তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। সরকার আবার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদ্রোহের অবসান ঘটেছে, সারা দেশে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের সময় প্রেসিডেন্ট কৃষ্ণ সাগরীয় এলাকায় অবকাশ যাপন করছিলেন। তিনি অভ্যুত্থানের খবর পেয়েই দৃঢ়ভাবে তা প্রতিরোধের নির্দেশ দেন। তিনি রাজধানীতে ফিরে আসার উদ্যোগ নেন।
শুক্রবার রাতে সামরিক বাহিনীর একটি অংশ দাবি করেছিল, তারা দেশের সব নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। তারা সারা দেশে সামরিক আইন কারফিউ জারি করেছে। ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দর
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে সামরিক ট্যাংক মোতায়েন করা হয়।শুক্রবার রাতে সামরিক বাহিনীর একটি অংশ দাবি করেছিল, তারা দেশের সব নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। তারা সারা দেশে সামরিক আইন কারফিউ জারি করেছে। ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দর
অভ্যুত্থান এবং তা দমনের সময় সারা দেশে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছে। সামরিক বাহিনীর প্রায় ৭৫০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, বিদ্রোহীরা দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ফেতেহউল্লাহ গুলেনের সমর্থক।
বিদ্রোহীরা পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে গোলাবর্ষণও করে। তারা সেনাপ্রধান হুলসি আকারকে পণবন্দি করে বলে আনাদুলু এজেন্সি জানিয়েছে। রাজধানী আঙ্কারার আকাশে সামরিক বিমান উড়ার শব্দও শোনা গেছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, যেসব সৈন্য সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টার সাথে জড়িত ছিল তাদের বেশির ভাগকে আটক করা হয়েছে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়িলদিরিম শনিবার ভেঅরে জানান, তুরস্ক সেনাবাহিনীর একটি গ্রুপ দৃশ্যত ক্যু করার চেষ্টা করেছিল। তবে জানিয়েছেন, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি তাদের দমন করা হয়েছে বলে জানান। তিনি আরো বলেন, তিনি বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
এরদোগানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। ফলে ষড়যন্ত্রকারীদের মনোবল ভেঙে যায়। অনেক স্থানে তারা পুলিশের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে। সাধারণ মানুষের অনেকে সামরিক যানের ওপর বসে এরদোগানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে।
No comments:
Post a Comment