বেশি কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখা একেবারেই উচিত নয়।

কান ব্যথাকে অবহেলা
কানে সংক্রমণের কারণে ব্যথা হতে পারে। আর এটি কানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কানের সামান্য প্রদাহ ও ইনফেকশন অবহেলা করা বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কানে ব্যথা বা ইনফেকশন হলে উপযুক্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

উচ্চৈঃস্বরে গান শোনা
স্পিকার বা ইয়ারফোন যা-ই হোক না কেন, অতিরিক্ত সাউন্ড দিয়ে গান শোনার অভ্যাসটি কান ও শ্রবণশক্তির জন্য ক্ষতিকর।
৮৫ ডেসিবলের বেশি শব্দ যদি কেউ প্রতিনিয়ত শুনতে থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে তার শ্রবণশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এতে কানের পর্দার সংবেদনশীলতা নষ্ট হয়ে যায়।

বিনা প্রয়োজনে কান পরিষ্কার
অনেক সময়েই আমরা ইয়ারবাড দিয়ে কান পরিষ্কার করে থাকি। অনেকে কান চুলকাতে ম্যাচের কাঠিও ব্যবহার করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানের ভেতরে পরিষ্কার করা একেবারেই উচিত নয়। এমনিতেই কানের ময়লা বের হয়ে যায়। কানের বেশি ভেতরে পরিষ্কার করতে যাবেন না। যদি প্রয়োজন মনে হয় তবে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।

গ্রামীণ‌ফো‌নে 1GB দা‌মে 1.5GB অফার!

‌জি‌পি সি‌মে 1GB ইন্টার‌নে‌টের সাথে বোনাস 512MB একদম ফ্রি, মাত্র 94 টাকায়।

গ্রামীণ‌ফো‌ন ইন্টার‌নে‌টের মেয়াদ ৭দিন (বোনাসসহ)।
‌জি‌পি ফ্রি অফার‌টি চালু করতে ডায়াল করুন *121*3814#
‌জি‌পি অফারটি সী‌মিত সম‌য়ের জন্য।

গ্রামীণ‌ফো‌নে 100MB ফ্রি ইন্টার‌নেট

‌জি‌পি সিমে ফ্লে‌ক্সিপ্ল্যান অ্যাপ আপ‌ডেট কর‌লেই পা‌চ্ছেন ১০০এম‌বি ইন্টার‌নেট ফ্রি!
GP 100MB Internet Free for FlexiPlan App!

গ্রামীন‌ফোন গ্রাহকগণ ১০০MB ইন্টার‌নেট ফ্রি পাবেন, গুগল প্লে‌স্টোর থে‌কে য‌দি তারা ফ্লে‌ক্সিপ্ল্যান অ্যাপ ডাউন‌লোড অথবা আপডেট ক‌রেন।

‌জি‌পি ১০০এম‌বি ফ্রি ইন্টার‌নেট এর মেয়াদ ২ দিন।
জি‌পি 100MB ফ্রি ইন্টার‌নে‌টের অফার‌টি সী‌মিত সম‌য়ের জন্য।

সরাস‌রি গুগল প্লে‌স্টোর থে‌কে ফ্লে‌ক্সিপ্ল্যান অ্যাপ ডাউন‌লোড করুনঃ www.goo.gl/dJJUxo (Data Charge Applies)
ফ্লে‌ক্সিপ্ল্যান অ্যাপ ফ্রি ডাউন‌লোড করুনঃ www.goo.gl/2VMVAL

অনলাইনে আ‌য়ের বি‌ভিন্ন উপায়


দশ দিকের নাম কি কি?

বি‌ভিন্ন সময়, কা‌জে ও স্থা‌নে দিক নির্ণয়ের গুরুত্ব অপ‌রিসীম। তাই এসব দিক জানা থাকাটা অত্যন্ত জরু‌রি।
পৃ‌থিবী‌তে প্রধান চারটি দিক (কোণ) আ‌ছে অর্থাৎ যেগুলো আমরা সকলেই জানি- পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর এবং দক্ষিণ।
এছাড়াও বাকি আরও ছয়টা দিক আছে যা সবার কা‌ছে প‌রি‌চিত নয়, সেগুলো হলঃ ঈশাণ, অগ্নি, নৈঋত, বায়ু, উর্দ্ধ এবং অধঃ। 

বাংলা‌লিংক 2GB ইন্টার‌নেট মাত্র 55 টাকায়

বাংলা‌লিংক এর স্পেশাল ইন্টার‌নেট অফার!
মাত্র ৫৫ টাকা‌তে (ট্যাক্সসহ) ২জি‌বি ইন্টা‌রনেট।
বাংলা‌লিংক গ্রাহকগণ 2GB internet 55tk তে পে‌তে এখনই ডায়াল করুন *5000*274#

বাংলা‌লিংক ইন্টার‌নেট অফা‌রটির মেয়াদ ১০ দিন।
বাংলা‌লিংক ইন্টার‌নেট অফা‌রটি সী‌মিত সম‌য়ের জন্য।

বাংলা‌লিংক 25tk-‌তে 1GB ইন্টার‌নেট অফার

বাংলা‌লিংক এর স্পেশাল ইন্টার‌নেট অফার!
মাত্র ২৫ টাকা‌তে (ট্যাক্সসহ) ১জি‌বি ইন্টা‌রনেট।
বাংলা‌লিংক গ্রাহকগণ 1GB internet 25tk তে পে‌তে এখনই ডায়াল করুন *5000*272#

বাংলা‌লিংক ইন্টার‌নেট অফা‌রটির মেয়াদ ৩ দিন।
বাংলা‌লিংক ইন্টার‌নেট অফা‌রটি সী‌মিত সম‌য়ের জন্য।

কোয়েল পালন ক‌রে লাখপতি ঝালকাঠির কামাল!

কোয়েল পাখির খামার করে ভাগ্য বদল হলো ঝালকাঠি শহরের বেকার যুবক
কামালের। কোয়েল পাখি বিক্রি করে কামাল এখন স্বাবলম্বী।

ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টির বাসিন্দা মো. কামাল খলিফা আমার দেশকে বলেন, তিনি ৯ মাস আগে খুলনা থেকে ৫শ’ কোয়েল পাখির ডিম কিনে আনেন। পরে কৃত্রিম উপায়ে তার নিজস্ব ইনকিউবেটর যন্ত্রের সাহায্যে ওই ৫শ’ ডিমে ২৮টি বাচ্চা ফোটান।
২৮টি বাচ্চা থেকে এখন তার খামারে ৫শ’ প্যারেন্টস কোয়েল পাখি রয়েছে। এছাড়া ৯ মাসে তিনি প্রায় ১০ হাজার কোয়েল পাখি
বিক্রি করেছেন। খামার করতে তার প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হলেও এরই মধ্যে তার প্রায় ৯ লাখ টাকার পাখি বিক্রি করা হয়ে গেছে। কামালের খামার থেকে কোয়েল পাখির বাচ্চা বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিটি ৪০ টাকা এবং বড় পাখিগুলো হচ্ছে ১শ’ টাকা
দরে। নিজের বাড়িতেই খামার করায় কামালের খরচ অনেকটা সাশ্রয় হয়েছে।

কামাল জানান, ৩টি মুরগির ডিমে যে প্রোটিন আছে, কোয়েল পাখির একটি ডিমেই তা রয়েছে।
কামাল ১শ’ কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করছেন ২৪০ টাকা দরে। কোয়েল পাখির খাবার প্রসঙ্গে তিনি জানান, ৫শ’ পাখির জন্য প্রতিদিন ৭ কেজি রেডি ফিড প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন খাবার বাবদ খরচ
হয় ২২০ টাকা।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে কামাল
বলেন, তিনি চট্টগ্রাম থেকে তিত মুরগির ডিম এনে তিত মুরগির খামার করার পরিকল্পনা করছেন। শিগগিরই তিনি এ খামারের কাজ শুরু করবেন।
এদিকে কামাল খলিফা কোয়েল পাখিসহ বিভিন্ন পশু-পাখির রোগ প্রতিরোধের ওপরও ডেনমার্কের সহযোগিতায় পরিচালিত একটি সংস্থায় ঢাকার সাভারে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

কামালের খামারের সফলতায় শহরের অনেক যুবকই এখন কোয়েল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তার মতে, যুবকদের বেকার জীবন হলো অভিশপ্ত। তাই তিনি যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে তার মতো উদ্যমী ও গঠনমূলক কাজ করার আহ্বান জানান।

পেটব্যথা কমানোর উপায়

পেটে ব্যথা একটি প্রচলিত সমস্যা। সংক্রমণ, প্রদাহ, অন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি কারণে অনেক সময় পেটে ব্যথা হয়। পেটে ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই যেতে হবে, তবে প্রাথমিকভাবে ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন।

পেটে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

১. আদা
পেটের ব্যথা কমাতে আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা কমায়।
* পেট ব্যথা কমাতে আদা চা পান করতে পারেন। আদা চা বানাতে, এক কাপ গরম পানির মধ্যে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে ফুটান। এর মধ্যে সামান্য মধু দিন। এরপর এটিকে পান করুন। এ ছাড়া আদা কুচিও চিবাতে পারেন।

২. হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এটি প্রদাহ কমাতে কাজ করে; পরিপাক ভালো করতে সাহায্য করে।
• এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানির মধ্যে হলুদ দিয়ে গরম করুন। দিনে দুইবার এটি পান করুন।
• এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন সাপ্লিমেন্ট দিনে তিনবার খেতে পারেন। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩. গরম পানির সেঁক
দ্রুত পেটের ব্যথা কমাতে গরম পানির সেঁক খুব কার্যকর। এটি পেটের ব্যথা কমাতে ও পেশি শিথিল করতে কাজ করে।
• একটি হট ব্যাগে গরম পানি ভরে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। প্রয়োজনে পুনরায় পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।
• এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। এটিও ব্যথা কমাতে কাজ করবে। তবে গরম পানি সেঁক নেওয়ার সময় একটু সতর্ক থাকুন। না হলে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ফেসবুকের গ্রুপ অ্যাডমিনদের জন্য সুখবর

বিভিন্ন গ্রুপের অ্যাডমিনদের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। এখন থেকে গ্রুপের কোনো সদস্যকে সাময়িকভাবে কোন পোস্ট ও কমেন্ট করা থেকে বিরত রাখতে পারবেন অ্যাডমিন।

আরও সহজে এবং কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই যেন গ্রুপ পরিচালনা করা সম্ভব হয় সেজন্যই সম্প্রতি এই ফিচারগুলো চালু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

চালু করা আরেকটি ফিচার হলো একাধিক গ্রুপ পরিচালনা করেন, এমন কোনো অ্যাডমিন চাইলে একবারেই সবগুলো গ্রুপ থেকে কোনো সদস্যকে অপসারণ করতে পারবেন।

এখন থেকে গ্রুপ অ্যাডমিন সহজেই নতুন সদস্যদের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবেন। এজন্য কোনো ওয়েলকাম পোস্ট লিখলেই সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন সদস্যদের ট্যাগ করবে ফেসবুক।
ছবিটি লোড করতে ক্লিক করুন

এর পাশাপাশি মেম্বার প্রোফাইল এবং আরও উন্নত গ্রুপ ইনসাইট সুবিধাও যুক্ত করেছে। এর ফলে পেজের মতো এখন থেকে গ্রুপেও শিডিউল পোস্ট করা যাবে।

প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল না করেই চলবে অ্যাপ

গুগল প্লে স্টোরে আসতে চলেছে বড়সড় রদবদল। এখন অ্যাপ কী, কীরকম সেইসব দেখতে হলে মোবাইলে ইনস্টল করার দরকার নেই। তার আগেই ঘেঁটে দেখা যেতে পারে সেই অ্যাপ। অ্যাপসের নানা রকম তথ্য জানা যাবে ইনস্টল না করেই, আসছে গুগলের নতুন ট্রাই নাও।

গত বছর গুগলের আইও ডেভেলপার কনফারেন্সে প্রথম অ্যানড্রয়েড ইনস্টান্ট অ্যাপস নতুন ফিচার জনসমক্ষে আনা হয়। নেটিভ অ্যাপ্লিকেশনসের সঙ্গে মোবাইল ওয়ার্ল্ডকে আরও কাছাকাছি এনে ফেলেছে গুগল। আর এই ঘনিষ্টতা বাড়াচ্ছে প্লে স্টোরে নতুন ট্রাই নাও অপশন। এর জেরে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপের কিছু অংশ গ্রাহকের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে চলে যাবে।

ফলে ডাউনলোড বা ইনস্টলেশন প্রসেস ছাড়াই ওই অ্যাপ সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে পারেন গ্রাহকরা। স্বাভাবিক ভাবেই মোবাইল ডেটা খরচের ঝক্কি থেকে রেহাই। তবে এখনও পর্যন্ত প্লে স্টোরে এই ট্রাই নাও ফিচার পুরোপুরি জাঁকিয়ে বসেনি। ইনস্ট্যান্ট অ্যাপ লঞ্চ করা যাবে ইউআরএল ট্যাপ করেই। অন্যান্য অ্যাপের মতো ডাউনলোড করার দরকার নেই। গুগল প্লে স্টোরে থাকছে আরও কিছু পরিবর্তন। এডিটরস চয়েস সেকশন রাখা হচ্ছে। ১৭টি দেশে যা লাইভ হবে। গেম ট্রেলার আর স্ক্রিনশটের জন্য আলাদা হোম আনা হচ্ছে। পেড আর আপকামিং গেমসের জন্য প্রিমিয়াম ও নিউ সেকশন রাখা হবে।

আপাতত ট্রাই নাও-এর আন্ডারে রয়েছে কিছু সংখ্যক অ্যাপ। কিন্তু আরও সংখ্যাটা বাড়ানো হবে। ফলে এখন মোবাইলের জায়গা আর ডেটা খরচ করার আর সমস্যা থাকবে না। আগেভাগেই গ্রাহকরা দেখে নিতে পারবেন অ্যাপটি আদৌ তার কাজে লাগবে কি না।

অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট করবেন যেভা‌বে

স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ব্যবহারে স্লো হয়ে যায়। এছাড়া আরো নানা সমস্যা হয়।

এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট করা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট করা যায়।

১. প্রথমেই আপনার মোবাইল ফোন মেমোরিতে সংরক্ষিত ডাটা (ছবি, গান, ভিডিও, অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য) ব্যাকআপ করে রাখুন। কারণ, আপডেট হওয়ার সময় আপনার ফোনের ডাটা ডিলিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

২. তারপর Settings ওপেন করুন।

৩. নিচে স্ক্রল করে About Phone এ ক্লিক করুন।

৪. Software Updates এ ক্লিক করুন।

৫. Update/ Check for Updates এ ক্লিক করুন। এটি আপনার মোবাইল এর জন্য কোন আপডেট আছে কিনা তা চেক করবে।

আপডেট আছে কিনা তা নির্ভর করবে আপনার মোবাইল ফোনের উপর। নতুন আপডেট সব মোবাইল এর জন্য থাকে না।
যদি কোন আপডেট থাকে তাহলে তা ডাউনলোড হওয়া শুরু হবে। বড় সাইজের আপডেট এর জন্য আপনার ফোন টিকে Wi-Fi এ কানেক্ট করে রাখুন যাতে আপনার মেগাবাইট শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় না থাকে। 

৬. আপডেট যখন ডাউনলোড হওয়া শেষ হবে, তখন সেই আপডেট টি ইন্সটল হওয়ার জন্য মোবাইল ফোন টি রিস্টার্ট হবে এবং সম্পূর্ণ আপডেট প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশ কিছুক্ষন সময় লাগতে পারে। আপডেট চলাকালিন সময়ে মোবাইল ফোনটি চার্জার এ কানেক্ট করে রাখবেন যাতে মোবাইল এর চার্জ শেষ হয়ে না যায়। 

চোখ সুস্থ রাখার ব্যায়াম

আমাদের অনেকেরই হয়ত জানা নেই যে, চোখ সুস্থ রাখার জন্য আলাদা ব্যায়াম রয়েছে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন তিনটি ব্যায়াম তুলে ধরা হলো এই লেখায়।
প্রতিদিন এই সহজ ৩টি ব্যায়াম আপনার চোখের স্ট্রেস দূর করবে চমৎকার ভাবে।
সারাক্ষণ স্মার্টফোন, কম্পিউটার, টিভি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে আমাদের চোখে অনেক প্রেসার পড়ে। তাই এই ব্যায়ামগুলো করা খুব জরুরি।

চোখ বন্ধ করে
চোখ বন্ধ করে আঙ্গুলের সাহায্যে করুন এই ব্যায়ামটি। এজন্য
১. চোখ বন্ধ করুন
২. চোখের পাতার উপর এক জোড়া করে আঙ্গুল রাখুন
৩. এরপর ২ সেকেন্ডের জন্য হালকা চাপ দিন
৪. এভাবে ৫ থেকে ১০ বার করুন
৫. ব্যায়াম শেষে ধীরে চোখ খুলুন যাতে আপনার চোখ বাইরের আলোর সাথে সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

চোখ ঘোরান
চোখের যত্নে চোখ ঘোরানো ব্যায়াম করুন। এজন্য যা করতে হবে-
১. বাম দিক থেকে চোখের মণি রাউন্ড করে ঘুরে আবার বামে আনুন
২. এভাবে ৫ থেকে ১০ বার করুন
৩. এবার বিপরীত দিকে অর্থাৎ ডান দিকে ঘোরান
৪. এভাবে ৫ থেকে ১০ বার করুন

পাশে তাকান
আমরা আমাদের চোখের কোন দিয়ে বা আড়চোখে আশপাশের মানুষের দিকে হরহামেশাই তাকাই। এটাই করুন চোখের ব্যায়ামের জন্য। মাথা না নাড়িয়ে করুন এই ব্যায়ামটি-

১. এই ব্যায়ামটির জন্য প্রথমে সোজা হয়ে বসুন বা দাঁড়ান
২. যতদূর সম্ভব সামনের দিকে দেখার চেষ্টা করুন (চোখের ওপর প্রেশার না দিয়ে)
৩. এভাবে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড দৃষ্টি অনড় রাখুন
৪. এবার মাথা না নাড়িয়ে বামে তাকান, সর্বোচ্চ যতটা বামে তাকানো সম্ভব
৫. অপেক্ষা করুন ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড
৬. একইভাবে ডানে তাকান
৭. আবার ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।
৮. অন্তত ১০ বার করুন ব্যায়ামটি।

আকিকা দেওয়া কি জরুরি?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মো. সাইফুল্লাহ।

বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫১৬তম পর্বে ইসলামে আকিকা দেওয়াটা জরুরি কি না, সে সম্পর্কে সুনামগঞ্জ থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন রফিক। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : ইসলামে আকিকা দেওয়াটা কতটুকু জরুরি? আমার মেয়ের বয়স ছয় মাস চলছে। এখন আকিকা দেওয়া যাবে কি?
উত্তর : ইসলামে আকিকার বিষয়টি সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কেউ কেউ বলেছেন ওয়াজিব, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার মনে হচ্ছে, ওয়াজিবের ব্যাপারেও যে বক্তব্যটি রয়েছে, সেটাও কম শক্তিশালী নয়। মহানবীর (সা.) হাদিসের নির্দেশনাগুলো থেকে বোঝা যায়, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাহ।
আকিকার ফজিলত তো অনেক। সেটা হচ্ছে, এই যে নতুন একটা প্রাণ এলো, এই প্রাণের বিনিময় হিসেবে এই আকিকা দেওয়া হচ্ছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার কাছ থেকে যেসব বালা-মুসিবত আছে, সেগুলো উঠিয়ে নেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এই আকিকা না করা হয়, রাসুল (সা.) আম হাদিসের মধ্যে বলেছেন যে, ‘নবজাতক সেখানে আবদ্ধ থেকে যায়।’ সে এগুলোর মধ্যে আবদ্ধ থাকে, আটকা থাকে। তাই এই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফজিলত রয়েছে মর্মে অনেক হাদিস রয়েছে। তা ছাড়া এটি কিন্তু একটি ইবাদত, ফজিলতের বিষয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সামাজিকভাবেও এর একটা মর্যাদা রয়েছে, অনেক ইতিবাচক গুরুত্ব রয়েছে।
আপনার মেয়ের বয়স ছয় মাস। আপনার উচিত ছিল মেয়ের জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা করা। এখন যত দ্রুত সম্ভব আপনি আপনার মেয়ের আকিকা করে নিন। আপনি এখন মেয়ের আকিকা করতে পারবেন।