আইফোন এক্স (iPhone X) বিস্তা‌রিত জে‌নে নিন

আইফোন এক্স ("আইফোন ১০") অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের নকশা, তৈরি ও বাজারজাত করা স্মার্টফোন। ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত অ্যাপল পার্ক ক্যাম্পাসের স্টিভ জবস মিলনায়তনে আইফোন ৮ ও আইফোন ৮ প্লাস স্মার্টফোনের সঙ্গে আইফোন এক্স উন্মোচন করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক । ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ স্মার্টফোন বাজারে পাওয়া যাবে।

অ্যাপলের ধারাবাহিক বিভিন্ন মডেলের পর এক্স মডেলের স্মার্টফোনটি বাজারে সর্বশেষ প্রযুক্তি সুবিধা যুক্ত। আইওএস ১১ অপারেটিং সিস্টেম চালিত এ স্মার্টফোনে থাকছে না কোন বাহ্যিক বোতাম। ওএলইডি প্রযুক্তির পর্দা আর ডুয়েল ক্যামেরা রয়েছে এতে। যুক্ত হয়েছে ফেস রিকগনিশন সুবিধার ‘ফেস আইডি’ নামের আনলক পদ্ধতি।

আইফোন এক্স (iPhone X) ফোনের চোখ ধাঁধানো ফিচার্স
‘এক্স ফ্যাক্টর’ নিয়ে প্রত্যাশা ছিল বেশিই। আর প্রত্যাশা মতোই চোখ ধাঁধানো ফিচার নিয়ে সামনে এল আইফোন এক্স। অ্যাপলের দশ বছর পূর্তি স্মরণীয় করে রাখতেই সম্ভবত ফোনটির নাম ‘এক্স’, অর্থাৎ রোমান সংখ্যায় দশ। অ্যাপলের দাবি, এই ‘এক্স’ মডেলটি এখনও পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ আইফোন। কিন্তু এরই সঙ্গে ছিল আরও একগুচ্ছ আকর্ষণ। একই দিনে উন্মোচিত হয় আরও দুটি মডেল, ‘আইফোন ৮’ ও ‘আইফোন ৮ প্লাস’। ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে অ্যাপলের স্টিভ জোবস থিয়েটারে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই তিনটি মডেল জনসমক্ষে নিয়ে আসা হল। বিশ্ব বাজারের জন্য ফোনটি রওনা দেবে ৩ নভেম্বর। এবার জেনে নিন কী কী ফিচার্স রয়েছে এই মডেলে-
১. প্রথমেই যেটা বলতে হয়, এই ফোনটিতে রয়েছে বিশেষ স্ক্রিন। স্ক্রিনটিকে বলা হয়েছে ওএলইডি। এই স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ও ফেসিয়াল রিকগনিশন আগের মডেলগুলির এলসিডি স্ক্রিন থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হবে, তা বলাই বাহুল্য।
২. মডেলটির স্ক্রিন ‘এজ টু এজ’ অর্থাৎ ফোনের দুই কোণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
৩. এই ফোনের কোনও ‘হোম বটন’ নেই। ফোনটি ‘আনলক’ করার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষ পদ্ধতি। ব্যবহারকারী যদি ফোনটিকে মুখের সামনে ধরেন, তবে ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহারকারীর মুখের ছবি উঠে যাবে। ছবি মিললে, তারপরই ফোন ‘আনলক’ হবে। নিরাপত্তার দিকে জোর দিয়েই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।
অবশ্য, কিছু ফিচার আগের আইফোনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন হলেও আবার কিছু ফিচার একই রয়ে গেছে বলে ম্যাশেবলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
১. আইফোন এক্স এর শুরুর দাম ৯৯৯ মার্কিন ডলার জানালেও স্টেজে অ্যাপল জানায়নি যে এটি শুধুমাত্র ৬৪ জিবি মডেলের জন্য। আর ২৫৬ জিবি মডেল কিনতে চাইলে দাম পড়বে ১ হাজার ১৪৯ মার্কিন ডলার।
২. অ্যাপলের নতুন তিনটি মডেল আইফোন এক্স, ৮ এবং ৮ প্লাস এ প্রথমবারের মতো ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে আপনি এই ফোন ৩০ মিনিট চার্জে দিয়েই ৫০ শতাংশ চার্জ করতে পারবেন।
৩. নতুন আইফোন এক্স বিল্ট ইন গ্যালিলিও সমর্থন করবে। এটি মার্কিন মিলিটারির তৈরি জিপিএস সিস্টেম।
৪. আইফোন এক্স এর ডিসপ্লে স্যামসাং এর ফ্লাগশিপ নোট ৮ এর মতো অতটা ব্রাইট নয়।
৫. আইফোন এক্স এর সেলফি ক্যামেরা ততটা উন্নত করা হয়নি। আগের ফোনের মতোই রয়েছে ফ্রন্ট ক্যামেরা বৈশিষ্ট্য।
অ্যাপলের দাবি, এই মডেলটি আগামী দিনে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় যুগান্তকারী সৃষ্টি হিসাবে স্বীকৃত হবে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল দশ বছর আগে আইফোনের প্রথম মডেলটির আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে। ‘আইফোন এক্স’-এর উদ্বোধনের সময় অ্যাপেলের চিফ এক্সিকিউটিভ টিমোথি ডি কুকের বার্তা, ‘পরবর্তী দশকের জন্য পথ তৈরি করুন এখনই। ’ তবে এই ‘মহার্ঘ্য’ আইফোন কতটা ব্যবসা করতে পারবে, সে বিষয়ে সন্ধিহান ওয়াকিবহল মহল।

এক নজ‌রে আইফোন এক্স (iPhone X)
ব্র্যান্ডস: অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড
সর্বপ্রথম মুক্তি: ৩ নভেম্বর, ২০১৭;
দেশভিত্তিক প্রাপ্যতা: ৩ নভেম্বর, ২০১৭
ধরন: স্মার্টফোন
অপারেটিং সিস্টেম: আইওএস ১১
প্রদর্শন: সুপার রেটিনা ডিসপ্লে
শব্দ: Stereo speakers
সংযোজকতা: জিএসএম, ইউএমটিএস, এলটিই-অ্যাডভান্সড, ব্লুটুথ ৫.০

No comments:

Post a Comment