এনটিভি: মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেকের মূল রুইলুইপাড়া থেকে ১৫-২০ মিনিটের হাঁটাপথে কংলাক চূড়া, সাজেকের সবচেয়ে উঁচু গ্রাম কংলাকপাড়া। পাড়া থেকে পাখির চোখের মতো দেখা যাবে পুরোটা মেঘের রাজ্য। বিশাল পাথরখণ্ডের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এই পাড়ায় আদিবাসী লুসাইদের বসবাস। বৃষ্টির পর সাজেকের অন্যরূপ দেখা যায় এই পাড়া থেকে- সাদা মেঘে ডেকে যাওয়া-রুইলুইপাড়া, পাইলিংপাড়া আর সাজেক ভ্যালির পাহাড় চূড়া। বর্ষায় মেঘের দল আপনাকেও ভিজিয়ে দেবে পাহাড়ের চূড়ায়। পাহাড়ের আকাশে মেঘের পেখম থেকে অঝোর ধারায় নামে বৃষ্টির স্রোতধারা। বৃষ্টির পর মিষ্টি রোদের আলোয় নৈসর্গিক সাজেকে ডানা মেলে - রংধনুর সাত রং
!
পাহাড় দেখার শ্রেষ্ঠ সময় বর্ষাকাল -শরৎকাল। কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে আর এমন সময়ে সবুজ পাহাড়ে ডানা মেলেছে মেঘের দল। কচকচে সবুজের বেষ্টনীতে কেবলই চোখে পড়ে বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা। সাজেক ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় তো এখনই, ভূপৃষ্ঠ থেকে থেকে প্রায় এক হাজার ৭০০ ফুট ওপরে হওয়ায় বর্ষায় সারাক্ষণ সাজেক ভ্যালিতে চলে মেঘের নাচন। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর এরূপ হয় আরো নৈসর্গিক- সাদা মেঘের কুণ্ডলী বেয়ে ওঠে বিস্তৃত গভীর উপত্যকা থেকে, সাদা মেঘে ঢেকে যায় পুরোটা ভ্যালি, এই যেন মেঘের উপত্যকা।
দিনের প্রথম পর্বে খাগড়াছড়িতে থেকে রওনা হয়ে প্রথমে যেতে হয় দীঘিনালার পথে, পথের দুপাশে রাবার বাগান, সাজানো সবুজ মিশ্র ফলের বাগান, পাহাড়ের বুকে বসবাস করা আদিবাসীদের বসতি, আঁকাবাঁকা পথের বাঁক পেরোতে পেরোতে আপনাকে স্বাগত জানাবে পাহাড়ি বৃষ্টি।
যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে রাস্তার পাশের দীঘিনালা বন বিহারে একটু ঘুরে দেখতে পারেন। দীঘিনালার পথ পাড়ি দিয়ে কিছুটা সামনে গেলেই বাঘাইহাট বাজার, মূলত এখান থেকেই রাঙামাটির সীমানা শুরু। ছোটখাটো ছিমছাম পাহাড়ি বাজার, প্রয়োজনীয় খাবার এখান থেকে কিনে নিতে পারবেন, সময় থাকলে বাজারের আশপাশটা ঘুরে দেখবেন। বাঘাইহাট বাজার ছেড়ে যেতেই বড় বড় সব পাহাড়ি রাস্তা, চাঁদের গাড়ির ছাদে বসে মনে হবে এই যেন রোলার কোস্টার। এক পাহাড় থেকে নেমে তীব্র গতিতে উঠতে হয় আরেকটি পাহাড়ে। দুই পাশে তাকালে চোখে পড়বে কেবল সবুজ আর সবুজ। বৃষ্টিতে ন্যাড়া পাহাড়টাতেও সবুজের সমারোহ। কাছে বা দিগন্তের পাহাড়গুলো, অঝোর ধারার বৃষ্টির সৌন্দর্যরূপ গাড়ির ছাদে বসেই উপভোগ করা যায়। ঘন বৃষ্টিতে পাহাড়ে খুব বেশি দূর দেখা যায় না।
বাঘাইহাট থেকে ছোট-বড় পাহাড় ডিঙিয়ে বৃষ্টি আর মেঘমল্লার সঙ্গে পৌঁছাবেন মাচালং বাজারে। বাজারের পরেই শুরু হয় সাজেকের মূল পথ। অসংখ্য পাহাড়ের বন্ধনে সবুজে ঢাকা অপরূপ সাজেকের রাস্তা! বৃষ্টিতে সবুজে এই পথ আরো বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কালো মেঘ বারবার হাতছানি দেয় বৃষ্টির। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে প্রায়ই, দারুণ বৃষ্টিমুখরে আপনি খুঁজে পাবেন সাজেকের প্রকৃত সৌন্দর্যরূপ। সবুজ পাহাড়ের চূড়া ঘিরে তৈরি সাদা মেঘের আবরণ। সাজেকের দিগন্ত বিস্তৃত উপত্যকা মিশে গেছে মিজোরামের নীল পাহাড়ে (ব্লু ম্যাউনন্টেন)। বর্ষায় সাদা তুলার মতো ছোট ছোট মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায় পাহাড়ের বুকে। উপত্যকার সম্মুখে দাঁড়িয়ে মনে হবে এই কি অপার্থিব সৌন্দর্য!
কীভাবে যাবেন
সাজেকের অবস্থান রাঙামাটিতে হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি শহর হয়ে। ঢাকা থেকে নন-এসি বা এসি বাসে সরাসরি খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়। প্রতিদিন শান্তি পরিবহন, শ্যামলী, এস আলম, সেন্ট মার্টিন পরিবহনসহ বিভিন্ন বাস খাগড়াছড়িতে যাতায়াত করে। তা ছাড়া রাঙামাটি থেকে লঞ্চে করে লংগদু বা বাঘাইছড়ি হয়ে সাজেক পৌঁছানো যায়।
সাজেকের অবস্থান রাঙামাটিতে হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি শহর হয়ে। ঢাকা থেকে নন-এসি বা এসি বাসে সরাসরি খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়। প্রতিদিন শান্তি পরিবহন, শ্যামলী, এস আলম, সেন্ট মার্টিন পরিবহনসহ বিভিন্ন বাস খাগড়াছড়িতে যাতায়াত করে। তা ছাড়া রাঙামাটি থেকে লঞ্চে করে লংগদু বা বাঘাইছড়ি হয়ে সাজেক পৌঁছানো যায়।
প্রয়োজনীয় তথ্য
সাজেক খাগড়াছড়ি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে। সাজাকে রাতযাপনের সুযোগ সীমিত, তাই সাজেক ভ্রমণের আগে অবশ্যই সাজেকে রুম বুকিং এবং যাতায়াতের চান্দের গাড়ি নিশ্চিত করতে হবে। সাজেকের বাঘাইহাট থেকে সকাল ১০টা ৩০ এবং বিকেল ৩টায় আর্মি স্কর্টে সাজেকে পর্যটক আসা-যাওয়া করে। তার আগে-পরে আর্মি স্কর্ট ছাড়া কোনো পর্যটক আসা-যাওয়া করতে পারে না। তা ছাড়া সাজেকের পাহাড়ি রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে স্থানীয় চান্দের গাড়ি (জিপ) বা পিকআপে যাতায়াত করা শ্রেয়।
সাজেক খাগড়াছড়ি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে। সাজাকে রাতযাপনের সুযোগ সীমিত, তাই সাজেক ভ্রমণের আগে অবশ্যই সাজেকে রুম বুকিং এবং যাতায়াতের চান্দের গাড়ি নিশ্চিত করতে হবে। সাজেকের বাঘাইহাট থেকে সকাল ১০টা ৩০ এবং বিকেল ৩টায় আর্মি স্কর্টে সাজেকে পর্যটক আসা-যাওয়া করে। তার আগে-পরে আর্মি স্কর্ট ছাড়া কোনো পর্যটক আসা-যাওয়া করতে পারে না। তা ছাড়া সাজেকের পাহাড়ি রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে স্থানীয় চান্দের গাড়ি (জিপ) বা পিকআপে যাতায়াত করা শ্রেয়।
^
^
#সাজেক-ভ্যালী #ভ্রমন @সুন্দর স্থান #দর্শণীয়-স্থান #bangladesh-tour । ঘুরে আসুন পাহাড় ঘেরা সাজেক #পর্যটন-কেন্দ্র
^
#সাজেক-ভ্যালী #ভ্রমন @সুন্দর স্থান #দর্শণীয়-স্থান #bangladesh-tour । ঘুরে আসুন পাহাড় ঘেরা সাজেক #পর্যটন-কেন্দ্র
No comments:
Post a Comment