মানুষ ভালো ও মন্দ; দুই প্রকার স্বপ্নই দেখে। এই স্বপ্ন কারও সৌভাগ্য বয়ে আনে; আবার কারও দূর্ভোগ সৃষ্টি করে। স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ভুল বা সঠিক ব্যাখ্যার মাধ্যমেই স্বপ্নের বাস্তবিক দিকটি আমাদের মাঝে বিরাজ করে। তাই সবার উচিত স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা ও নেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া। নিম্নে স্বপ্নের ব্যাখ্যা ও এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলোঃ
হাদীস শরীফ থেকে কয়েকটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা
স্বপ্নে কাক দেখার ব্যাখ্যা হল, পাপাচারী পুরুষ। কারণ, রাসুল (সঃ) কাকের নাম রেখেছেন ফাসেক। আর ফাসেক অর্থ পাপী।
তেমনি ইঁদুর স্বপ্নে দেখার ব্যাখ্যা হল; পাপাচারী নারী। কারণ, রাসূল (সঃ) ইঁদুরের নাম রেখেছেন, ফাসেকা। ফাসেকা অর্থ পাপাচারী মহিলা।
তেমনি ইঁদুর স্বপ্নে দেখার ব্যাখ্যা হল; পাপাচারী নারী। কারণ, রাসূল (সঃ) ইঁদুরের নাম রেখেছেন, ফাসেকা। ফাসেকা অর্থ পাপাচারী মহিলা।
স্বপ্নে পাঁজর বা পাঁজরের হাড় দেখলে এর ব্যাখ্যা হবে; নারী। কারণ, নারীকে পাঁজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে বলে হাদীসে এসেছে।
এমনিভাবে কাঁচের পান-পাত্র স্বপ্ন দেখার ব্যাখ্যা হল, নারী। কারণ, রাসূল (সঃ) কাঁচের পান-পাত্রকে নারীর রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। যেমন: রাসূল (সঃ) বলেছেন যে,
হে আনজাশা! আরে আস্তে চল, নয়তো কাঁচের পান-পাত্রগুলো ভেঙ্গে যাবে। (মুসলিম)
এখানে কাঁচের পান-পাত্র বলতে তিনি সফর সঙ্গী মেয়েদের বুঝিয়েছেন। মানে তাড়াতাড়ি হাটলে মেয়েরা পিছনে পড়ে যাবে। তাই তাদের জন্য তিনি ধীরে ধীরে পথ চলতে বললেন।
এমনিভাবে কাঁচের পান-পাত্র স্বপ্ন দেখার ব্যাখ্যা হল, নারী। কারণ, রাসূল (সঃ) কাঁচের পান-পাত্রকে নারীর রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। যেমন: রাসূল (সঃ) বলেছেন যে,
হে আনজাশা! আরে আস্তে চল, নয়তো কাঁচের পান-পাত্রগুলো ভেঙ্গে যাবে। (মুসলিম)
এখানে কাঁচের পান-পাত্র বলতে তিনি সফর সঙ্গী মেয়েদের বুঝিয়েছেন। মানে তাড়াতাড়ি হাটলে মেয়েরা পিছনে পড়ে যাবে। তাই তাদের জন্য তিনি ধীরে ধীরে পথ চলতে বললেন।
বিপরীত অর্থ গ্রহনের মাথ্যমে স্বপ্নের ব্যাখ্যাদান
কোনো ব্যক্তি স্বপ্নে ভীতিকর কিছু দেখল বা ভয় পেল। তার অবস্থার বিবেচনায় এর ব্যাখ্যা হতে পারে শান্তি ও নিরাপত্তা।
যেমন: মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
তিনি তাদের ভয়-ভীতিকে শান্তি ও নিরাপত্তায় পরিবর্তন করে দেবেন। (আল নূর : ৫৫)
যেমন: মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
তিনি তাদের ভয়-ভীতিকে শান্তি ও নিরাপত্তায় পরিবর্তন করে দেবেন। (আল নূর : ৫৫)
এমনিভাবে স্বপ্নে কান্না দেখলে এর ব্যাখ্যা হতে পারে আনন্দ। স্বপ্নে হাসতে দেখলে এর ব্যাখ্যা হতে পারে দু:খ-কষ্ট।
এই বিপরীত অর্থ গ্রহণ নীতিতে স্বপ্ন ব্যাখ্যা করার রহস্য হল, স্বপ্নের দায়িত্বশীল ফেরেশতা যখন স্বপ্নে ইঙ্গিত প্রদান করে তখন সে বিষয়টি উল্টো করে দেখায়। কারণ, নিদ্রা আর জাগ্রত অবস্থা একটা আরেকটার বিপরীত।
এই বিপরীত অর্থ গ্রহণ নীতিতে স্বপ্ন ব্যাখ্যা করার রহস্য হল, স্বপ্নের দায়িত্বশীল ফেরেশতা যখন স্বপ্নে ইঙ্গিত প্রদান করে তখন সে বিষয়টি উল্টো করে দেখায়। কারণ, নিদ্রা আর জাগ্রত অবস্থা একটা আরেকটার বিপরীত।
মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখার ব্যাখ্যা
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেন, যদি স্বপ্নে কেউ মৃত ব্যক্তিকে দেখে তাহলে তাকে যে অবস্থায় দেখবে সেটাই বাস্তব বলে ধরা হবে। তাকে যা বলতে শুনবে, সেটা সত্যি বলে ধরা হবে। কারণ, সে এমন জগতে অবস্থান করছে যেখানে সত্য ছাড়া আর কিছু নেই।
যদি কেউ মৃত ব্যক্তিকে ভাল পোশাক পরা অবস্থায় বা সুস্বাস্থের অধিকারী দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সে ভাল অবস্থায় আছে। আর যদি জীর্ণ, শীর্ণ স্বাস্থ্য বা খারাপ পোশাকে দেখে তাহলে বুঝতে হবে, ভাল নেই। তার জন্য তখন বেশি করে মাগফিরাত কামনা ও দোআ-প্রার্থনা করতে হবে।
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেন, যদি স্বপ্নে কেউ মৃত ব্যক্তিকে দেখে তাহলে তাকে যে অবস্থায় দেখবে সেটাই বাস্তব বলে ধরা হবে। তাকে যা বলতে শুনবে, সেটা সত্যি বলে ধরা হবে। কারণ, সে এমন জগতে অবস্থান করছে যেখানে সত্য ছাড়া আর কিছু নেই।
যদি কেউ মৃত ব্যক্তিকে ভাল পোশাক পরা অবস্থায় বা সুস্বাস্থের অধিকারী দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সে ভাল অবস্থায় আছে। আর যদি জীর্ণ, শীর্ণ স্বাস্থ্য বা খারাপ পোশাকে দেখে তাহলে বুঝতে হবে, ভাল নেই। তার জন্য তখন বেশি করে মাগফিরাত কামনা ও দোআ-প্রার্থনা করতে হবে।
মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখলে কয়েকটি স্বপ্নের উদাহরণঃ
হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, বিদ্রোহীরা যখন হযরত উসমান (রাঃ)- এর বাসভবন ঘেরাও করল, তখন উসমান (রাঃ) বলেন, আমি গত রাতে স্বপ্ন দেখলাম, রাসূল (সঃ) বললেন, উসমান আমাদের সাথে তুমি ইফতার করবে।
আর ঐ দিনই হযরত উসমান (রাঃ) শহীদ হলেন।
(আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়াঃ শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সাদহান)
হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, বিদ্রোহীরা যখন হযরত উসমান (রাঃ)- এর বাসভবন ঘেরাও করল, তখন উসমান (রাঃ) বলেন, আমি গত রাতে স্বপ্ন দেখলাম, রাসূল (সঃ) বললেন, উসমান আমাদের সাথে তুমি ইফতার করবে।
আর ঐ দিনই হযরত উসমান (রাঃ) শহীদ হলেন।
(আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়াঃ শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সাদহান)
আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আবু মূসা আশ আশআরী (রাঃ) বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি একটি পাহাড়ের কাছে গেলাম। দেখলাম, পাহাড়ের উপরে রাসূল (সঃ) রয়েছেন ও পাশে হযরত আবু বকর (রাঃ)। আবু বকর (রাঃ) তার হাত দিয়ে হযরত ওমর (রাঃ) এর দিকে ইশারা করছেন।
আমি আবু মূসা (রাঃ)'র এ স্বপ্নের কথা শুনে বললাম, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। আল্লাহর শপথ! হযরত ওমর (রাঃ) তো মারা যাবেন! আচ্ছা আপনি কি বিষয়টি হযরত ওমর (রাঃ)কে লিখে জানাবেন?
আবু মূসা (রাঃ) বললেন, আমি হযরত ওমর (রাঃ)কে তার জীবদ্দশায তার নিজের মৃত্যু সংবাদ জানাব, এটা কি করে হয়?
এর কয়েকদিন পরই স্বপ্নটা সত্যে পরিণত হল। হযরত ওমর (রাঃ) শহীদ হয়ে গেলেন।
আমি আবু মূসা (রাঃ)'র এ স্বপ্নের কথা শুনে বললাম, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। আল্লাহর শপথ! হযরত ওমর (রাঃ) তো মারা যাবেন! আচ্ছা আপনি কি বিষয়টি হযরত ওমর (রাঃ)কে লিখে জানাবেন?
আবু মূসা (রাঃ) বললেন, আমি হযরত ওমর (রাঃ)কে তার জীবদ্দশায তার নিজের মৃত্যু সংবাদ জানাব, এটা কি করে হয়?
এর কয়েকদিন পরই স্বপ্নটা সত্যে পরিণত হল। হযরত ওমর (রাঃ) শহীদ হয়ে গেলেন।
এসব স্বপ্ন সত্য হওয়ার কারণ; মৃত্যু পরবর্তী সত্য জগত থেকে যা আসে, তা মিথ্যা হতে পারে না। সেখানে অন্য কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ নেই।
(আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়াঃ শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সাদহান)
(আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়াঃ শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সাদহান)
স্বপ্ন নিয়ে আরও পোস্ট:
স্বপ্ন নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ ১ম পর্ব
No comments:
Post a Comment