অ্যাপেনডিসাইটিস একটি জটিল সমস্যা। সমস্যা বেড়ে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫০৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. সরদান এন নাঈম। বর্তমানে তিনি জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : অ্যাপেনডিসের কী ধরনের সমস্যা রোগীরা আপনাদের কাছে নিয়ে আসে?
উত্তর : আসলে অ্যাপেনডিসাইটিস খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। আমরা জানি যে বাচ্চা থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সেই পেটের ডান দিকে, যখন নিচে পেটে খুব ব্যথা হয়, বমি হয়, জ্বর হয়, তখনই অ্যাপেনডিসাইটিস বলে আমরা ধারণা করি। সাধারণ মানুষের জন্য অ্যাপেনডিস খুব একটি পরিচিত রোগ। অ্যাপেনডিস ছোট্ট একটি কৃমির মতো অঙ্গ, যেটা কলোনের শুরুতে, অর্থাৎ ডান দিকের নিচের দিকে, বৃহদান্ত্রের শুরু যেদিকে, ক্ষুদ্রান্ত্রের যেখানে শেষ, সেখানে একটি ছোট্ট টিউবের মতো, কৃমির মতো একটি অংশ। একে অ্যাপেনডিকস বলি আমরা। এই অ্যাপেনডিসের মধ্যে জটিল সংক্রমণ হতে পারে। এর মধ্যে মাইল্ড সংক্রমণ অনেক সময় হয়, কিন্তু আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র বৃহদান্ত্রের সঙ্গে লাগানো আছে। এর একটি চ্যানেলেও আছে। এর মধ্যে ফিটাল মেটাল পাথরের মতো ঢুকে গেলে বাধা হয়। সঞ্চালন নষ্ট হয়ে গেলে গ্যাংরিন হয়ে যেতে পারে। গ্যাংরিন হয়ে কখনো কখনো অ্যাপেনডিস রাপচার ফেটে যায়। অ্যাপেনডিস এ রকম করলে ফিটাল মেটালগুলো কিন্তু শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। জটিল অ্যাপেনডিস মৃত্যুরও কারণ হয়।
এখন অ্যাপেনডিস হলে দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক এবং চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায়। তাই বলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণ হয়ে আসে। সংক্রমণ ছাড়া অ্যাপেনডিসে যেটা হতে পারে, কোনো কোনো সময় টিউমার হতে পারে, ক্যানসার টিউমারও হতে পারে। বাজে রকম ক্যানসার হয়ে সেটা সারা শরীরে ছড়িয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
উত্তর : আসলে অ্যাপেনডিসাইটিস খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। আমরা জানি যে বাচ্চা থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সেই পেটের ডান দিকে, যখন নিচে পেটে খুব ব্যথা হয়, বমি হয়, জ্বর হয়, তখনই অ্যাপেনডিসাইটিস বলে আমরা ধারণা করি। সাধারণ মানুষের জন্য অ্যাপেনডিস খুব একটি পরিচিত রোগ। অ্যাপেনডিস ছোট্ট একটি কৃমির মতো অঙ্গ, যেটা কলোনের শুরুতে, অর্থাৎ ডান দিকের নিচের দিকে, বৃহদান্ত্রের শুরু যেদিকে, ক্ষুদ্রান্ত্রের যেখানে শেষ, সেখানে একটি ছোট্ট টিউবের মতো, কৃমির মতো একটি অংশ। একে অ্যাপেনডিকস বলি আমরা। এই অ্যাপেনডিসের মধ্যে জটিল সংক্রমণ হতে পারে। এর মধ্যে মাইল্ড সংক্রমণ অনেক সময় হয়, কিন্তু আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র বৃহদান্ত্রের সঙ্গে লাগানো আছে। এর একটি চ্যানেলেও আছে। এর মধ্যে ফিটাল মেটাল পাথরের মতো ঢুকে গেলে বাধা হয়। সঞ্চালন নষ্ট হয়ে গেলে গ্যাংরিন হয়ে যেতে পারে। গ্যাংরিন হয়ে কখনো কখনো অ্যাপেনডিস রাপচার ফেটে যায়। অ্যাপেনডিস এ রকম করলে ফিটাল মেটালগুলো কিন্তু শরীরের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। জটিল অ্যাপেনডিস মৃত্যুরও কারণ হয়।
এখন অ্যাপেনডিস হলে দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক এবং চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায়। তাই বলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণ হয়ে আসে। সংক্রমণ ছাড়া অ্যাপেনডিসে যেটা হতে পারে, কোনো কোনো সময় টিউমার হতে পারে, ক্যানসার টিউমারও হতে পারে। বাজে রকম ক্যানসার হয়ে সেটা সারা শরীরে ছড়িয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
প্রশ্ন : লক্ষণগুলো কী?
উত্তর : জটিল সংক্রমণ হলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এমনই ব্যথা হয় যে রোগী সেখানে স্পর্শ করতে দেয় না। তলপেটের ডান দিকে এই ব্যথা হবে। ব্যথার শুরু হয় মাঝামাঝিতে, নাভির চারদিকে। তখন আস্তে আস্তে ব্যথা গিয়ে ডানে ঠিক হয়। এই সময়টায় রোগীর বমি হয়। বমির সঙ্গে জ্বর আসে। তখনই আমরা ধরে নিই যে এটা অ্যাপেনডিস। রোগী যদি একটু সময় বেশি নিয়ে নেয়, রোগী যদি একটু বুঝতে না পারে, তখন লাম্প হয়ে যায়। লাম্প হয়ে গেলে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় জটিল অ্যাপেনডিস হলে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারে না। সোজা হয়ে দাঁড়ালে বা শুলেও ওখানে ব্যথা করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অ্যাপেনডিকসটি বেশি দেখি।
উত্তর : জটিল সংক্রমণ হলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এমনই ব্যথা হয় যে রোগী সেখানে স্পর্শ করতে দেয় না। তলপেটের ডান দিকে এই ব্যথা হবে। ব্যথার শুরু হয় মাঝামাঝিতে, নাভির চারদিকে। তখন আস্তে আস্তে ব্যথা গিয়ে ডানে ঠিক হয়। এই সময়টায় রোগীর বমি হয়। বমির সঙ্গে জ্বর আসে। তখনই আমরা ধরে নিই যে এটা অ্যাপেনডিস। রোগী যদি একটু সময় বেশি নিয়ে নেয়, রোগী যদি একটু বুঝতে না পারে, তখন লাম্প হয়ে যায়। লাম্প হয়ে গেলে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় জটিল অ্যাপেনডিস হলে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারে না। সোজা হয়ে দাঁড়ালে বা শুলেও ওখানে ব্যথা করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অ্যাপেনডিকসটি বেশি দেখি।
প্রশ্ন : কোন বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে?
উত্তর : মূলত ১০ থেকে ২৫। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো কম বয়সও পাই। আবার বেশি বয়সেও পাওয়া যায়। তবে যারা তরুণ, তাদের মধ্যে অ্যাপেনডিসের সমস্যাটা বেশি।
উত্তর : মূলত ১০ থেকে ২৫। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো কম বয়সও পাই। আবার বেশি বয়সেও পাওয়া যায়। তবে যারা তরুণ, তাদের মধ্যে অ্যাপেনডিসের সমস্যাটা বেশি।
প্রশ্ন : অ্যাপেনডিস নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলাদা কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে কী?
উত্তর : অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে। ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ আমরা ক্লিনিক্যালি রোগ নির্ণয় করি। তার পর যেটা করি, আমরা রক্তগণনা করি। সংক্রমণের কারণে রক্তের শ্বেত কণিকা বেড়ে যায়। নিউট্রফিল বেড়ে যায়। তার পরও আমরা তলপেটের একটি এক্স-রে করি। এক্স-রে করি, কারণ অ্যাপেনডিসের সঙ্গে খুব প্রচলিত একটি জিনিস ভুল করি। ধরেন কিডনি থেকে যে মূত্রনালি বের হয়ে আসে, এখানে যদি পাথর হওয়ার সমস্যা থাকে, ডান দিকে, এটি অ্যাপেনডিসের মতো ব্যথা করতে পারে। অনেক সময় আমরা প্রস্রাবের পরীক্ষা করে দেখি, সেগুলো করে আমরা বের করি।
© এনটিভি
উত্তর : অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে। ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ আমরা ক্লিনিক্যালি রোগ নির্ণয় করি। তার পর যেটা করি, আমরা রক্তগণনা করি। সংক্রমণের কারণে রক্তের শ্বেত কণিকা বেড়ে যায়। নিউট্রফিল বেড়ে যায়। তার পরও আমরা তলপেটের একটি এক্স-রে করি। এক্স-রে করি, কারণ অ্যাপেনডিসের সঙ্গে খুব প্রচলিত একটি জিনিস ভুল করি। ধরেন কিডনি থেকে যে মূত্রনালি বের হয়ে আসে, এখানে যদি পাথর হওয়ার সমস্যা থাকে, ডান দিকে, এটি অ্যাপেনডিসের মতো ব্যথা করতে পারে। অনেক সময় আমরা প্রস্রাবের পরীক্ষা করে দেখি, সেগুলো করে আমরা বের করি।
© এনটিভি
No comments:
Post a Comment