হার্ট অ্যাটাক কখন হবে তা হলফ করে বলা মুশকিল। তবে কিছু লক্ষণ আছে যা হার্ট অ্যাটাকের অনেক পূর্বেই প্রকাশ পেতে পারে। এক মাস আগে থেকেই কিভাবে বুঝবেন যে, হার্ট অ্যাটাক হবে?
অনেকেই মনে করেন যে হার্ট অ্যাটাক কেবল পুরুষদের রোগ, এটা একান্তই ভুল ধারণা। কারণ নারী ও পুরুষ উভয়েই এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নারী ও পুরুষে ভিন্ন ভিন্ন। নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় এক মাস আগে থেকেই দেখা যেতে শুরু করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যদি এই লক্ষণগুলো আপনার মাঝে দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ এই লক্ষণগুলো জানিয়ে দেয় যে আগামী ৩০ দিনের মাঝেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে
রয়েছেন আপনি!অনেকেই মনে করেন যে হার্ট অ্যাটাক কেবল পুরুষদের রোগ, এটা একান্তই ভুল ধারণা। কারণ নারী ও পুরুষ উভয়েই এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নারী ও পুরুষে ভিন্ন ভিন্ন। নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় এক মাস আগে থেকেই দেখা যেতে শুরু করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যদি এই লক্ষণগুলো আপনার মাঝে দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ এই লক্ষণগুলো জানিয়ে দেয় যে আগামী ৩০ দিনের মাঝেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে
১) নিঃশ্বাসে কষ্ট হওয়া হার্ট অ্যাটাকের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। যদি আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, দম আটকে আসা ভাব হয় প্রায়ই তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। Respiratory ও cardiovascular system পরস্পরের ওপরে নির্ভরশীল। যদি হার্ট কম রক্ত পায়, তাহলে ফুসফুসও কম অক্সিজেন পায়। ফলাফল হচ্ছে নিঃশ্বাস আটকে আসা, ভারী নিঃশ্বাস বা নিঃশ্বাসে কষ্ট হওয়া।
২) দেহের মাসল বা পেশীগুলোকে দুর্বল মনে হওয়া, পরিশ্রমের কাজ করতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনার দ্বিতীয় লক্ষণ। শরীরে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া মানে সম্পূর্ণ দেহেই অক্সিজেনের ঘাটতি। ফলে দেহের পেশীগুলো ঠিক মত কাজ করে না ও দুর্বলতা অনুভূত হয়।
৩) ঝিমুনি হওয়া এবং ঠাণ্ডা ঘাম হওয়া, অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়াই ঘামতে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ। যদি পরিশ্রমের কাজ না করেও ঘামতে থাকেন বা সময়ে-সময়ে ঝিমুনি আসতে থাকে, তাহলে মোটেও অবহেলা করবেন না। ঘুমের মাঝে নিঃশ্বাসের কষ্ট হওয়া, ঘুম ভেঙে জেগে দেখলে যে ঘেমে গিয়েছেন আপনি- ইত্যাদি ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিন।
৪) চতুর্থ লক্ষণটি হচ্ছে বুকে চাপ অনুভূত হওয়া। coronary artery সরু হয়ে যাওয়ার কারণে বুকে চাপ অনুভূত হওয়া বা চাপা ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথাকে “গ্যাসের ব্যথা” (যেটা বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন) মনে করে এড়িয়ে যাবেন না। অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শরীরটি নিজের, তাই যত্ন নিতে হবে নিজেকেই। শরীরে রোগ দেখা দেওয়ার পূর্বেই যে কোন অসুখ-বিসুখের লক্ষণ অগ্রিম জানান দেয়। এই লক্ষণগুলো বুঝে নিতে পারলে নিজেকে ঝুঁকি মুক্ত রাখা যায় অনেকটাই।
No comments:
Post a Comment