জীবনে একবারও কোমরে ব্যথা অনুভব করেননি এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলে এ ব্যথার সূত্রপাত হয়।
তরুণাস্থির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে সংবেদনশীলতার পরিবর্তন হয়। সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয়।
কোমরের ব্যথা নিরাময়ে ব্যায়াম যেমন জরুরি, তেমনি কিছু সতর্কতাও কাজে আসে। তাই জেনে রাখুন...
১. উপুড় হয়ে শোবেন না। ফোম বা স্প্রিংয়ের গদিযুক্ত বিছানা পরিহার করুন। বিছানা শক্ত ও চওড়া হলে এবং তোশক পাতলা ও সমান হলে ভালো।
২. কাটা-কোটা, রান্না, মসলা পেষা, ঘর মোছা, কাপড়কাচা, ঝাঁট দেয়া বা নলকূপ চাপার সময় মেরুদণ্ড সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।
৩. যাঁরা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা বিছানা থেকে ওঠার সময় সতর্ক হোন। চিত হয়ে শুয়ে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করুন। এবার ধীরে ধীরে এক পাশে কাত হোন। পা দুটি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, কাত হওয়া দিকে কনুই ও অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।
৪. ঘাড়ে ভারী কিছু ওঠাবেন না। ভারী জিনিস শরীরের কাছাকছি রাখুন। পিঠে ভারী কিছু বহন করতে হলে সামনে ঝুঁকে বহন করুন।
৫. গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে না বসে সোজা হয়ে বসুন।
৬. নিচ থেকে বা মাটি থেকে কিছু তুলতে হলে না ঝুঁকে হাঁটু ভাঁজ করে বসুন ও তারপর তুলুন।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
৮. ৩০ মিনিটের বেশি একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না। হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না। দীর্ঘ সময় হাঁটতে হলে উঁচু হিল পরবেন না। অনেকক্ষণ একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন। একটু বসে বিশ্রাম নিন।
৯. নিয়মিত কায়িক শ্রম করুন বা ব্যায়াম করুন। নিয়মিত হাঁটুন।
১০. চেয়ার টেবিল থেকে বেশি দূরে থাকবে না। সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না। কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন। এমনভাবে বসুন, যেন হাঁটু ও ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে। নরম গদি বা সিপ্রংযুক্ত চেয়ার পরিহার করুন। ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।
No comments:
Post a Comment