ব্যক্তি স্বাধীনতা যদি স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার হয়ে থাকে; তবে যে কাউকে পছন্দ করাও এই অধিকারের মধ্যে পড়ে। জাকির সাহেবের এক কোটি ফলোয়ারের মধ্যে শুধুমাত্র দুই জঙ্গী নয়; আরও অনেক সাধারণ-অসাধারণ জনগন রয়েছেন। যাদের কেউ হয়তোবা অমুসলিম, নাস্তিক, সমকামী ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভারতের মতো একটি শীর্ষ গণতান্ত্রিক দেশে শুধুমাত্র জঙ্গি ফলোয়ার থাকার অভিযোগে জাকির সাহেবের প্রতিষ্ঠিত ও পৃথিবীর জনপ্রিয় ইসলামী টিভি 'পিস টিভি'র সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে যে, ভারত সরকার জাকির সাহেবের বিচারের আগেই অবিচার করছে না তো ???
জাকির সাহেবের বক্তৃতা ও টিভির মাধ্যমে যদি সন্ত্রাসবাদ সত্যিই হুমকি হয়ে দেখা দেয় বা তার সাথে যদি জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা থাকে; তবে শান্তিপ্রিয় একজন নাগরিক হিসেবে আমিও পিস টিভি ও তার স্বত্বাধীকারির কঠিন শাস্তি কামনা করি। কারণ জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা মানবতার শত্রু, পবিত্র ইসলামসহ সব ধর্মেরই শত্রু।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে যে, ভারত সরকার কোন রকম সঠিক তথ্য নির্ভর বা তদন্ত না করেই, শুধুমাত্র বাংলাদেশি আইএস জঙ্গি ফলোয়ারের কারণে জাকির সাহেবকে জোরপূর্বক দোষী সাব্যস্ত করছে। যার বড় উদাহরণ হচ্ছে পিস টিভি বন্ধ করা।
জোরপূর্বক বা অমানবিকভাবে যেমন ইসলাম কায়েম সম্ভব নয় তেমনি শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাও সম্ভব নয়। আবার নির্দোষ ব্যাক্তিদের সাজা দিয়ে সন্ত্রাসবাদ দমন করাও অসম্ভব। এতে প্রকৃত অপরাধীরা অপরাধ করতে আরও বেশি উৎসাহবোধ করে; যা খুবই স্বাভাবিক।
আশা রাখি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভারত সরকার তার ন্যায় বিচার অব্যাহত রাখবে।
আশা রাখি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভারত সরকার তার ন্যায় বিচার অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ইংরেজি পত্রিকা দ্যা ডেইলি স্টারের একটি খবরের মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে যে ঢাকায় গুলশানের হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত একজন, রোহান ইমতিয়াজ (আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ) ফেসবুকে জাকির নাইককে ‘ফলো’ করত এবং তার কিছু পোস্ট সে নিজের ওয়ালে শেয়ারও করেছিল।
এই পটভূমিতে গুলশানের হামলাকারীরা তার বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়েছিল কি না সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ৪ জুলাই বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক ও পরবর্তিতে ৫ জুলাই ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় হামলাকারী দুই নিহত জঙ্গীর ড. জাকির নায়েককে অনুসরনের খবর বেরুলে এ প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান ড. জাকির নায়েক।
তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের স্মরণকালের এই নিকৃষ্ট হামলার বিরোধিতার কথা জানান।
তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের স্মরণকালের এই নিকৃষ্ট হামলার বিরোধিতার কথা জানান।
ভারতে পিস টিভির সম্প্রচার নিষিদ্ধ
ভারতের এনডিটিভি'র বরাতে জানা গেছে যে, ডা. জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এ চ্যানেলটি জাকির নায়েক পরিচালিত মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ উঠেছে, জাকির নায়েকের বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বহু তরুণ জঙ্গিবাদে ঝুঁকছে। বাংলাদেশের গুলশান হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন নিয়মিত জাকির নায়েকের বক্তব্য অনুসরণ করতেন বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য মিলেছে। এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর জাকির নায়েকের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকার। জঙ্গিবাদে উৎসাহ যোগানের অভিযোগ নিয়ে এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। মুম্বাইয়ে তার অফিস ঘিরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বর্তমানে উমরাহ করতে সৌদি আরবে রয়েছেন জাকির নায়েক। তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ এ অভিযোগ ওঠার পর মক্কা নগরী থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে দেয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি ইসলামিক স্টেটকে অনৈসলামিক বা ‘ইসলামবিরোধী’ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ইসলামের নাম ব্যবহার করে আমরা ইসলামের নিন্দা করছি… ইরাক সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট ইসলামবিরোধী, যারা নিরপরাধ বিদেশিকে হত্যা করছে। ইসলামের দুশমনরা এ নাম (আইএস) দিয়েছে।’
#destroyisis
#stopterrorism
#savebangladesh
#saveislam
#savepeacetv
#stopterrorism
#savebangladesh
#saveislam
#savepeacetv
No comments:
Post a Comment