বাংলা‌লিংক ৫জি‌বি ইন্টার‌নেট একদম ফ্রি

বাংলা‌লিংক স্টার্ট-আপ অফার- সেপ্টেম্বর ২০১৬

আপনার জন্য আছে দারুণ সুখবর । এখনই নতুন বাংলালিংক সংযোগে রিচার্জ করুন ২৯ টাকা আর পেয়ে যান ৫ জিবি ইন্টারনেট একদম ফ্রি, অসাধারণ কল-রেট আর আরো অনেক এক্সক্লুসিভ সার্ভিস।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কী?

কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি। অন্যদিকে পাকিস্তান এটাকে পুরোপুরি বিভ্রম বলে মন্তব্য করেছে। এ স্ট্রাইকে দু’পক্ষেই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেনা পরিভাষায় এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ মানে কী?
এককথায় বললে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হচ্ছে একেবারে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে

বিপিএলে কে কোন দ‌লে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসর মাঠে গড়াচ্ছে ৪ নভেম্বর। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এক হোটেলে হয়ে গেল প্লেয়ার ড্রাফট। ১৪৬ দেশি খেলোয়াড় এবং ১৬৮ জন বিদেশি খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে দলগুলো বেছে নিয়েছে তাদের পছন্দের খেলোয়াড়দের।
অবশ্য আগেই বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দলভুক্ত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজরা। এবার প্লেয়ার ড্রাফটে মূল কাজটাও সেরে ফেলল তারা। দলও গুছিয়ে ফেলেছে।

এবারের আসরে সাতটি দল অংশ নিচ্ছে। গতবারের পাঁচটি দলের সঙ্গে এবার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজ যুক্ত হয়েছে খুলনা টাইটানস ও রাজশাহী কিংস।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দেশীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাচ্ছেন

মোবাইল নম্বর গোপন রেখে কল করুন সহ‌জেই

অদ্ভূতুরে শি‌রোনাম! স‌ত্যিই সম্ভব? হ্যা সম্ভব। প্রযু‌ক্তির দু‌নিয়ায় অসম্ভব ব‌লে কিছু আ‌ছে ব‌লে ম‌নে হয় না! এখন থে‌কে কাংঙ্খিত ব্যক্তিকে ফোন করে চম‌কি‌য়ে দিন আপনার প‌রি‌চিত নাম্বার দি‌য়েই। আমরা যখন কাউ‌কে ফোন দেই, তখন ফোন করার সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল নম্বর ফোন রিসিভকারী ব্যক্তি পেয়ে যান। এ ক্ষেত্রে মেয়েরা অনেক সময় সমস্যায় পড়ে যান। অপরিচিত ব্যক্তিরা শুধু শুধু ডিস্ট্রাব করতে থাকে। তাই এখনই জেনে নিন, মোবাইল নম্বর গোপন রেখে কল করার উপায়।

হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষ‌ণিক যা কর‌বেন

অ‌নেক সময় বাসা কিংবা অ‌ফি‌সে একা থাকাকালীন হার্ট অ্যাটাক হ‌য়ে যায়। তখন খুব অসহায় হ‌য়ে থাক‌তে হয়। কিন্তু এমতাবস্থায় খুব দ্রুত নি‌ম্নোক্ত এই ৪টি কাজ করলে আশা‌ন্মিত ফল পাওয়া সম্ভব।
বি‌ভিন্ন কার‌ণে হার্টে যে কোন সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ হার্ট সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ শুধু উন্নত বিশ্ব নয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেও হার্টের রোগী এতো পরিমাণে বাড়বে যে, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের হার্টের সমস্যা থাকবে। এ থে‌কে মু‌ক্তির জন্য তাই আমাদের প্রত্যেকেরই খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কায়িক পরিশ্রমের দিকেও

ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যত জীবন নিয়ে ভাবার পূ‌র্বে!

আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আপনার যেহেতু এখন একটি ভালো চাকরি আছে সুতরাং আপনাকে আর কর্মজীবন নিয়ে বাড়তি কোনো ভাবনায় সময় ব্যয় করার দরকার নেই। এটা ভুল ধারণা। এটা আপনার ব্যবসা আর আপনাকেই এর পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আয় বৃদ্ধির উপায়

সফল উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে শুনুন  আয় বৃ‌দ্ধির উপায়। প্রধান আয়ের পাশাপাশি আরও নানা উৎস থেকে আয় করেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। কয়েকজন উদ্যোক্তা জানিয়েছেন তাদের সেই আয় বৃদ্ধির উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।

প্রাণ আরএফএল গ্রু‌পের সুপারসশপে চাক‌রি

ঢাকার অভ্যন্তরে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে সুপারশপের যাত্রা শুরু করেছে প্রাণ। এসব সুপারশপে জরুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেখে নিন আবেদনের জন্য বিস্তারিত :

কম্পিউটার স্লো কাজ কর‌ছে?

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের অ‌নে‌কেরই দৈনন্দিন সমস্যা ‘পিসি স্লো’! নিত্য ব্যবহারে বেশি পরিমাণে টেম্পোরারি ও জাংক ফাইল জমা হওয়াসহ ভাইরাসের কারণেও কম্পিউটার ধীরগতির হতে পারে। তবে, আপনি চাইলে ঘরে বসেই সাধারণ কিছু কাজ করে কম্পিউটারকে দ্রুতগতির করতে পারেন।

অ্যাপেনডিসাইটিসের লক্ষণ কী?

অ্যাপেনডিসাইটিস একটি জটিল সমস্যা। সমস্যা বেড়ে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫০৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. সরদান এন নাঈম। বর্তমানে তিনি জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।

১০ জন শীর্ষ ধনী ব্যক্তির মতামত

পৃ‌থিবীতে অ‌নেক ধনী ব্য‌ক্তি র‌য়েছে। আর ধনী হওয়ার প‌থে তাঁ‌দের অ‌নেক অ‌ভিজ্ঞতাও অর্জন হ‌য়ে‌ছে। বে‌শিরভাগ মি‌লি‌নিয়ার ব্য‌ক্তিই নিজ নিজ প্র‌চেষ্টায় হ‌য়ে‌ছেন সফল। তাঁদের বিষ‌য়ে অধ্যয়ন বা জানার ইচ্ছা কম‌বে‌শি সবারই থা‌কে। বি‌শেষ ক‌রে তাঁ‌দের পথ যারা অনুসরণ কর‌তে চায় বা তাঁ‌দের ম‌তো সফল হ‌তে চায়, ত‌বে তাঁদের মতামত অ‌নেক কা‌জে আস‌বে। তাই বি‌শ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যক্তির মতামত নি‌চে প্রদান করা হ‌লোঃ

লংকাবাংলা ফাইন্যান্সে চাকরি: অ‌ভিজ্ঞতা ছাড়াই

প্রোডাক্ট মার্কেটিং অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। পদটিতে মোট ছয়টি স্তরে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রথম স্তরে আবেদন করা যাবে অভিজ্ঞতা ছাড়াই।

তাসকিন-সানির আই‌সি‌সি জয়

বৈধতার লড়াইয়ে চেন্নাই ল্যা‌বের পরাজয়, তাসকিন-সানির জয়।
অবশেষে জল্পনা-কল্পনার অবসান। পরীক্ষায় উতরে গেলেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানি। আইসিসির ঘোষণা এসেছে, তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন বৈধ। জিতলেন তাসকিন, সানি। জিতে গেল বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার আইসিসি জানিয়েছে, তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। উভয় বোলার আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল করতে পারবেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে তাসকিন ও সানি নিজেদের বোলিং পরীক্ষা দেন। সেখানে দুই বোলারের বোলিং পর্যবেক্ষণ করা হয়।

ডায়বেটিস রোগীদের ভালো থাকার উপায়

ডায়বেটিস বা বহুমূত্র আজকের যুগের অন্যতম মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে। এ রোগের সাথে খাদ্যের গভীর সর্ম্পক আছে সে কথাও সবাই জানেন। তাই এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কি ধরণের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত সে ব্যাপারে আলোচনা করেছেন ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডায়বেটিক হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ খালেদা খাতুন। আলোচনাটি পরিবেশন করা হলোঃ

কিছু লক্ষণে আ‌গেই বু‌ঝে নিন হার্ট অ্যাটাক হ‌বে!

হার্ট অ্যাটাক কখন হবে তা হলফ ক‌রে বলা মুশ‌কিল। তবে কিছু লক্ষণ আ‌ছে যা হার্ট অ্যাটা‌কের অ‌নেক পূ‌র্বেই প্রকাশ পে‌তে পা‌রে। এক মাস আগে থে‌কেই কিভাবে বুঝবেন যে, হার্ট অ্যাটাক হ‌বে?
অনেকেই মনে করেন যে হার্ট অ্যাটাক কেবল পুরুষদের রোগ, এটা একান্তই ভুল ধারণা। কারণ নারী ও পুরুষ উভয়েই এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নারী ও পুরুষে ভিন্ন ভিন্ন। নারীদের ক্ষেত্রে অ‌নেক সময় এক মাস আগে থেকেই দেখা যেতে শুরু করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যদি এই লক্ষণগুলো আপনার মাঝে দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে অ‌ভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ এই লক্ষণগুলো জানিয়ে দেয় যে আগামী ৩০ দিনের মাঝেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে

ব্যায়াম করুন সুস্থ্য থাকুন !

ছোট ব্যায়ামে বড় ফল
স্থূলতা বা বাড়তি ওজনের পেছনে যেমন জিনগত-পারিপার্শ্বিক-দৈহিক-মানসিক নানা জটিল কারণ লুকিয়ে আছে, তেমনি এর প্রভাবও দীর্ঘমেয়াদি ও নানাবিধ। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়াটাই খারাপ। অতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে ঝুঁকি বেড়ে যায় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বির আধিক্য, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের; অস্টিওআর্থ্রাইটিস, হার্নিয়া, পিত্তথলির পাথর ইত্যাদি রোগেরও সম্পর্ক আছে। এমনকি ক্যানসার ও নারীদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকিও বাড়ায় এই

স্বনামধন্য প্র‌তিষ্ঠা‌নের চাক‌রির খবর

এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল
পদ ও যোগ্যতা : অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক/সহকারী অধ্যাপক। এফসিপিএস, এমডি, এমএস, ডফআরসিপি, এমআরসিএস, এফআরসিএস।
পদ ও যোগ্যতা : আরএস/আরপি/কনসালট্যান্ট। এফসিপিএস, এমডি, এমএস, এমআরসিপি, এফআরসিপি, এমআরসিএস, এফআরসিএস।
পদ ও যোগ্যতা : রেজিস্ট্রার/সহকারী রেজিস্ট্রার/ইনডোর মেডিক্যাল অফিসার (আইএমও)। এফসিপিএস পার্ট-১ উত্তীর্ণদের

বাংলা‌দেশ রেলওয়েতে চাক‌রির সু‌যোগ

আলাদা তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে ছয়টি পদে দরখাস্ত আহ্বান করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম (পূর্ব)। এসব পদে নেওয়া হবে ২৩৬ জন। আবেদনের শেষ তারিখ ১৬ অক্টোবর। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. সাইফুল ইসলাম।

ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

আমাদের দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অজ্ঞতার কারণে অনেক ডায়াবেটিস রোগীকেই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ডায়াবেটিস হলে করণীয় ও এর পথ্য সংশ্লিষ্ট প্রভৃতি বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের এনডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. ফারুক পাঠান। ডায়াবেটিসের ওপর তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মো. আজিবুর রহমান রাজিব।

ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায়: সমস্যা ও সমাধান

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত একটা অভিযোগ শোনা যায়— ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের ঋণ দেয় না। অর্থসংকটে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা গেছে। আমি ১০ বছর এসএমই ব্যাংকিংয়ে যুক্ত ছিলাম। বর্তমানে অর্থায়নের অন্য একটা উপায়— ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমে এসএমই অর্থায়ন করছি। উল্টো দিকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিয়মিত আফসোস শোনা যায়, অর্থ দেয়ার মতো উপযুক্ত উদ্যোগ পাওয়া যায় না।
ব্যাংক একটি লাভজনক ও মুনাফাপ্রত্যাশী প্রতিষ্ঠান। ভালো গ্রাহকের সন্ধান তারা নিজস্ব তাগিদেই করে। বিপণনের জন্য তারা প্রচুর খরচ করে। উদ্দেশ্য একটাই— ভালো এবং নতুন গ্রাহক পাওয়া। কেন এই ধাঁধা ?
ব্যাংক ভালো এসএমই গ্রাহক পায় না আর স্বল্প ও মাঝারি উদ্যোক্তরা প্রত্যাশিত ঋণ পায় না? এ যেন ‘এই পারে আমি, ওই পারে তুমি, মাঝখানে নদী ওই বয়ে চলে যায়’। কেন এই ‘মাঝখানে নদী’ দূরত্ব? কেন এ পার্থক্য? একজন ব্যাংকারের চোখ দিয়ে দেখা যাক, কেন বা কী কী কারণে স্বল্প ও মাঝারি উদ্যোক্তরা ঋণ পায় না—

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা! ম্যা‌জিক সমাধান দে‌খে নিন

আমাদের দেশে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নেই এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই মুশ‌কিল। এই সমস্যাটি মূলত অ‌নিয়ন্ত্রিত ও ভাজাপোড়া খাবার খেলেই বেশি হয়ে থাকে। অনেকেরই এ সব খাবার খাওয়ার পরে পেট ব্যাথা বা বুকে ব্যাথা কিংবা বদ হজম হয়।
অথচ এই সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ না খেয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিচের যেকোন একটি নিয়ম মানলেই কাজ হ‌বে। এই কাজটি করলে আর কখনোই আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা

মার্চেন্ডাইজিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ুন !

দেশে প্রায় ১১ হাজারের মতো গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি রয়েছে। আছে অসংখ্য বায়িং হাউস, সোয়েটার ফ্যাক্টরি, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠান ও ফ্যাশন ডিজাইন হাউস। এসব প্রতিষ্ঠানে মার্চেন্ডাইজারের আছে চাকরির বিশাল ক্ষেত্র। আপনি গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে এখানে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন অনায়াসে। গার্মেন্ট শিল্পে বায়িং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েও ভালো বেতনে চাকরি করতে পারেন। তাছাড়া পোশাক শিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে মার্চেন্ডাইজিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনাও করতে পারেন। এতে ক্যারিয়ার আরও পোক্ত করতে পারবেন। বর্তমান চাকরির বাজারে পেশাভিত্তিক পড়াশোনার কদরও বেশ। তাছাড়া বিশ্বে আমাদের দেশ থেকে রফতানিকৃত পোশাকের কদরটাই আলাদা।
তাই বলা যায়, ক্যারিয়ার গঠনে ফলপ্রসূ প্র্রশিক্ষণ কোর্স হচ্ছে

ডায়বেটিস সমস্যা দূর করুন ৩০ দি‌নেই

আপনি য‌দি ডায়বেটিসে আক্রান্ত হ‌য়ে থা‌কেন! ত‌বে প্রথমেই বলি এতে চি‌ন্তিত হবার কোন দরকার নেই। কারণ ডায়‌বে‌টিস নিয়ন্ত্রন করা এ সমস্যার একমাত্র সমাধান। আর তা করুন সহ‌জেই।
ডায়বেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আপনাকে শুধু খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সঙ্গে এক্সারসাইজ। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায় ডায়বেটিসের প্রথম পর্যায়ে কিন্তু তা পুরোপুরি নির্মুল করা সম্ভব। যদি নিয়ম মেনে চলা যায় তাহলে নাকি মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে কোনও ওষুধ ছাড়াই ডায়বেটিসকে ছু‌টি দেওয়া সম্ভব। কিছু ফল ও খাদ্য উপাদান রয়েছে যা শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে শরীরে শর্করার পরিমান কমাতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলি তারাও খেতে পারেন যাদের এখনও ডায়েবেটিস না হলেও পরিবারের সদস্যদের ডায়বেটিস আছে। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই ১০ ম্যাজিক খাবার; যা মাত্র ৩০ দিনে ডায়বেটিস থেকে

খাঁটি ঘি চেনার উপায়

বাজার থেকে ক্রয়কৃত অধিকাংশ পণ্যই ভেজালে সয়লাভ। এজন্য ঘি কেনার সময়ও মনে আশঙ্কা জা‌গে যে, ঘি খাঁটি হ‌বে নাকি তাতে ভেজাল কিছু মেশানো!
ভেজাল ঘি খ‌রিদ কর‌লে পয়সা নষ্টের পাশাপাশি হতে পারে আপনার স্বাস্থ্য সমস্যাও। এজন্যই কিছু সহজ পদ্ধতির কথা বলছি; যেগুলোর দ্বারা আপনি ঘরে বসেই পরীক্ষা করতে পারবেন ঘি খাঁটি নাকি ভেজাল।

ধনী হ‌তে চান? তাহ‌লে ৭ বিষয় জে‌নে নিন

কিভা‌বে ধনী হওয়া যায়? ধনী হ‌তে চাই? ধনী হওয়ার উপায় কি? এমন অ‌নেক প্রশ্ন ম‌নের ম‌ধ্যে উঁ‌কি দেয়! আর এধর‌ণের প্র‌শ্নের উত্তর নি‌য়েই আজ‌কের এই পোস্ট। তাহ‌লে ধনী হবার উপায়গু‌লো জে‌নে নিনঃ

বেট৩৬৫ খেলার নিয়ম ও আ‌য়ের উপায়

অনলাই‌নে বেট ধ‌রেই আন‌লি‌মি‌টেড ইনকাম কর‌ার সু‌যোগ: অ্যাকাউন্ট তৈ‌রি, বে‌টের নিয়ম, বেট ক‌রে অ‌ধিক লা‌ভের উপায়, ফ‌রেক্স বেট, ‌বে‌টের গুরুত্বপূর্ণ টিপস ও ট্রিকস
‌বি‌শ্বে অ‌নেক বে‌টিং সাইট র‌য়ে‌ছে। সেগু‌লোর ম‌ধ্যে যুক্তরাজ্যের স্টোক সিটির কোটস পরিবার ২০০১ সালে চালু করে ক্রীড়াবিষয়ক বেটিং সাইট বেট ৩৬৫ ডটকম (bet365.com)। গত ১৬ বছরের পথ চলায় বিশ্বের বৃহৎ স্পোর্টস গেম্বলিং সাইট বা ক্রীড়াবিষয়ক বাজির (জুয়া) সাইটে পরিণত হয়েছে তা। বিশ্বের ২০০টি দেশের ১৯ মিলিয়নেরও (১৯০ কোটি) বেশি কাস্টমার রয়েছে বেট ৩৬৫ সাইটের। প্রতিদিন এর কাস্টমাররা বিভিন্ন খেলাধুলা নিয়ে বাজি বা জুয়ায় অংশ নেন। তাতে কেউ লাভবান হোন, কেউ বা সর্বস্বান্ত; তবে বেট ৩৬৫ সাইটের মালিকেরা কিন্তু লাভবান হোন প্রতিনিয়তই।
চলতি বছর এপ্রিলে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা

স্ট্রোক থে‌কে বাঁচার কৌশল !

যখন কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তার মস্তিষ্ক কোষ ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। মানুষের ফার্স্ট এইড এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। চীনের অধ্যাপকরা বলছেন যে, কারো স্ট্রোক হচ্ছে যদি এমন দেখেন তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

যদি দেখেন স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরানো যাবে না কারন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বিস্ফোরিত হতে পারে, এটা ভাল হবে যদি আপনার বাড়ীতে পিচকারি সুই থাকে, অথবা সেলাই সুই থাকলেও চলবে। আপনি কয়েক সেকেন্ডের জন্য আগুনের শিখার উপরে সুচটিকে গরম করে নেবেন যাতে করে জীবাণুমুক্ত হয় এবং তারপর রোগীর হাতের ১০ আঙ্গুলের ডগার নরম অংশে ছোট ক্ষত করতে এটি ব্যবহার করুন। এমনভাবে করুন যাতে প্রতিটি আঙুল থেকে রক্তপাত হয়, কোন অভিজ্ঞতা বা পূর্ববর্তী জ্ঞানের প্রয়োজন হবে না ।
কেবলমাত্র নিশ্চিন্ত করুন যে আঙ্গুল থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রক্তপাত হচ্ছে কি না।

এবার ১০ আঙ্গুলের রক্তপাত চলাকালীন, কয়েক মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন; দেখবেন ধীরে ধীরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছে।

যদি আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করুন। এমনভাবে তার কান ম্যাসেজ করুন যাতে ম্যাসেজের ফলে তার কান লাল হয়ে যায় এবং এর অর্থ হচ্ছে কানে রক্ত পৌঁছেছে।
তারপর প্রতিটি কান থেকে দুইফোঁটা রক্ত পড়ার জন্য প্রতিটি কানের নরম অংশে সুচ ফুটান। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন দেখবেন মুখ আর বিকৃত হবে না। আরও অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়।
যতক্ষণ না রোগী মোটামুটি স্বাভাবিক হচ্ছে অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করান।

জীবন বাঁচাতে রক্তক্ষয় পদ্ধতি চীনে প্রথাগত ভাবে চিকিৎসার অংশ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এবং এই পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রয়োগ ১০০% কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

যদি কারও মনে স‌ন্দেহ জাগে, ত‌বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর সাথে আলোচনা করতে পারেন।

^
^
#স্ট্রোক  #মস্তিষ্কে-রক্তক্ষরণ #heart-attack

নি‌জেই ব্যবসা শুরু করুন (সব‌ তথ্য একসা‌থে)

কেন আপনি নিজেই ব্যবসা আরম্ভ করবেন?
আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। এছাড়াও ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে হুজুর (সা:) এর অনেক হাদীস রয়েছে, যা বিভিন্ন হাদীস শরীফে লিপিবদ্ধ আছে। একটু কষ্ট করে খুঁজলেই পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশের লেখাপড়ার প্রেক্ষাপট চাকুরীর জন্য নির্মিত। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা অবস্থায় অবচেতন মনে চাকুরীর কথা প্রবেশ করানো হয়। নিজের পায়ে দাঁড়ানো, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি-এই ধারনাগুলো খুব কমই রয়েছে আমাদের

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক ঋণের বিস্তা‌রিত

একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনা এবং ইন্সুরেন্সের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যই হলো উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। আমাদের দেশে একটি প্রচলিত ধ্যান-ধারণা বিদ্যমান রয়েছে যে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তার পরিবর্তে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করে। বিষয়টি ঢালাওভাবে কিংবা একতরফাভাবে বলা সমিচীন নয়। উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার জন্য যেমন নিয়মনীতি অনুসরন করতে হয় তেমনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পদ্ধতিগতভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। অনেক সময় উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাস্তব জ্ঞান এবং ব্যাংকের নিয়ম কানুন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারনে অহেতুক অসুবিধার

গরুর মাংসের গুণাগুণ

রেড মিট হিসেবে গরুর মাংস অনেক স্বাদের এবং অনেকের কাছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। বাংলাদেশের মানুষ মাংসের মধ্যে গরুর মাংস খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ চিহ্নিত হওয়ায় খাবারটি প্রিয় হলেও অনেকে এড়িয়েও চলেন। গরুর মাংস স্বাদে অতুলনীয় এবং পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করলে যে কোনো খাবারই সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করতে হয়। আর সেই কারণে খাবারের পুষ্টিমূল্য তার সঠিক রান্নার কৌশল, সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যের জন্য এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়ালটনে ১০০ জ‌নের চাকরি

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশীয় প্র‌তিষ্ঠান ওয়ালটন। ওয়ালটন গ্রুপে দুই ধরনের পদে মোট ১০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পদগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ

ম্যানেজার বা সহকারী ম্যানেজার (টেকনো সার্ভিস)
স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সাথে প্রার্থীদের তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আবেদনের বয়সসীমা ২৮ থেকে ৩৫ বছর।

এক্সিকিউটিভ (কাস্টমার কেয়ার)

চোখের নিচের কালি দূর করুন ১ সপ্তাহে

চোখের নিচে কালি পড়েছে? কী করবেন; ভে‌বেও পা‌চ্ছেন না! সমাধান খুঁজতে খুঁজ‌তে ম‌নে হ‌চ্ছে সমস্যা‌ আরও বে‌ড়ে যা‌চ্ছে। ত্বক তো ঝকঝকে হবেই, নিমেষে উধাও হবে চোখের নিচের কালি। নি‌চের নিয়মগু‌লো মে‌নে খুব সহ‌জেই ৭ দিনে চোখের নিচের কালি দূর

১০ লাখ টাকা ঋণ- জামানত ছাড়াই

নতুন উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি পুনরর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে জামানত ছাড়াই ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই)। এছাড়া জামানতসহ সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ৫ শতাংশ হারে তহবিল দেবে। গ্রাহকদের থেকে ব্যাংক সর্বোচ্চ সুদ নেবে ১০ শতাংশ।
‘কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে নতুন উদ্যোক্তা পুনরর্থায়ন তহবিল’ নামের ওই তহবিল থেকে কোন ব্যাংক পুনরর্থায়ন সুবিধা নিতে চাইলে তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড ষ্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের সঙ্গে

সর্দিজ্বর প্রতিরোধে আগে থেকেই মেনে চলুন ১২ নিয়ম

ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ সর্দিজ্বর। আক্রান্ত ব্যক্তির ছোঁয়ায় অথবা তার ব্যবহার্য জিনিসের মাধ্যমে এটি বেশি ছড়ায়। এ রোগে সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ করাসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা মেনে চললে এ বিরক্তিকর সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে কা‌লের কন্ঠ অনলাইন।

এ রোগটি ভাইরাসবাহিত হওয়ায় একবার হয়ে যাওয়ার পর তা ওষুধ খেয়ে নয় বরং কিছু নিয়ম পালনের মাধ্যমে এমনিতেই যেন সেরে যায় সেজন্য সচেষ্ট হওয়া উচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, ওষুধ খেয়ে জ্বরটি কমানোর চেয়ে এমনিতেই রোগটি ভালো করা উচিত। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় সহায়ক পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি হয়, যা পরবর্তী সময় রোগ প্রতিরোধে কাজে লাগে।

১. সতর্ক থাকা
সর্দি-জ্বর কিংবা সর্দিতে আক্রান্তদের কাছ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে হবে, ধূমপান করা যাবে না, বাসায় নিয়মিত ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে চলাচলের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঘনঘন চোখ ও মুখে হাত দেওয়া যাবে না।

২. হাত ধোয়া
প্রায়ই হাতের মাধ্যমে সর্দি-জ্বরের জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। তাই হাত নিয়মিত ধুয়ে ফেলা উচিত। এক্ষেত্রে আপনি যখন অন্য কোনো রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসবেন, বাইরে থেকে ঘরে ফিরবেন কিংবা বাইরের কোনো জিনিস নাড়বেন তখনই হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩. বিশুদ্ধ বায়ু
বাড়ির ভেতরেও সর্দি-জ্বরের জীবাণু বাস করতে পারে। এক্ষেত্রে বাড়ির ভেতরে যেন বায়ু বিশুদ্ধ থাকে সেজন্য ধুলোবালি দূর করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্যাঁতসেতে ও আর্দ্র পরিবেশ থাকলে তা দূর করতে হবে।

. ভালো ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই সর্দি-জ্বর প্রতিরোধের জন্য ভালোভাবে ঘুমানো উচিত। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা এবং শিশুদের ১০ ঘণ্টা বা বয়স অনুযায়ী তার চেয়ে বেশি ঘুমানো উচিত।

৫. গ্রিন টি ও ব্ল্যাক টি
বিভিন্ন ধরনের চা সর্দি-জ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক্ষেত্রে গ্রিন টি কিংবা ব্ল্যাক টি পান করতে পারেন। এতে লেবুর রস, মধু কিংবা আদা দিলে তা আরও ভালো কাজ করবে।

৬. ভিটামিন সি ও জিংক
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ভিটামিন সি ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেহের প্রতিরোধক্ষমতা গড়তে সহায়তা করে। এছাড়া খাবারে থাকতে হবে জিংক। এজন্য বিভিন্ন বাদাম, সীম, কুমড়ার বীজ ও পালং শাক খাওয়া যেতে পারে।

৭. শারীরিক অনুশীলন
নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং নানা রোগ থেকে রক্ষা করবে। এজন্য প্রতিদিন কমপক্ষে আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটা বা জগিংয়ের মতো শারীরিক অনুশীলন করবেন। এছাড়া বেশিক্ষণ বসে থাকা যাবে না এবং শরীর সচল রাখতে হবে।

৮. মুরগির স্যুপ
মুরগির সুপ নানাধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়তে সহায়তা করে। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন মুরগির সুপ।

৯.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
রোগজীবাণু থেকে মুক্ত থাকার জন্য বাড়ির আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। বাড়ির ভেতরের যেসব স্থানে জীবাণুর বাসা হতে পারে সেসব স্থান ভালোভাবে নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

১০. বাইরের খাবারে সতর্কতা
বাইরের খাবারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে রাস্তার ধারের খাবার থেকে মানুষের দেহে নানা রোগের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।

১১. পর্যাপ্ত পানি পান
সর্দিজ্বর থেকে দূরে থাকার জন্য শরীরের জলীয় পদার্থের অনুপাত সঠিক রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি ও তরল পদার্থ খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়।

১২. লক্ষণ দেখা গেলে
সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেলে গরম লবণ-পানির গড়গড়া করলে, মেনথলসহ গরম পানির ভাপ নিলে, আদা কুচি বা আদার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া ধূমায়িত চা, লেবুর রস মিশ্রিত কুসুম গরম পানি পান, গরম পানি দিয়ে গোসল, তুলসীপাতার রস (যেমন তুলসীর চা) সর্দি উপশম করতে পারে। এ ছাড়া রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

কিডনি নষ্ট হয়ে যায় কেন? কিডনি প্রতিস্থাপন ও কিডনি দান প্রসঙ্গ

আজ‌কের আ‌লোচনার বিষয়বস্তুু-
১। কিডনি নষ্ট হয়ে যায় কেন?
২। কিডনি প্রতিস্থাপন কারা করতে পারবেন?
৩। কিডনি দান কি ঝুঁকিপূর্ণ?

কিডনি নষ্ট হয়ে যায় কেন?
বিভিন্ন কারণে কিডনি বিকল হতে পারে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৪৯০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কিডনি সংযোজন অত্যন্ত জটিল ও আধুনিক একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি বাংলাদেশে হচ্ছে। একজন মানুষের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) প্রয়োজন হয় সাধারণত তার কিডনি বিকল হয়ে গেলে। কিডনি বিকল হয় কেন?
উত্তর : কিডনি বিকল একটি অত্যন্ত গুরুতর এবং এর জন্য অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এর কারণের মধ্যে সংক্রমণ একটি কারণ। যেমন আমরা বলি গ্লুম্যারো নেফ্রাইটিস। এ ছাড়া পাইলোনেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস, ডায়াবেটিস যার বেশি থাকে, উচ্চ রক্তচাপ যার বেশি থাকে, যাকে আমরা বলি হাইপার টেনশন। এরপর অন্যান্য আরো কিছু অসুখ আছে, যেমন পাথর অথবা টিউমার দিয়ে রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়, বের না হয়। যাকে আমরা প্রচলিত একটি শব্দ ব্যবহার করে বলি—অবসট্রাকটিভ ইউরোপ্যাথি। এ ধরনের অসুখগুলো হলে কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

প্রশ্ন : আমরা জানি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়াটা শুরুতে অনেক সময় ধরা পড়ে না। এটা যখন ধরা পড়ে তখন অনেকখানি ক্ষতি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কিডনির চিকিৎসা করে কি আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব?
উত্তর : কিডনি যদি বিকল হয়, যদি অবসট্রাকটিভ ইউরোপ্যাথি হয়, তখন আমরা যদি বাধা দূর করে দিই এটি আগের পর্যায়ে ফিরে আসে। তবে এটা নির্ভর করবে কতদিন এই অবসট্রাকটেড অবস্থায় ছিল।
আমি রোগীদের একটি সহজ উদাহরণ দিই। একজন মানুষকে যদি আপনি একটি আঘাত করেন, সামান্য থাপ্পড় দিলেন, সে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ থাকবে। কিন্তু একজন মানুষকে যদি আপনি অজ্ঞান করে ফেলেন, আর যদি মেরে ফেলেন তাহলে আর জীবনেও সুস্থ হবে না। কিডনির বেলায়ও তাই। কিডনির অসুখগুলো কতদিন থেকে ভোগাচ্ছে, সেটার ওপর নির্ভর করবে কতটা সে পূরণ করতে পারবে।
তাই সবাইকে একটি কথা বলব। যেহেতু এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, আপনারা অবশ্যই এগুলোর চিকিৎসা করবেন। যাতে ওনাদের গুরুতর পরিণতির দিকে যেতে না হয়।

প্রশ্ন : যদি গুরুতর পরিণতির দিকে দুর্ভাগ্যবশত যায়, তার দুটো কিডনিই হয়তো বিকল, সে ক্ষেত্রে তার চিকিৎসার কী আছে? একটি তো আমরা জানি ট্রান্সপ্ল্যান্ট। তবে এর বিকল্প কী রয়েছে?
উত্তর : যখন নাকি কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়, তখন তো অন্য কথা। মনে করেন যদি খানিক বিকল হয়, তখন এর মেডিকেল চিকিৎসা আছে, আমরা রাখি। মেডিকেল চিকিৎসায় অনেকদিন ভালো থাকা যায়। যখন সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায় তখনই হয় ডায়ালাইসিস করি, অথবা কিডনি সংযোজন করি। ডায়ালাইসিস বিভিন্ন রকম আছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরামর্শ দিই, হেমোডায়ালাইসিস—রক্ত দিয়ে যে ডায়ালাইসিস করা হয়। এ ছাড়া প্যারিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস আছে। অথবা কন্টিনুয়াস এমবিলুটারি প্যারিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস আছে। এখানে সে বাড়িতে বসে বসে ডায়ালাইসিস করতে পারে। রোগী নিজে নিজেই করে, তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেওয়া হয়। পেটে একটি নল বসিয়ে দেওয়া হয়। এটা দিয়ে তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয় এবং সে বাড়িতে করতে পারে। এগুলো হলো তার চিকিৎসা।

প্রশ্ন : কিডনি বিকল হলে, একজন রোগীর হাতে মাত্র দুটো পথ রয়েছে। ডায়ালাইসিস অথবা কিডনির ট্রান্সপ্ল্যান্ট। সেই ক্ষেত্রে একজন রোগীকে কী পরামর্শ দেবেন? তিনি কি ডায়ালাইসিস করবেন, না কি তার ট্রান্সপ্ল্যান্টে যাওয়াই উচিত। ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে চাইলেই কি সবাই করতে পারবে?
উত্তর : এ দুটো বিষয়ের মধ্যে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে পারলে ভালো। কারণ এতে তার জীবনের যে গতিধারা সেটি কম ব্যাহত হয়। মনে করেন ডায়ালাইসিস করতে গেলে, তাকে সপ্তাহে তিনদিন হাসপাতালে যেতে হবে। গিয়ে ডায়ালাইসিস করতে হবে। ঘণ্টা চার-পাঁচ হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে একবার যখন সংযোজন করে ফেলে কিডনি, তখন শুধু তার ওষুধ খেতে হয়। প্রথম দিকে একটু বেশি। এরপর ছয় মাস গেলে অনেক কমে যায় এবং জীবনটা অনেক স্বাভাবিক হয়। স্বাভাবিক কাজকর্ম সহজে করতে পারে। তার জীবনযাপন প্রায় আগের মতো হয়ে যায়।

কিডনি প্রতিস্থাপন কারা করতে পারবেন?
কিডনি বিকল হয়ে গেলে অনেক সময় ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা প্রতিস্থাপন করতে হয়। তবে কারা সেটি করতে পারবেন—এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৪৯০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট কি সবাই করতে পারবেন?
উত্তর : এ ক্ষেত্রে বয়সের বিষয় রয়েছে। কিডনি যে দান করবে তার বিষয়ে বয়সের কিছু বিষয় আছে। ৬০ বছরের ওপরে গেলে আমরা সাধারণত ডায়ালাইসিসটাই পছন্দ করি। এর মধ্যে থাকলে ট্রান্সপ্ল্যান্টটা পছন্দ করি। আবার কিছু বিষয় রয়েছে ধরেন একজন রোগীর যদি ক্যানসার থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা তখনই ট্রান্সপ্ল্যান্ট করব না। তার ক্যানসারের চিকিৎসা করে এক বছর দেখব রোগী ভালো হচ্ছে কি না। তখন যদি হয়, আবার আমরা ট্রান্সপ্ল্যান্ট করি।

প্রশ্ন : কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের বিষয়ে অন্য একজন মানুষের কিডনি এনে সংযোজন করতে হয়। সাধারণত ওই কিডনির বেলায় মিলবে কি না এই বিষয়টি থাকে বা দাতা পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে যদি একটু বলেন।
উত্তর : দাতাদের বেলায় আমি সর্বপ্রথম দর্শক-স্রোতাদের একটি কথাই বলব, প্রথম একটি সহজ পরীক্ষা করে নেবেন সেটি হলো রক্তের গ্রুপ। সাধারণত যেটা করা হয় রক্তের গ্রুপ না মিললেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা সেটা করি। সেটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে সাধারণত আমাদের এখানে যেটা মেনে চলা হয় একই গ্রুপের রক্ত হতে হবে।
আরেকটি যেটা মানতে হবে, আমাদের দেশে একটি আইন আছে, এটি হলো জিনগতভাবে সম্পর্কিত হতে হয়। যেমন বাবা মা, ছেলে মেয়ে, ভাই, বোন এরা দিতে পারে। আর সেকেন্ড ডিগ্রির মধ্যে আসে চাচা মামা খালা ফুফু। মানে আমি যে কথাগুলো বললাম চাচা দিতে পারবে। তবে চাচি দিতে পারবে না। কারণ চাচা জিনগতভাবে সম্পর্কিত। চাচি নয়। তেমনি খালা দিতে পারবে। তবে খালু দিতে পারবে না।
আর সম্পর্কিত যেটি নয়, যেটা আমাদের দেশে করা হয় সেটি হলো দম্পতি। স্বামী স্ত্রীকে দিতে পারবে। স্ত্রী স্বামীকে দিতে পারবে। তবে এই ক্ষেত্রে একটা বিষয় আমরা খুব খেয়াল করি, যে আপনার অসুস্থতাটা কি বিয়ের পরে হয়েছে, না কি আগে হয়েছে? কারণ এর সঙ্গে অনেক নৈতিকতা জড়িয়ে যায়। অনেক সময় দেখা গেল, একজন অসুস্থ হলো, এরপর একটি বিয়ের সার্টিফিকেট নিয়ে এলো। এনে বলল আমার স্বামী। এটা কিন্তু আমরা নেব না। তাকে অবশ্যই আগে থেকে বিবাহিত জীবন যাপন করতে হবে।

কিডনি দান কি ঝুঁকিপূর্ণ?
অনেকে কিডনি দান করে থাকেন। এই বিষয়টি কতটা নিরাপদ বা এতে ঝুঁকি আসলে কতখানি—এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৪৯০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : যাঁরা কিডনি দেবেন তাঁদের মধ্যেও আতঙ্ক কাজ করে। যিনি কিডনি দেবেন তাঁর জন্য কি কিডনি দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে?
উত্তর : আমরা যখন ট্রান্সপ্ল্যান্ট করি, যাকে কিডনি দেব (গ্রহীতা), তাঁর চেয়ে বেশি যত্নবান থাকি যিনি দেবেন তাঁর প্রতি। কারণ উনি একটি মহৎ কাজ করছেন। দান করছেন। হোক না ওনার আত্মীয়। তারপরও তো উনি কিডনিটা দিয়ে জীবন বাঁচাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে আমরা দাতার ব্যাপারে খুব যত্নবান থাকি। কেউ কিডনি দিলে আমরা তাঁর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিই। তাঁর শরীরে যদি ন্যূনতম কোনো অসুবিধা থাকে, তাহলে তাঁর কিডনি আমরা নেব না। আমরা যখন দেখি, উনি সম্পূর্ণ নিরাপদ, তাঁর শরীরে কোনো ক্ষতি হবে না, তখনই আমরা তাঁর কিডনি নেব।
আরেকটি বিষয় বলব, জন্মগতভাবে আমাদের অনেকের একটি কিডনি। এটা নিয়েও তো আমরা ভালো আছি।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং-এ গ্রুপের সুবিধাসমূহ: শেষ পর্ব

মানুষ সামাজিক জীব। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষ দল গঠন করে। মানুষ এককভাবে যা সম্পাদন করতে পারে না, তা দলীয়ভাবে সম্পন্ন করতে পারে। নিজের ও সংগঠনের প্রয়োজনেই মানুষ দল বা গ্রুপ তৈরী করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় দল গঠন করতে লিডাররাই মূল ভূমিকা পালন করে। লিডাররা এক-একটি দল বা গ্রুপের নেতৃত্ব প্রদান করে ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রেরণা যোগাতে সহায়তা করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ দল গঠনের সুবিধা সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

১. সহজে কার্য সম্পাদনঃ
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা অন্য যে কোন কাজ যখন একজন ডিস্ট্রিবিউটর একক প্রচেষ্ঠায় সম্পন্ন করতে পারে না; তখন অনেকে মিলে সে কাজ সম্মেলিতভাবে সহজেই সম্পন্ন করতে পারে। এতে দলের সকলেই কম বেশি উপকৃত হয়ে থাকে। অবশ্য দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে একজন অন্যের উপর আস্থা রাখতে হবে।

২. কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিঃ
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় বিক্রয়কর্মী বা ডিস্ট্রিবিউটরদের কাজের প্রতি আগ্রহের উপরই নির্ভর করে সাফল্য। দলবদ্ধভাবে কাজ করার মাধ্যমে প্রত্যেকের আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে যায়। দলের অনেকের সফলতা দেখে নতুনরা কাজ করার আগ্রহ প্রদর্শন করে। এ ধরনের পদ্ধতিতে একজনের সফলতা অনেকাংশে অন্যের উপর নির্ভরশীল যার দরুন একে অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।

৩. মর্যাদা ও তৃপ্তি লাভঃ
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিতে দল গঠনের মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটরগণ সাফল্য অর্জন করে যেমন তৃপ্তিলাভ করে; তেমনি বড় দলে কাজ করার দরুন মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। একজন ডিস্ট্রিবিউটর পর্যায়ক্রমে যখন দলের নেতৃত্ব লাভ করে দলের অন্যরাও অধিক পরিশ্রম করে সাফল্য অর্জনের প্রচেষ্ঠা করে।

৪. দলীয় শক্তি বৃহৎ শক্তিঃ
একটি দল বা গ্রুপে একাধিক ডিস্ট্রিবিউটর ও লিডার থাকে বিধায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় একটি বৃহৎ শক্তি গড়ে উঠে। এ শক্তির উপর ভিত্তি করে অনেক জটিল কাজ সহজে সমাধান করা যায়। দলীয় শক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরী হয় বড় নেটওয়ার্ক যা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।

৫. সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ
দলীয় সিদ্ধান্ত নেটওয়ার্ক পদ্ধতিতে খুবই ফলপ্রসু। এককভাবে গৃহীত সিদ্ধান্তের চেয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত অনেক বেশি কার্যকর। অনেকগুলো মস্তিষ্ক যখন আলোচনায় বসে কোন সিদ্ধান্তগ্রহন করে তা সফল হয়েই থাকে। কারন এক্ষেত্রে অনেক মেধা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটে।

৬. নিয়ম শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাঃ
প্রত্যেকটি দল বা গ্রুপের কিছু নিয়ম-নীতি, আচরনবিধি ও দলীয় আদর্শ থাকে। একজন ডিস্ট্রিবিউটর দল ভূক্ত হওয়ার সাথে সাথে ঐ নিয়মনীতি ও বিধিসমূহ মেনে চলে। প্রত্যেক দল বা গ্রুপের দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলার দরুন সম্পূর্ন প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

৭. প্রেষণা বৃদ্ধিঃ
দলে অন্তর্গত একে অন্যের কাজে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের দরুন কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। দলীয় গতিশীলতা ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রেষণা যোগায়। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিতে আপ-লাইন ডিস্ট্রিবিউটর নিজের অগ্রগতির জন্য ডাউন লাইন ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রেষণা প্রদান করে। এসব প্রেষণা প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার পুরষ্কার ও বোনাস প্রদান করে দলের পক্ষ হতে। পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির জন্যই দলে প্রেষণামূলক পরিবেশ বজায় থাকে।

৮. মনোবল বৃদ্ধিঃ
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিতে প্রতিটি গ্রুপ বা দল মনোবল বৃদ্ধির ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। এক একটি দলে ডিস্ট্রিবিউটর, সিনিয়র ডিস্ট্রিবিউটর ও নতুনদের সহিত আপ-লাইন লিডারদের যোগাযোগ থাকে বিধায় একের সাফল্য অন্যের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ও আন্তরিকতা থাকে বিধায় এ পদ্ধতিতে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠে যা নতুনদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়।

৯. যোগাযোগ উন্নয়নঃ
নেটওর্য়াকারদের সহিত ডিস্ট্রিবিউটর ও নতুনদের যোগাযোগ যত সহজতর হয় তত বেশি সফলতা অর্জিত হয়। লিডার ও ডিস্ট্রিবিউটর একে অন্যের সহিত দুরত্ব বা ব্যবধান কমানোর মাধ্যমে দলীয় তৎপরতা বৃদ্ধি ঘটে। এককথায় তথ্যের আদান প্রদান আন্ত:সম্পর্ক তৈরীর জন্য যোগাযোগ অপরিহার্য যা অর্জিত হয় দল গঠনের মাধ্যমে।

১০. প্রশিক্ষনঃ
সাধারণত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান নানাধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে। এছাড়াও লিডাররা গ্রুপ বা দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করে যা দলীয় লক্ষ্য অর্জনে ফলপ্রসু হয়ে থাকে। সার্বিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সফল হওয়ার জন্য কোম্পানী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করলেও বিভিন্ন দলের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচী সফলভাবে সম্পন্ন হয়।