ভাইরাল ফিভারে জেরবার অসংখ্য মানুষ৷ এই ‘সামান্য’ জ্বরই বিছানা আটকে রাখছে পাঁচ-সাতদিন৷ তারপর আরও পাঁচ-সাতদিন দূর্বলতা তো আছেই৷ সবমিলিয়ে প্রায় দিন পনের বাড়িতেই গ্যারেজ৷ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন তাপমাত্রার তারতম্যের ফলে এই জ্বর হলেও এটা কিন্তু মারাত্মক ছোঁয়াচে৷ এই জ্বর জ্বালাকে দূরে সরিয়ে রাখতে বেশ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷
অাগস্টের শেষেও মনে হচ্ছে গরম কাল৷ বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমছে না৷ উল্টো ঊর্ধ্বমুখী আর্দ্রতার কারণে শারীরিক অস্বস্তি বাড়ছে সাংঘাতিক হারে৷ আবার এই আবহ যেহেতু জীবাণুদের বাড়বাড়ন্তের জন্যও আদর্শ, তাই সংক্রমণের কবলে পড়ছেন হাজারো মানুষ৷ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় মশার প্রজননও বেড়ে যায়৷ ফলে ডেঙ্গু জীবাণুও ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে৷
ভারতের এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসক অলোকেশ কোলে জানিয়েছেন, কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই জ্বরের ঝুঁকি নিশ্চিত ভাবেই বেশ কিছুটা কমানো যাবে৷ যেমন,
১. ঠান্ডা -গরম এড়াতে হবে৷ দিনে অন্তত তিন -চার লিটার (যদি না কিডনি বা হার্টের সমস্যা থাকে) জলপান করুন৷
২. জ্বর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান৷ এই সময় বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন৷ বিশ্রাম নিলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন৷
৩. যেহেতু এই জ্বর মারাত্মক ছোঁয়াচে তাই জ্বরে আক্রান্তদের থেকে অন্তত তিন ফুটের দূরত্ব বজায় রাখুন৷
৪. হালকা খাবার খান৷ বাইরের মশলাদার খাবার বিশেষ করে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন৷
৫. মুখে হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে৷
৬. মশার কামড় এড়াতেই হবে৷ প্রয়োজনে যে কোনও মশা তাড়ানো কয়েল, তেল, ক্রিম, স্প্রে ও রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন৷
অ্যাপেক্স হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন, বয়স্করা তো আছেন, এই ধরনের অসুখে ঘায়েল হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে শিশুদের৷ যে সমস্ত শিশুদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম তাঁদের বিশেষ সাবধানে রাখতে হবে৷ না হলে এই জ্বর থেকে তাদের নিউমোনিয়া হতে পারে৷ জ্বরে আক্রান্তদের থেকে বাচ্চাদের অবশ্যই দূরে রাখতে হবে৷ না হলে জ্বর তাদের অবশ্যম্ভাবী৷
No comments:
Post a Comment