শারীরিকভাবে সুস্থতা অনুভব করলেও পূর্ণকোর্স সম্পন্ন করাসহ এন্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিশ্বজুড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এর ফলে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে রোগ দীর্ঘস্থায়ীসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
যখন কোনো এন্টিবায়োটিক জীবাণুর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে অকার্যকর হয় বা জীবাণুনাশে বা প্রতিরোধে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয় তখন জীবাণুগুলো এ এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী (রেজিস্ট্যান্স) হয়ে উঠে। ফলে এন্টিবায়োটিক সেবনকারী অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তাই জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এন্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা অতীব জরুরি বলেও তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে।
এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী রোধে শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী নিয়মিত এন্টিবায়োটিক সেবন বা গ্রহণ করতে হবে জানিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়,
ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত সময় ও নির্দেশনা অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সেবন বা গ্রহণ করতে হবে।
শারীরিকভাবে সুস্থ অনুভব করলেও এন্টিবায়োটিকের পূর্ণকোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
কোন কারণে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সকল এন্টিবায়োটিক নির্দেশিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া নিয়মিত হাতধোয়া, প্রতিনিয়ত অসুস্থ রোগীর সংস্পর্শে না থাকা এবং সময়মত সবগুলো টীকা গ্রহণের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
খুচরা ওষুধ বিক্রয়কারীদের প্রতি নির্দেশনায় বলা হয়েছে,
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো এন্টিবায়োটিক বিক্রি না করা,
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত পূর্ণকোর্স এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা, এন্টিবায়োটিকের ক্রয়-বিক্রয়ের রেজিস্টার ও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র সংরক্ষণ করা।
এছাড়া খুচরা ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিক্রয়কৃত এন্টিবায়োটিকের ব্যাচ নম্বর উল্লেখ করে ক্যাশ মেমো দেওয়া, সকল এন্টিবায়োটিক নির্দেশিত তাপমাত্রায় যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও এন্টিবায়োটিকসহ কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment