বজ্রপা‌তের হাত থে‌কে বাঁচ‌তে করণীয়

গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা অর্থাৎ মেঘের ভেতরে থাকা জলকণা ও বরফ কণার ঘর্ষণের ফলে বজ্রপাতের (Lightning) সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মতে, বজ্রপাত বেশি হওয়ার সময় মূলত মে মাস। ত‌বে এ‌প্রিল, মে ও জুন মা‌সেই বজ্রপা‌তের ভয়াবহতা বে‌শি লক্ষনীয়। খোলা মাঠে যারা থাকেন তারাই এতে বেশি আক্রান্ত হন। তাই বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে না থাকার পাশাপাশি মোবাইল ফোন ও ধাতব বস্তু কাছে না রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। কারণ বজ্রপাত বন্ধ করা যাবে না। তাই কেবল সচেতন হলেই ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়ার কথা বলছেন তারা।

বজ্রপাত বা ঠাডায় নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে, বজ্রপাতে দেশে প্রতিবছর ৩০০ থেকে ৩৫০ মানুষের মৃত্যু হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়সহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ৫ বছরে দেশে বজ্রপাতে নিহতের
সংখ্যা ১ হাজার ২৪৯। ওই হিসেবে বছরে গড়ে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে ২৪৯ জন মানুষ। এছাড়া প্রতিবছর গড়ে বজ্রপাত হয় ১ হাজার ১৫৪ বার।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট সেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ অতিমাত্রায় বজ্রপাতপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে এবং আগামীতে তা আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই গবেষণায়।
গবেষণার ওই বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা যায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্যোগ ফোরাম প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭৯, ২০১২ সালে ৩০১, ২০১৩ সালে ২৮৫, ২০১৪ সালে ২১০ ও ২০১৫ সা‌লে ২৭৪। আর চলতি বছরে এপ্রিলের মধ্যেই অন্তত ৫০ ব্যক্তির মৃত্যুর কথা বলছে সংস্থাটি।
এছাড়া শুধু আজ‌কেই (১২-০৫-২০১৬) নিহত হয় ৩৮ জন মানুষ।

দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, বড় গাছের অভাব বজ্রপাতে মৃত্যুর একটা কারণ হতে পারে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ঘরবাড়ি বেশি হলেও সেখানে বজ্রনিরোধক থাকায় বজ্রপাতের ঘটনা কম। কিন্তু গ্রামের এই নিরোধক হিসেবে কাজ করতো যে বড় গাছ, তার সংখ্যা গেছে কমে। তাতেই বাড়ছে প্রাণহানি।

বাংলাদেশে বজ্রপাতের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি ঘটে ২০১২ সালে। ওই বছরের ১০ আগস্ট সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সরস্বতীপুর গ্রামের মসজিদে বজ্রপাতে ইমামসহ ১৩ জন মুসল্লির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
আর সারাবিশ্বে বজ্রপাতের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি ঘটে ১৭৬৯ সালে। ইতালির একটি চার্চে বজ্রপাতে গান পাউডার বিস্ফোরিত হয়। এতে তিন হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বজ্রপাত পুরোপুরি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ দুর্যোগ প্রতিহতের উপায় নেই। তবে রয়েছে রক্ষা পাওয়ার কৌশল।

সে বিষয়েই কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। মাটি বা ছনের ঘরকে বজ্রপাত থেকে রক্ষা করতে ঘরের উপর দিয়ে একটি রড টেনে তার সঙ্গে দুই দিকে দুটি রড খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বজ্রপাতের বিদ্যুৎ ঘরকে আক্রান্ত না করে রডের ভেতর দিয়ে মাটিতে চলে যাবে।

ইটের তৈরি অট্টালিকাকেও নিরাপদ করা যায়। তবে এখানে কিছুটা ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। এতে ভবন ও ভেতরে থাকা ইলেট্রনিক পণ্য নিরাপদ করা সম্ভব। এখানে ভবনের উপরে লৌহদণ্ড বসিয়ে দিয়ে পাশ দিয়ে মাটির সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

অনেক ভবনের উপরে লৌহদণ্ড বসানো হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এর সঙ্গে একটি তার দেয়া‌লের ভিতর দিয়ে মাটির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়, যা উচিত নয়। সাধারণ বিদ্যুৎ কোনো পরিবাহীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু বেঞ্জমিন ফ্রাঙ্কলিংয়ের তত্ত্বমতে, বজ্রপাত কেন্দ্রস্থল দিয়ে প্রবাহিত না হয়ে ত্বক দিয়ে পরিবাহিত হয়। তাই দেয়ালের ভেতর দিয়ে বজ্রপাত নিরোধক স্থাপন খুব কার্যকর হয় না।

যারা মনে করেন ভবনের ভেতরে অবস্থান করলে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকা যায় তাদের ধারণাও ভূল বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, প্রত্যেকটি ভবনের ছাদে পানির ট্যাংক বসানো থাকে। এই ট্যাংকের ওপর বজ্রপাত হলে সে সময় কেউ কলে পরিবাহিত পানি ব্যবহার করতে থাকলে তার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ বজ্রপাতের বিদ্যুৎ পানির মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। ভবনের গা বেয়ে যদি বজ্রপাত চলে যায় সেক্ষেত্রে গ্রিলের সংস্পর্শে কেউ থাকলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া ডিসের ক্যাবলসহ অন্যান্য ক্যাবলের মাধ্যমেও ঘরের ভেতরে থাকা যে কেউ এর শিকার হতে পারেন।

তবে ঘরে নয়, ঘরের বাইরে খোলা মাঠেই বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে। বজ্রপাতের সময় কেউ খোলা মাঠে থাকলে কোনো গাছের নিচে আশ্রয় না নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বজ্রাহত না হলেও উচ্চশব্দে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। তাই সম্ভব হলে কানে হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাতে ধাতব বস্তু থাকলে (আংটি, চাবি, কাস্তে, কোদাল, মোবাইল) তা অন্তত ৬০ ফুট দূরে ছুঁড়ে দিতে পারলে ঝুকি কমে যায়।

বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ নাদিরুজ্জামান বলেন, বজ্রপাত আশপাশের ধাতব পদার্থকে আকর্ষণ করে। সে কারণে হাতে কাস্তে-কোদাল থাকলে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এগুলো সরিয়ে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। কেননা তাপমাত্রার ওঠানামার সঙ্গেও রয়েছে বজ্রপাতের ঝুঁকির সম্পর্ক। তিনি বলেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেলে বজ্রপাতের ঝূকি ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে প্রতি এক দশকে ০.২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ছে।
বজ্রপাতে হতাহতের সবচেয়ে বড় কারণ সচেতনতার অভাব এমন মন্তব্য করে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, একমাত্র সচেতনতাই পারে সুরক্ষা দিতে।

বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎ চমকায়। মেঘে মেঘে ঘর্ষণেও বিদ্যুৎ চমকাতে পারে। সমগ্র পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ড ৪০-৫০ বার বিদ্যুৎ চমকায়। অর্থাৎ বছরে বিশ্ব পরিসরে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটিবার বিদ্যুৎ চমকায়।
বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাত বেশি হয়। বজ্রপাতের কারণে এ সময় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। একটু সচেতন হলেই এমন দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। 

বজ্রপা‌তের হাত থে‌কে রেহাই পে‌তে চাইলে যেসব উপায় অলম্বন করা যেতে পারে: 

খোলা স্থা‌নে না থাকা
বজ্রপাতের সময় খোলা স্থানে কখনোই দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে প্রথম কাজ হবে খোলা মাঠে না থেকে ঘরের ভেতরে থাকা। কারণ, মেঘের বিদ্যুৎ মাটির কাছাকাছি উঁচু জায়গাতেই আঘাত হানে। খোলা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে থাকলে মাথায় বাজ পড়ার আশঙ্কা বেশি। 

গা‌ছের নি‌চে অাশ্রয় না নেয়া
বজ্রপা‌তে কোনো গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া বোকামি, কারণ বাজ তো সেই গাছেই পড়তে পারে, তাহলে গাছের সঙ্গে আমিও পুড়ে ছাই হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। 

গাড়ির ভেতর থাকলে...
বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না। এছাড়াও ঝড়–বৃষ্টির সময় খোলা প্রান্তরের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া কোনো রাস্তায় বাস বা গাড়িতে থাকলে, নেমে কাছের কোনো বাসায় আশ্রয় নিলে ভয় থাকে না।

নৌকা থে‌কে দ্রুত স‌রে পড়‌তে হ‌বে
নদীতে নৌকায় থাকলে বাজ পড়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নৌকা পাড়ে ভিড়িয়ে কাছের ঘরবাড়িতে আশ্রয় নেওয়া উচিত।

বড় বড় গাছ লাগা‌তে হ‌বে
গ্রামে বাড়ির চারপাশে বড় বড় গাছপালা যেমন, নারকেলগাছ লাগানো দরকার। বাজ পড়লে ওই গাছেই পড়বে। ঘর ও মানুষ দুই বাঁচবে।

বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে সাবধান
বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ  বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।

বাজ নি‌রোধক ব্যবস্থা গ‌ড়ে তোলা
শহরে উঁচু দালানে বাজ নিরোধক আর্থিং–ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। বাড়ির ছাদে উঁচু করে রাখা চোখা ধাতবদণ্ড থাকে। ওই শলাকার সঙ্গে যুক্ত তামার তার দেয়ালের ভেতরে লুকোনো পাইপের মধ্য দিয়ে মাটির অন্তত ১০-১২ ফুট গভীরে বিশেষ ব্যবস্থায় স্থাপন করা হয়। মাটিতে বিদ্যুৎ ভোল্টশূন্য। তাই আকাশে মেঘের উঁচু বিদ্যুৎ চার্জ দ্রুত ছাদের চোখা ধাতবদণ্ডের সঙ্গে মিলিত হয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ভবনের কোনো ক্ষতি হয় না। 

জানালা থেকে দূরে থাকুন
বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন।

কা‌ঠের হাতলওয়ালা ছাতার ব্যবহার
বজ্রপাতের দিনগুলোতে বাই‌রে যাওয়ার খুব প্র‌য়োজন হ‌লে কাঠের হাতলওয়ালা ছাতা ব্যবহার করা উত্তম। 

খোলা ও উঁচু জায়গা থেকে দূ‌রে থাকুন
এমন কোনো স্থানে যাবেন না, যে স্থানে আপনিই উঁচু। বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা বড় মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি নিচু হয়ে যান। বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু কোনো স্থানে থাকলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে যান।

উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকুন
কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।

ধাতব বস্তু স্পর্শ করবেন না
বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলো স্পর্শ করেও বহু মানুষ আহত হয়।

পানি থেকে সরুন
বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী।

পরস্পর দূরে থাকুন
কয়েকজন মিলে খোলা কোনো স্থানে থাকাকালীন যদি বজ্রপাত শুরু হয় তাহলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।

নিচু হয়ে বসুন
যদি বজ্রপাত হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ রাখুন। কিন্তু মাটিয়ে শুয়ে পড়বেন না। মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

বজ্রপাতের আগ মুহূর্তের কিছু লক্ষণ
আপনার উপরে বা আশপাশে বজ্রপাত হওয়ার আগের মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। এ সময় আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতে পারে। অনেকেই এ পরিস্থিতিতে ‘ক্রি ক্রি’ শব্দ পাওয়ার কথা জানান। আপনি যদি এমন পরিস্থিতি অনুভব করতে পারেন তাহলে দ্রুত বজ্রপাত হওয়ার প্রস্তুতি নিন।

বজ্রপাতে আহত হলে
বজ্রপাতের সময় আশপাশের মানুষের খবর রাখুন। কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ সময় বজ্রাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখুন।

No comments:

Post a Comment