নামাজে জোরে ‘আমিন’ বলা যাবে কি?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
হজ ও উমরার দ্বিতীয় পর্বে নামাজের মধ্যে জোরে ‘আমিন’ বলা যাবে কি না, সে সম্পর্কে লক্ষ্মীপুর থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন মাসুম। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আলহামদুলিল্লাহ সূরার পরে তো জোরে ‘আমিন’ বলা হয়। আমাদের এখানে মসজিদে জোরে আমিন বলা, এটা নিয়ে একটা বিবাদ সৃষ্টি হচ্ছে। এটা কি বলা যাবে, হাদিস সম্মত?
উত্তর : আসলে ‘মসজিদের মধ্যে আমিন জোরে বলবেন না’ এটা লিখে দেওয়াটা একটা গোঁড়ামি এবং সীমালঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই না। রাসূল (সা.)-এর অনেক সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে ‘আমিন’ জোরে বলার বিষয়টি। সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হওয়ার পরও এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা সত্যিকার অর্থেই তাঁর মূর্খতার প্রমাণ এবং আল্লাহর নবী (সা.)-এর নির্দেশনার পরিপন্থী কাজ করার কারণে তিনি গুনাহগার হবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেউ ইশতেহাদ করে হয়তো ‘আমিন’ আস্তে বলতে পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। কিন্তু নবী (সা.)-এর হাদিসের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, এই কাজ তাঁর জন্য কোনোভাবেই বৈধ নয়। এটি বড় ধরনের গুনাহর কাজ এবং গর্হিত কাজ। ইশতেহাদের কারণে কোনো ব্যক্তি ‘আমিন’ আস্তেও বলতে পারেন, আবার ওলামায়ে কেরামদের ইশতেহাদ অনুযায়ী জোরেও বলতে পারেন।

আমরা যে চার মাজহাবের কথা বলে থাকি, সেখানে মাজহাবে আস-শাফেয়িতে ‘আমিন’ জোরে বলার কথা বলা হয়েছে। মাজহাবে হাম্বলিতে ‘আমিন’ জোরে বলার কথা বলা হয়েছে এবং মাজহাবে মালেকিতে ‘আমিন’ জোরে বলার কথা বলা হয়েছে। এখানেই তো বোঝা যাচ্ছে, অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হচ্ছে ‘আমিন’ জোরে বলা। মাজহাবের এই ভিত্তিও যদি আপনি গ্রহণ করেন, তাহলে ‘আমিন’ জোরে বলার বিষয়টি আসবে।

No comments:

Post a Comment