চা হচ্ছে সর্বোচ্চ পানযোগ্য একটি পানীয়। জরিপ করলে হয়তো পানির পর চায়ের স্থান অসম্ভব নয়। আমরা এতোদিন চায়ের কথাই শুনেছি কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা সম্পর্কে অজানাই রয়ে গেছি!
তাহলে দেরি না করে জেনে নিন চায়ের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
নির্ঘুম ভাব
চায়ে থাকে ক্যাফেইন। এই উপাদান মানুষকে চাঙ্গা করে। আলস্য দূর করতেই তো ক্যাফেইন দরকার। তাই বেশি বেশি চা পান করলে ঘুম আসবে না। রাতে চা খেলে ঘুম ঘুম ভাব চলে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
চায়ে বিশেষ এক উপাদান রয়েছে, যার নাম থিওপাইলাইন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়। তাই যারা বেশি চা পান করে, তাদের দেহে ক্ষতিকর মাত্রায় থিওপাইলাইন বিরাজ করে। ফলে পেটে গণ্ডগোল দেখা দিতেই পারে। বেশ কষ্টদায়ক কিছু সময় কাটাতে হতে পারে চায়ের কারণে।
উদ্বেগ ও অস্থিরতা
চনমনে মানসিকতার জন্য বহুল প্রচলিত এক উপাদান ক্যাফেইন।
তবে এর কিছু খারাপ দিকও আছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলে প্রাথমিক অবস্থায় চাঙ্গা মনে হবে। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক পর ভর করে অবসাদ আর অস্থিরতা। হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। পাশাপাশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ভর করে।
গর্ভপাতের আশঙ্কা
অনেক বিশেষজ্ঞই গর্ভবতী নারীদের চা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। তার মানে এই নয় যে তাদের জন্য চা ক্ষতিকর। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এর ক্যাফেইন ভ্রূণের জন্য মারাত্মক হয়ে দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভপাতের আশঙ্কা থেকেই যায়।
প্রস্টেট ক্যান্সার
এমনকি ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ দেখা দিতে পারে চায়ের কারণে। বেশি পরিমাণে চায়ের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব এটাই হতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যারা খুব বেশি পরিমাণে চা পান করে, তাদের প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি থাকে।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা
ক্যাফেইন কিন্তু হৃদযন্ত্রের জন্যও ভালো খবর নিয়ে আসে না। যাদের হার্টে সমস্যা আছে কিংবা সদ্য হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছে, তাদের চা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ অতিরিক্ত চা হার্টের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে।
পাকস্থলীতে ঝামেলা
এর পেছনেও কালপ্রিট হলো ক্যাফেইন। হজম প্রক্রিয়ায় যে এসিড কাজ করে তার পরিমাণ বাড়ায় ক্যাফেইন। ফলে বদহজম দেখা দিতে পারে। ব্যথা সৃষ্টি হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই খাবার গ্রহণের আগে বেশি চা খেতে নেই।
No comments:
Post a Comment