সামরিক শক্তিতে যার দৌড় বেশি, বিশ্বে তার কর্তাগিরি তত বেশি। এ ছাড়া নিজের দেশের সুরক্ষার বিষয়টা তো আছেই। তাই সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৌড়ঝাঁপের শেষ নেই। নিজেদের অন্যদের থেকে শক্তিশালী প্রমাণে সব লেগে থাকে নতুন মারণাস্ত্র আবিষ্কার ও বেচা-কেনার প্রতিযোগিতা।
এই পাল্লায় বিশ্বের কোন দেশ কতটা এগিয়ে তার তালিকা তৈরি করেছে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেস্ক নামের একটি ওয়েবসাইট। ১৩৩ দেশের সামরিক বাহিনীর ৫০টি তথ্য বিশ্লেষণ করে ২০১৭ সালের জন্য তালিকাটি করা হয়েছে।
১৩৩টি দেশের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই প্রথম দশের তালিকা দখল করেছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক, জার্মানি ও মিসর। তালিকায় শেষের পাঁচটি দেশ হলো, সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিক, মৌরিতানিয়া, সিয়েরালিয়ন, সুরিনাম ও ভুটান।
তালিকা তৈরি করতে গিয়ে দেশগুলোর মানবসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ, ভৌগোলিক গুরুত্ব, বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর শক্তি ছাড়াও সৈন্যদের দক্ষতাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
প্রকাশ করা নতুন এই তালিকা থেকে দেশগুলোর সামরিক শক্তির পার্থক্য স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এতে যুদ্ধাস্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ করার উপযোগী জনবলও বিবেচনায় নেওয়া হয়।
তালিকায় বাংলাদেশে রয়েছে ৫৭তম অবস্থানে। আর বর্তমানে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কে থাকা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার রয়েছে ৩১ নম্বরে।
দেখে নেওয়া যাক সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিস্তারিত-
বাংলাদেশ
সামরিক অবস্থানঃ ১৩৩টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭তম।
সেনা সদস্য সংখ্যাঃ সামরিক বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা দুই লাখ পাঁচ হাজার।
বিমানের সংখ্যাঃ বিমান বাহিনীতে বিমানের সংখ্যা ১৬৬টি।
ট্যাংক সংখ্যাঃ বাংলাদেশের ট্যাংক রয়েছে ৫৩৪টি।
সাঁজোয়া যানঃ ৯৪২টি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান,
কামানঃ ১৮টি কামান।
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যানঃ ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান।
নৌবাহিনীর শক্তিমত্ত্বাঃ নৌবাহিনীতে রয়েছে ছয়টি ফ্রিগেট, চারটি করভেট ও দুটি বিশ্বমানের সাবমেরিনসহ ৯১টি তরী।
মিয়ানমার
সামরিক অবস্থানঃ সামরিক শক্তিতে মিয়ানমারের অবস্থান বিশ্বে ৩১তম।
সেনা সদস্য সংখ্যাঃ দেশটির সেনা সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৬ হাজার।
বিমানের সংখ্যাঃ বিমান বাহিনীতে বিমানের সংখ্যা ২৪৯টি।
ট্যাংক সংখ্যাঃ মিয়ানমারের দখলে ট্যাংক রয়েছে ৫৯২টি।
সাঁজোয়া যানঃ এক হাজার ৩৫৮টি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান,
কামানঃ ৯৯৬টি কামান ও
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যানঃ ১০৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান।
নৌবাহিনীর শক্তিমত্ত্বাঃ বার্মার নৌবাহিনীতে রয়েছে পাঁচটি ফ্রিগেটসহ ১৫৫টি তরী।
মিয়ানমারের সামরিক শক্তির পরিসংখ্যান দেখে চোখ কপালে উঠলে নামিয়ে ফেলুন! কারণ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধ করার মতো জনবল মায়ানমারের চাইতে বাংলাদেশের অনেক অনেক গুনে বেশি। মিয়ানমারের চাইতে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর শক্তিও অনেক বেশি। তাছাড়াও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের শাসন চলে একচেটিয়া সামরিক জান্তার দ্বারা। যার ফলে বার্মার সাথে কোন দেশের যুদ্ধ বাধলে বার্মিজ নাগরিক এমনকি সৈন্যরাও পিছুটান নেবে ৯৯%।
No comments:
Post a Comment