অল্প বয়স থেকে অনেকেরই ধনী হওয়ার আশা থাকে। কিন্তু সঠিক উপায় জানা না থাকায় ধনী হওয়ার সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে না তারা। এক্ষেত্রে একটি সহজ উপায় হলো ক্রমাগত অর্থ সঞ্চয় করা। এতে উপার্জন যাই থাকুক না কেন, এক পর্যায়ে ধনী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
টাকা-পয়সা সঞ্চয় করা অনেকের কাছেই কঠিন বিষয়। অল্প বয়সে তরুণেরা এ কাজটি সাধারণত করতে পারে না। আর এ কারণে তারা অবসরের সময় ধনী হওয়ার সুযোগটি হারায়।
অল্পবয়স থেকে সঞ্চয় শুরু করলে তা যে কোনো মানুষকেই অবসরের সময় ধনী করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে সঞ্চয়ের অভ্যাসটি গড়ে তোলাই সবচেয়ে
বড় বিষয়।অল্পবয়স থেকে সঞ্চয় শুরু করলে তা যে কোনো মানুষকেই অবসরের সময় ধনী করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে সঞ্চয়ের অভ্যাসটি গড়ে তোলাই সবচেয়ে
একজন যদি তার উপার্জন শুরুর সময়েই প্রতি সপ্তাহে কিংবা মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করতে পারে তাহলে তা এক পর্যায়ে বড় অংকের টাকায় রূপান্তরিত হবে। এ বিষয়টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি কত তাড়াতাড়ি এ সঞ্চয় শুরু করলেন। এক্ষেত্রে দেরি করার অর্থ হলো আপনি ধনী হওয়ার সুযোগটি হারালেন।
এ বিষেয়ে একজন ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানার ফার্নুস টোরাবি বলেন, ‘মানুষ প্রায়ই বিভ্রান্ত হয়ে যায় যখন তারা চিন্তা করে প্রতিদিন তার কত টাকা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, কত টাকা আপনি সঞ্চয় করছেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আপনি তরুণ থাকতে কত তাড়াতাড়ি টাকা সঞ্চয় শুরু করলেন এবং তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন।’
তিনি পরামর্শ দেন, অল্প করে হলেও অর্থ সঞ্চয় করে রাখার। আর এ অর্থ থেকেই আপনি এক পর্যায়ে বিপুল অর্থ পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি প্রতিদিন ১০ টাকা করেও সঞ্চয় করেন তাহলে ৩২ বছর পরে তা বড় অংকের টাকায় রূপান্তরিত হবে। এ অর্থ দিয়ে আপনি পরবর্তীতে নিজের অবসরের ব্যয় নির্বাহ করতে পারবেন। এছাড়া আরেকটি বিষয় হলো, যখন আপনার হাতে অর্থ রয়েছে তখন তা খরচ না করে কিছুটা বাড়তি সঞ্চয় করা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি নিজের উপার্জন কমে যাওয়ার সময়টিতে সংকট মেটাতে পারবেন।
অর্থ সঞ্চয়ের এ উপায়টি আপনার নিজের হাতে না রেখে স্বয়ংক্রিয় করে নেওয়া যেতে পারে। এজন্য আপনার হাতে টাকা আসার আগেই ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তা নির্দিষ্ট সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
No comments:
Post a Comment