আগামী জুলাই মাস থেকে মোবাইল ফোনের কল ড্রপে ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহক। কথা বলার সময় প্রথম মিনিটে কল ড্রপ হলে কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না গ্রাহক। এর পরের প্রতি মিনিট কল ড্রপের জন্য এক মিনিট করে বিনা মূল্যে পাবেন গ্রাহক।
রোববার সচিবালয়ে মুঠোফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ছয় মুঠোফোন অপারেটদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় গ্রাহক কল ড্রপের শিকার হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় বিটিআরসিকে। সে অনুযায়ী, গত ১৯ জানুয়ারি কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক মিনিট কল ফেরত দেয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিটিআরসির নির্ধারিত মান অনুযায়ী, মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর কল ড্রপের হার ৩ শতাংশের কম হলে তা হবে মানসম্পন্ন সেবা। আর আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, কল ড্রপ ২ শতাংশের মধ্যে থাকলে তা গ্রহণযোগ্য। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ হার ২ শতাংশ।
মুঠোফোন অপারেটররা ২০১৪ সালে গ্রাহকদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে কল ড্রপ ক্ষতিপূরণ সুবিধা চালু করে। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম কল ড্রপ সুবিধা দেয়া শুরু করে বাংলালিংক। আর গ্রামীণফোন একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে গ্রাহকদের এ সুবিধা দেয়া শুরু করে। তবে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এ সুবিধা বন্ধ করে দেয় অপারেটররা।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কথা বলার ক্ষেত্রে প্রথম মিনিটে কল ড্রপ হলে কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না গ্রাহক। এর পরের প্রতি মিনিট কল ড্রপের জন্য এক মিনিট করে বিনা মূল্যে পাবেন গ্রাহক।
২০১৪ সালের পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে দেশের মোবাইল অপারেটররা এক দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ সেকেন্ড বা ৫ মিনিট ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল।
No comments:
Post a Comment