স্ব‌প্নের ব্যাখ্যা-দান প্রস‌ঙ্গে: পর্ব-৮

স্ব‌প্নের সু‌নি‌র্দিষ্ট মাপকাঠি র‌য়ে‌ছে। তাই স্বপ্ন বলা বা ব্যাখ্যা দা‌নের কিছু নিয়ম কানুন মানা জরুরী। তাবীর মানে স্বপ্ন ব্যাখ্যা করা। যার মাধ্যমে স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা হয় তার বিবেচনায় স্বপ্ন কয়েক প্রকার হয়ে থাকে।
স্বপ্ন ব্যাখ্যা করার দিক দিয়ে কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন,
প্রথমত: আল কোরআনের আয়াত দিয়ে স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান করা।
দ্বিতীয়ত: হাদীসে রাসূল দিয়ে স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা।
তৃতীয়ত: মানুষে মাঝে প্রচলিত বিভিন্ন প্রসিদ্ধ উক্তি দিয়ে স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা।
চতুর্থত: কখনো বিপরীত অর্থ গ্রহণ নীতির আলোকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা।
এমন ব্যক্তিই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেয়ার অধিকার রাখে, যে কোরআন ও হাদীসের জ্ঞান সম্পর্কে অভিজ্ঞ ও স্বপ্ন ব্যাখ্যার মূলনীতি সম্পর্কে ওয়াকেবহাল। সাথে সাথে তাকে মানব-দরদী ও সকলের প্রতি কল্যাণকামী মনোভাবের অধিকারী হতে হবে।
তাই তো রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ
إذا رأى أحدكم رؤيا فلا يحدث بها إلا ناصحا أو عالما
الراوي: أنس بن مالك  المحدث: الألباني - المصدر: السلسلة الصحيحة - الصفحة أو الرقم: 120
خلاصة حكم المحدث: صحيح
"তোমাদের কেউ স্বপ্ন দেখলে তা ন আলেম কিংবা কল্যাণকামী ব্যতীত কারো কাছে তা বর্ণনা করো না।" (মুসতাদরাক)
শায়খ আব্দুর রহমান আস সাদী (রঃ) বলতেন, স্বপ্নের ব্যাখ্যা একটি শরয়ী বিদ্যা। এটা শিক্ষা করা, শিক্ষা দেয়া ও চর্চা করলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রতিদান পাওয়া যাবে। আর স্বপ্নের ব্যাখ্যা ফতোয়ার মর্যাদা রাখে।
তাইতো দেখি ইউসুফ (আঃ) স্বপ্নের ব্যাখ্যাকে ফতোয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন তিনি তার জেল সঙ্গী দুজনকে তাদের জানতে চাওয়া স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিয়ে বলেছিলেন;
তোমরা দুজনে যে বিষয়ে ফতোয়া চেয়েছিলে তার ফয়সালা হয়ে গেছে। (সূরা ইউসুফ : ৪১)



স্বপ্ন নিয়ে আরও পোস্ট:
স্বপ্ন নি‌য়ে ধারাবা‌হিক প্র‌তি‌বেদনের আজ ১ম পর্ব

No comments:

Post a Comment