বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ডাঃ জাকির আব্দুল করিম নায়েক। তিনি উচ্চশিক্ষিত ও পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি পেশাগত দায়িত্ব ছেড়ে ইসলাম প্রচারে আত্বনিয়োগ করেন। বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষদের কাছে ইসলামের সুমহান বাণীর কথা জানান।
তাঁর ইসলামী কথা, বক্তৃতা বাংলাসহ নানা ভাষায় তরজমা হয়ে প্রচার পায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার ব্যাখ্যা ও সম্ভাব্য সমাধান বাতলে দেন। তার হাত ধরেই প্রতি বছর বহু অমুসলিম পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। ইসলামের এসব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাকির নায়েক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট এবং ভারত ও দুবাইভিত্তকি পিস টিভির মালিক তিনি। এই টিভির মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষায় বিশ্বের ২০ কোটি মানুষ তাঁর অনুষ্ঠান দেখে। ফেসবুকে তাঁর এক কোটি ৪০ লাখ ফলোয়ার
রয়েছে। তাঁর ইসলামী কথা, বক্তৃতা বাংলাসহ নানা ভাষায় তরজমা হয়ে প্রচার পায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার ব্যাখ্যা ও সম্ভাব্য সমাধান বাতলে দেন। তার হাত ধরেই প্রতি বছর বহু অমুসলিম পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। ইসলামের এসব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাকির নায়েক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট এবং ভারত ও দুবাইভিত্তকি পিস টিভির মালিক তিনি। এই টিভির মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষায় বিশ্বের ২০ কোটি মানুষ তাঁর অনুষ্ঠান দেখে। ফেসবুকে তাঁর এক কোটি ৪০ লাখ ফলোয়ার
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, জঙ্গি ফলোয়ার থাকার ঠুনকো অভিযোগে তার প্রতিষ্ঠিত পিস টিভি ভারত সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। সেই একই অজুহাতে বাংলাদেশ সরকারও পিস টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে এবং আজ থেকে তার সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পিস টিভির জনপ্রিয়তা ও এর সেবাগত দিক বিবেচনা করে এই টিভির সম্প্রচার অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরী ছিলো। কিন্তু আমাদের সরকার সেই সুযোগ নষ্ট করলো।
পিস টিভির জনপ্রিয়তা ও এর সেবাগত দিক বিবেচনা করে এই টিভির সম্প্রচার অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরী ছিলো। কিন্তু আমাদের সরকার সেই সুযোগ নষ্ট করলো।
যদি জাকির নায়েক ও পিস টিভি সন্ত্রাস বৃদ্ধির ক্রিড়নক হয়ে থাকে; তবে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার শাস্তি সবার কাম্য হওয়া উচিত। কিন্তু সেই জন্য পুরো টিভির সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে এমনতো কোন আইন নেই। সরকার ইচ্ছে করলে পিস টিভির সম্প্রচারে সংশোধনী আনতে পারতো; আর সেটাই মঙ্গল হতো।
বলা হচ্ছে "গুলশান হামলায় নিহত দুই জঙ্গি নিবরাস ইসলাম ও রোহান ইমতিয়াজ জাকির নায়েকের অনুসারী ছিলেন। এছাড়া পিস টিভি বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসবাদকে অনুপ্রাণিত করছে। আর এজন্য জাকির নায়েকের সম্প্রচারিত পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে।" সেলুকাস অপরাধ !
ইসলামের কথা প্রচারে ও বর্তমান বিশ্ব সন্ত্রাসের প্রেক্ষাপটে ইসলামী জলসায় জিহাদের কথা ওঠা খুবই স্বাভাবিক। আর এই জিহাদের ভুল ব্যাখ্যার শিকার হয়ে কোন ব্যক্তি যদি সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদে নাম লেখায়, তাহলে বক্তার কি দোষ আর টিভিরই বা কি দোষ !
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও আগ্রাসী সংস্কৃতি যতদিন না পরিচ্ছন্ন হবে; ততোদিন এসব হতেই থাকবে। পাশাপাশি মীরজাফরদের চক্রান্তের ব্যাপারতো আছেই। প্রাইমারী লেভেল থেকেই সরকারি উদ্যোগে যদি পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়, ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা জানার ব্যবস্থা করা হয়, তবে ধর্মের অপব্যাখ্যা, সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা প্রভৃতি আপনা আপনিই বন্ধ হয়ে যাবে।
শুধুমাত্র মুসলিম বিশ্বেই নয়, হিন্দু রাষ্ট্র ভারতেই জাকির নায়েক অনেকের কাছে জনপ্রিয়। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ১০০ ভারতীয় ২০১০’ তালিকায় জাকির নায়েকের অবস্থান ছিল ৮৯তম। ২০০৯ সালে তাঁর অবস্থান ছিল ৮২তম।
সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে ডাঃ জাকির বলেন, ‘আমি সবসময় সন্ত্রাসবাদীকে দোষারোপ করি। কারণ মহিমান্বিত কোরআন অনুসারে কেউ যদি একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে; তবে সে যেনো পুরো মানবজাতিকে হত্যা করলো।
গুলশান হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীদের ব্যাপারে জাকির নায়েক বলেন, ‘হত্যাকারীরা আমার বক্তব্যের সঙ্গে পরিচিত হতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় আমি তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছি। আমি সাধারণত ধর্মীয় বই অনুসারে বক্তব্য দেই। আমার বক্তব্য শুনে তারা যদি সঠিক ইসলামকে বুঝতে না পারে সেটা তাদের দুর্ভাগ্য।’
No comments:
Post a Comment